সৈয়দপুরে দিনেদুপুরে ইকু ফিলিং স্টেশনে ক্যাশবাক্স ভেঙ্গে দূর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত
তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে দিনেদুপুরে একটি ফিলিং স্টেশনে দূর্ধর্ষ চুরি ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের উপকন্ঠে দিনাজপুর- রংপুর মহাসড়কের কুন্দল (সোনাপুকুর) এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ইকু ফিলিং স্টেশনে ওই চুরির ঘটনাটি ঘটেছে। অজ্ঞাত চোর ওই ফিলিং স্টেশনের কাউন্টারের তিনটি ক্যাশ বাক্সের তালা ভেঙ্গে নগদ নগদ ৫০ হাজার নয় শত তিন টাকা নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে সদর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে, ঘটনার দিন গতকাল সোমবার সকাল থেকে শহরের উল্লিখিত এলাকায় মেসার্স ইকু ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার জিতেন কুমার দাস, সহকারি ম্যানেজার জয়দেব রায় এবং মিটারম্যান মানিক রায় সবুজ, রাজ্জাক, নোমান কর্মরত ছিলেন। আর এ সময় ওই ফিলিং স্টেশনে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছিলেন। এ সময় ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার জিতেন কুমার দাস কাউন্টারের বাইরে বের হয়ে এসে ওই পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ তদারকি করছিলেন। আর এরই ফাঁকে সুযোগ বুঝে কোন এক সময় এক অজ্ঞাত যুবক ওই ফিলিং স্টেশনের কাউন্টারের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং তিনটি ক্যাশ বাক্সে তাল ভেঙ্গে নগদ ৫০ হাজার নয় শত তিন টাকা নিয়ে সটকে পড়েন। এ ঘটনার পর ম্যানেজার জিতেন কুমার দাস কাউন্টারে ভেতরে ঢুকে তাঁর ক্যাশবাক্সের তালা ভাঙ্গা দেখতে পান। পরে কাউন্টারের অপর দুটি ক্যাশবাক্সের তালাও ভাঙ্গা দেখে তাঁর মনে সন্দেহ হয়। এরপর ফিলিং স্টেশনের কর্মরত অন্যান্য কর্মচারীরা এসে দেখেন কাউন্টারের তিনটি ক্যাশ বাক্সের রাখা ৫০ হাজার তিন শত তিন টাকা নেই। পরে তারা ফিলিং স্টেশনের কাউন্টারের ক্যাশবাক্স ভেঙ্গে টাকা চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হন। যদিও ওই ফিলিং স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে এক যুবককে কাউন্টারের ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। কিন্তু ওই যুবকের মুখমন্ডল মাফলার দিয়ে বাঁধা থাকায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে তাকে চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না। পরে ইকু ফিলিং স্টেশনে চুরির খবর পেয়ে সৈয়দপুর সদর ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মো. নুরুজ্জামান বেগ ঘটনাস্থলে যান এবং ফিলিং স্টেশনে কর্মরত ম্যানেজার জিতেন কুমার দাসসহ অন্যান্য কর্মচারীদের ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খান, ফিলিং স্টেশনের কাউন্টারের ক্যাশবাক্স থেকে টাকা চুরির সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় ফিলিং স্টেশনের মালিকের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।