সৈয়দপুরে মজুরী নিয়ে মালিক ও কারিগরদের দ্বন্দ্বে টেইলার্স দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
তোফাজ্জল হোসেন লুতু সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে টেইলার্স মালিক সমিতি ও টেইলার্স কারিগর সমিতির মধ্যে পোষাক তৈরির মজুরি নিয়ে চরম দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এতে তাদের মধ্যে কোন রকম সমঝোতা না হওয়ায় টেইলার্স মালিকেরা শহরের টেইলার্স দোকানগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা অবস্থান কর্মসুচি পালন করেছে তারা।
টেইলার্স মালিকদের সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় টেইলার্স কারিগররা তাদের পোষাক তৈরির মজুরি বৃদ্ধির দাবি তুলেন। এবারও রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে সেলাইয়ের কাজ বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় তাদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে উভয়পক্ষ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কারিগররা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজ করবেন না বলে ঘোষণা দিয়ে কাজ করা থেকে বিরত থাকে। ফলে টেইলার্স মালিক সমিতিও রোববার দুপুর থেকে তারা শহরের সকল টেইলার্স দোকান বন্ধ করে দেয়। পরে টেইলার্স কারিগরি সমিতির ব্যানারে পোষাক তৈরি কারিগরদের অযৌক্তিক মজুরি বৃদ্ধির দাবির প্রতিবাদে সড়কে অবস্থান নেয় টেইলার্স মালিকরা।
সৈয়দপুর টেইলার্স সমিতির সভাপতি আমজাদ টেইলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মো. আমজাদ হোসেন জানান, এবার ঈদ উপলক্ষে টেইলার্স কারিগররা প্রতিটি পোশাকের জন্য মজুরি বৃদ্ধি দাবি করেছেস। যা আমাদের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। কারণ তাদের দাবি অনুযায়ী মজুরি বৃদ্ধি করলে পোষাক তৈরি করতে আসা গ্রাহকদের ওপর চাপ বাড়বে। সেই সঙ্গে আমাদের দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য খরচ মেটানো কষ্টকর হবে। তাই আমরা উপজেলা টেইলার্স মালিক সমিতি অনিদির্ষ্টকালের জন্য দোকান বন্ধ রেখেছি।
শহরের পার্ফেক্ট টেইলার্সর মালিক শাহিদ জানান, প্রতিটি পোষাকের মজুরি বাবদ ১৫ টাকা বৃদ্ধির দাবি করেছে কারিগররা। যা পূরণে মালিকপক্ষের জন্য কষ্ট হবে।
সৈয়দপুর উপজেলা টেইলার্স কারিগর সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, বর্তমানে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বেড়েছে। এর কারণে আমরা কারিগররা পোষাক তৈরির মজুরি কিছুটা বাড়ানোর অনুরোধ করেছে মালিকপক্ষকে। তবে টেইলার্স মালিক ও কারিগরদের মধ্যে মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করতে আমরা সচেষ্টা রয়েছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কারিগর জানান, জিনিসপত্রের এই উর্ধ্বগতির বাজারে আমরা যৌক্তিকভাবে মালিকদের কাছে কিছুটা বাড়তি মজুরি দাবি করেছি।
এ বিষয়ে কথা হয় সৈয়দপুর বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলীর সাথে। তিনি জানান, আমরা উভয়পক্ষকে নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।