সরকারী চাল চুরির মামলার আসামী ও বিএনপি নেতা পেলেন নৌকার প্রাথমিক মনোনয়ন
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ সরকারী চাল চুরির মামলার আসামী ও বিএনপি নেতা এনামুল হক পেলেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি ইউনিয়নের নৌকা মার্কার প্রাথমিক মনোনয়ন। বিষয়টি নিয়ে ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের তৃণমুল নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রণচন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহবায়ক মোখলেছুর রহমান বিমান রণচন্ডী স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে বর্ধিত সভার স্থানে প্রতিবাদ সভা করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, ৩য় ধাপে ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাইয়ের শেষ দিন মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় রণচন্ডীতে বর্ধিত সভার ঘোষণা করা হয়। রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলা ও ইউনিয়ন আ’লীগের নেতৃবৃন্দ সভাস্থলে না আসায় স্থানীয় আ’লীগের একাংশ সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময় নৌকা প্রতীকের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বিমান বর্ধিত সভাস্থলে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। তিনি জানান, বিপুল ভোটে আমি পর পর দুই বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। নৌকার প্রার্থী হিসেবে গোপনে রেজুলেশন করে বিএনপি নেতা এবং সরকারী চাল চুরির মামলার আসামী এনামুলের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগ বর্ধিত সভা করেনি।
জানা গেছে, বিএনপি নেতা এনামুল হক রণচন্ডি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকাকালিন সময়ে ২০০৯ সালের ২৮ শে জুন প্রতারনার মাধ্যমে ভিজিএফের ১৭০ বস্তা চাল আত্নসাৎ করে তা কালো বাজারে বিক্রি করলে স্থানীয় জনগন ওই চাল আটক করলে রণচন্ডি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হকসহ ৭ জনের নামে কিশোরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রণচন্ডি ইউনিয়নের নৌকা মার্কার প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী এনামুল হক বলেন, আমি আওয়ামীলীগকে সমর্থন করেছিলাম তাই বিএনপির লোকজন আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছিল। আমি প্রকৃত পক্ষে আওয়ামীলীগ করি আমি কোনদিন বিএনপি করিনি। প্রমাণ থাকলে আমাকে দেখান। মামলার বিষয়ে তিনি বলেন মামলা খারিজ হয়েছে।
এব্যাপারে রণচন্ডী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছূল হক চৌধূরীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি। ওই ইউনিয়ন আ’লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফসার আলী বাদাউ জানান, নৌকার একক প্রার্থী হিসেবে এনামুলের নাম পাঠিয়েছে শুনেছি। ওই প্রার্থী বিএনপি করছিল এটা ১শ’ পার্সেন্ট নিশ্চিত।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল বলেন, আমরা প্রতিটি ইউনিয়নে বর্ধিত সভা করে প্রার্থী বাছাই করেছি। হাতে সময় কম থাকার কারনে শুধুমাত্র রণচন্ডি ইউনিয়নে বর্ধিত সভা করা হয়নি। আমরা উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সভা করে কয়েকজনের নামে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। কতজনের নাম পাঠিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই ইউনিয়নের বিষয়ে এখন কিছু বলা যাবেনা। বিএনপি নেতা ও সরকারী চাল চুরির মামলার আসামী এনামুল হকের নাম পাঠিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি তাঁর নাম পাঠানোর কথা স্বীকার করে বলেন, সে বিএনপির রাজনীতি করে কিনা এ ধরনের কোন প্রমাণ কেউ দিতে পারেনি।