টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি নুয়ে পড়েছে ধান,আলু নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক
মেহেদী হাসান,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
কয়েক দিনের বৃষ্টিতে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বেশ কিছু জমিতে ধান,আগাম জাতের আলু,রবি শস্য সহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি সাধন হয়েছে। নুয়ে পড়েছে ধান,জমিতে জমে থাকা পানিতে ফসল পচে যাওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা। দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষক।
আমনের মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকুল আর কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও কয়েক দিনের মাঝারী ও গুড়িগুড়ি টানা বর্ষন আর মৃদু বাতাসে উপজেলার বেশ কিছু মাঠের ধান নুয়ে পড়েছে,আগাম আলুর জমিতে জমে আছে পানি এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
শিবনগর ইউনিয়নের দুলাল হোসেন বলেন তিনি দুই বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু ও এক একর জমিতে ধান লাগিয়েছেন বৃষ্টি
ও মৃদু বাতাসে ধান গাছ নুয়ে পড়েছে,আলুর অবস্থাও খুবই কারাপ। একই এলাকার আজাদ চৌধুরী বলেন তিনি দুই একর জমিতে আগাম জাতের আলু লাগিয়েছেন খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা,তারও একই অবস্থা। একই কথা বলেন কৃষক আব্দুল মজিদ,ফসল নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সারারাত ও বুধবার দিনভর টানা বৃষ্টিতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার বেশ কিছু জমিতে গামর ধান (কচি) ধান গাছ জমির সাথে মিশে গেছে,আলুর জমিতে পানি জমে আছে। দ্রুত পানি না নামলে এসব জমির আলু ও ধান গাছসহ গামর (কচি) ধান পঁচে যাওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা। এরমধ্যে আরও বৃষ্টি হলে অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে,এবছর এ উপজেলায় ১৮ হাজার ১৮১ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে,চাষ হয়েছে ১৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে,যা লক্ষমাত্রারও অধিক। সম্ভাব্য (চাল)উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০হাজার ২০২মেট্রিকটন। ৫০ হেক্টর জমিতে হয়েছে আগাম আলু চাষ। এবার উপশী জাতের ধান ব্রি-৩৪,ব্রি-৩৯ ব্রি-৫১,ব্রি-৫২,বিনা-১৭,সম্পা কাটারি,স্বার্ণা-৫,গুটিস্বর্ণা,রঞ্জিত,সোনামুখি এবং হাইব্রিট জাতের টিয়া,ধানিগোল্ড,হিরা,এজেড-৭০০৬ জাতের ধান চাষ হয়েছে। তিনি বলেন, একর প্রতি হাইব্রিট ফলন ৪ মেট্রিকটন ও উপশি ২.৭৫ মেট্রিকটন। তবে ধান বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও ফসল ঘরে তোলা নিয়ে আশংকা আর দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার জানান, হাইব্রিট ও শোনা মুখি আগাম জাতের কিছু ধান কাটা শুরু হয়েছে। বাকি ধান গুলো কার্তিকের শেষ থেকে কাটা শুরু হবে। ফলন যাতে ভাল হয় সেদিক লক্ষ রেখে মাঠে গিয়ে নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দেয় হচ্ছে। বৃষ্টির কারনে ফসলের ক্ষতির পরিমান জানতে চাইলে বলেন, এটি একটি প্রাকৃতিক ব্যাপার,আল্প কিছু ফসলেন সমস্যা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে,খুব একটা ক্ষতি হবে না।