রোগ প্রতিরোধে জিংক সমৃদ্ধ খাবারের বিকল্প নেই॥ নীলফামারীতে মতবিনিময় সভা
নির্ণয়,নীলফামারী॥ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে জিংক সমৃদ্ধ ধান উৎপাদন ও এর ভাতের কোন বিকল্প নেই। আসছে বোরো মৌসুমে কৃষকের মাঝে জিংক সমৃদ্ধ ধান আবাদে উৎসাহ বৃদ্ধিকল্পে সোমবার(২৫ অক্টোবর/২০২১) দিনব্যাপী এক মতবিনিময় সভা অনিুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস এর উদ্যোগে হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশ-এর আর্থিক সহায়তায় নীলফামারী জেলার শহরের আরডিআরএস কনফারেন্স হলে “জিংক ধান বীজ ভ্যালু চেইন এক্টরস মতবিনিময় সভা” এ কথা জানানো হয়।
সভায় আসছে বোরো মৌসুমে বিশেষ করে ব্রি ধান ৭৪ এর কোন রোগবালাই হয়না বলে উল্লেখ করে বলা হয় আগামী মৌসুমে বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ ধান বীজ বাজারে পাওয়া যাবে। এই বঙ্গবন্ধু জিংক ধানও দেশের কল্যানে কৃষকদের আর্শিবাদ বয়ে আনবে।
আরডিআরএসের রংপুর প্রধান কার্যালয়ের কৃষি সেক্টরের গবেষক মাহফুজর আলম এর সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বিএডিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান, নীলফামারী কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষক) হোমায়রা মন্ডল, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) আব্দুল্লাহ আল মামুন, হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশ এর মজিবুর রহমান ও রুহুল আমিন, আরডিআরএসের নীলফামারী কৃষি কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম,শাহীনুর রহমান প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় মানবদেহে জিংকের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে উল্লেখ করে আরও জানানো হয় করোনা ভাইরাস থেকে মানবদেহে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে জিংক সমৃদ্ধ ধানের ভাত খেলে রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। পাশাপাশি শিশুদের শরীরের বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ হয় ও ক্ষুধামন্দা দূর করে। দৈনিক শিশুদের ৩-৫ মিলিগ্রাম এবং নারীদের ৮-৯ মিলিগ্রাম জিংকের প্রয়োজন হয়। এক জন মানুষ দৈনিক তিনবেলা জিংক চালেন ভাত খেলে তার শরীরে জিংক-এর চাহিদা পূরণ হয়। এ জন্য কৃষক, চাল-কল মালিক ও চাল বিক্রেতাদের জিংক ধান/চাল বানিজ্যিকি করণ প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে হবে।অনুষ্ঠানে ধান চাষি, বিভিন্ন বীজ কোম্পানীর প্রতিনিধি,ডিলার, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব গন উপস্থিত ছিলেন।#