ডোমার উপজেলা চেয়ারম্যানকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার
নীলফামারী প্রতিনিধি- দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থী কর্মকান্ডে জন্য নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদকে উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য পদ থেকে বহিস্কার (অব্যাহতি) করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অধ্যক্ষ সহিদুল ইসলাম বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এতে স্বাক্ষর করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সাধারণ স¤পাদক এ্যাডঃ মমতাজুল হক। তারাও বহিস্কারের (অব্যাহতি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ স¤পাদক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল হক চৌধুরীকে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৩১শে মার্চ নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক স¤পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিকের নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ৪৭(ঞ) মোতাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে সংগঠনের আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থী কর্মকান্ড, বিশেষ করে চলতি বছরের ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ফলে সারাদেশে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণè হয়েছে। একারণে ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য পদ থেকে তোফায়েলে আহমেদকে বহিস্কার (অব্যাহতি) প্রদান করা হয়েছে।
জানা যায়,তোফায়েল আহমেদকে আওয়ামী লীগ হতে বহিস্কার করায় উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী সহ উপজেলার সাধারন মানুষজন ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবার তার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শুন্য ঘোষনার দাবি করেছে।
ডোমার উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরননবী বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদের পিতা, দাদা ও নানা স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার। তাদের সকলের নাম রাজাকারের তালিকায় রয়েছে। তোফায়েল উপজেলা চেয়ারম্যান হবার পর সে ২০১৯ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে জাতীয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে আসায় আমরা বীরমুক্তিযোদ্ধারা বাঁধা দিয়ে আসছিলাম। সর্বশেষ গত ২৬ মার্চ আমরা বাঁধা দিতে গেলে আমাদের (বীরমুক্তিযোদ্ধাদের) সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও লাঞ্চিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ। যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবগত করা হয়। পরবর্তিতে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও দলীয় ভাবে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পায়। ফলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদকে উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য পদ থেকে বহিস্কার (অব্যাহতি) করা হয়েছে। আমরা এখন ডোমার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শুন্য ঘোষনার দাবি করছি। #