জনগনের ক্ষমতায়নে তথ্য অধিকার আইন
তথ্যই শক্তি আর তথ্যে প্রবেশাধিকার ক্ষমতায়ন, জনগণের ক্ষমতায়ন। ২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস। অবাধ তথ্যপ্রবাহ এবং তথ্যে সর্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণের জন্য দিবসটি পালিত হয়। বিশ্ববাসীর সঙ্গে আমরাও তা পালন করছি।
তথ্যে গম্যতা বা তথ্য অধিকার জাতিসংঘ স্বীকৃত একটি মৌলিক অধিকার। বিভিন্ন দেশ এই অধিকার বিভিন্ন নামে অভিহিত করে আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করেছে। সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে যে, জনগণই হবে প্রজাতন্ত্রের মালিক। এই অনুচ্ছেদের আলোকে তথ্যের মালিক জনগণ। জনগণের তথ্য-অধিকার, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, সংবিধানে মৌলিক অধিকার রূপে স্বীকৃত চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতার অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার সুনিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত হয়।
তথ্য অধিকার আইন সাধারণত জনগণের তথ্য পাওয়ার স্বাধীনতা সংক্রান্ত আইন নামে পরিচিত। একে বলে উন্মুক্ত তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের আইন আলোকিত আইন নামে পরিচিত। কিছু কিছু দেশে এ আইনের শিরোনাম হলো তথ্য স্বাধীনতা আইন। প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে জানা যায় যে, এ ধরনের আইন বিভিন্ন শিরোনামে পৃথিবীর ৭০টি দেশে প্রচলিত। ১৭৬৬ সালে প্রথম সুইডেনে এ ধরনের আইন প্রবর্তিত হয় যা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আইন নামে পরিচিত। তথ্য অধিকার সংক্রান্ত এ আইনটিই প্রাচীনতম আইন বলে সাধারণভাবে স্বীকৃত।
সার্কভুক্ত বেশিরভাগ রাষ্ট্রই তথ্য অধিকার আইন প্রবর্তন করেছে। ২০০২ সালে পাকিস্তান তথ্য স্বাধীনতা অধ্যাদেশ বলবৎ করে। ভারতে এ ধরনের আইন ২০০৫ সালে গৃহীত হয় যা তথ্য অধিকার আইন নামে পরিচিত।
বাংলাদেশের সংবিধানেও অনুরূপ অধিকারের স্বীকৃতি বিদ্যমান। যথা, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। তবে সংবিধানে এ কথাও বলা আছে যে এ ধরনের মৌলিক অধিকারের উপর যুক্তিসংগত বিধিনিষেধ আরোপ করা যায়। ২০০০ সাল থেকে তথ্য অধিকার আইন প্রচলন করার জন্য নাগরিক সমাজ ও মিডিয়া ক্রমাগত দাবি উত্থাপন করার কারণে বাংলাদেশে এ আইন প্রচলিত হয়। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসের ২০ তারিখে এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রজ্ঞাপন গেজেটের মাধ্যমে জারী করে (অধ্যাদেশ নং ৫০, ২০০৮)।
জাতীয় সংসদ কিছু সংশোধনীসহ এ সংক্রান্ত বিল ২০০৯ সালের ৩০ মার্চ অনুমোদন করে। ৫ এপ্রিল, ২০০৯ এই আইনটি রাষ্টুপতির সম্মতি লাভ করে এবং ৬ এপ্রিল, ২০০৯ আইনটি বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয় এ আইনের বিধানে একজন প্রধান তথ্য কমিশনার (সিআইসি) এবং অন্য দু’জন কমিশনার নিয়োগ করা যায়। এর মধ্যে অন্তত একজন মহিলা হবেন। সিআইসি কমিশনের প্রধান নির্বাহী হবেন।
সিআইসি ও অন্য দু’জন কমিশনার রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করবেন। তবে এ সংক্রান্ত বাছাই কমিটির সুপারিশ বিবেচনা করে রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ প্রদান করবেন।
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ প্রণয়ন বাংলাদেশের জন্য একটি যুগান্তকারী ঘটনা। জনগণের ক্ষমতায়নে মাইলফলক। আইনটির অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো, দেশের প্রচলিত অন্য সব আইনে কর্তৃপক্ষ জনগণের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকে; কিন্তু এ আইনে জনগণ কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষমতা আরোপ করার অধিকার দেয়া হয়েছে।তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ এর প্রধান বিশেষত্ব হলো- (ক) বাংলাদেশের তথ্য অধিকার আইনে একটি স্বাধীন ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘তথ্য কমিশন’ গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে এরূপ আইন থাকলেও কমিশন গঠনের বিধান রাখা হয়নি। (খ) তথ্য অধিকার আইনে তথ্য কমিশনকে দেওয়ানি আদালতের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এ আইনের অধীনে তথ্য কমিশন কোনো ব্যক্তিকে কমিশনে হাজির করার জন্য সমন জারি এবং শপথপূর্বক মৌখিক বা লিখিত প্রমাণ-দলিল বা অন্য কোনো কিছু হাজির করতে বাধ্য করতে পারবে। দোষী প্রমাণিত হলে তথ্য কমিশন কোনো কর্মকর্তাকে জরিমানা করতে পারবে, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করতে পারবে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের আদেশও দিতে পারবে। (গ) এ আইনে তথ্যপ্রাপ্তির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী কর্মকর্তাকে জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে, যা অধিকাংশ দেশের তথ্য অধিকার আইনে অনুপস্থিত। (ঘ) এ আইনে ইন্দ্রিয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য পৃথক একটি উপ-ধারা সংযোজিত হয়েছে, যা সচরাচর অন্যান্য আইনে দেখা যায় না। আইনের ৯ (১০) উপ-ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ইন্দ্রিয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য লাভে কোনো ধরনের সহায়তা প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবেন।
এ আইনের ফলে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শত বছরের গোপনীয়তার সংস্কৃতির কঠিন বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসছে। এখানেই আইনটির উপযোগিতা ও উৎকর্ষ প্রতিভাত হচ্ছে।
তথ্য আইনে তথ্য প্রদানে বাধ্য কর্তৃপক্ষ হিসেবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করায় সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মকা- সম্পর্কিত তথ্য জনগণের কাছে প্রকাশ ও প্রদান করতে বাধ্য।
আমাদের দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগণ তাদের অঞ্চলের জন্য ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষিসেবা, প্রতিবন্ধী শিক্ষাসেবা বা পুনর্বাসন সংক্রান্ত কোনো ব্যবস্থা যেমন, বয়স্ক-ভাতা, বিধবা-ভাতা সুবিধাভোগী, দুস্থ নারী ও শিশুর পুনর্বাসন কার্যক্রম, প্রতিবন্ধী শিক্ষা ও কর্মসংস্থান, রাস্তা-ঘাট-ব্রিজ তৈরি বা মেরামত ইত্যাদি সম্পর্কে জানে না। তথ্য অধিকার আইন জনগণকে এ অধিকার দিয়েছে যে, এসকল প্রতিষ্ঠান জনসেবামূলক কার্যক্রম সঠিকভাবে পালন করছে কি না তা যাচাই করার।
তবে প্রশ্ন থেকে যায়, এহেন একটি উত্তম আইনের প্রয়োগ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে কি? জনগণ কি প্রয়োজনীয় সব ক্ষেত্রে তা অনুশীলন করছে বা করতে পারছে? আইনটি চর্চায় কর্তৃপক্ষের কি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সংবেদনশীলতা, দক্ষতা বা প্রস্তুতি রয়েছে? আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে, তথ্যের বিশাল চাহিদার তুলনায় তথ্য প্রাপ্তির আবেদন এখনো অনেক কম। নিরক্ষরতা, দারিদ্র্য, অজ্ঞতা, অসচেতনতা, প্রশাসনিক পদ্ধতি সম্পর্কে অনভিজ্ঞতা এর মূল কারণ। তথ্য চাওয়া থেকে শুরু করে তথ্য পাওয়া পর্যন্ত যা কিছু করতে হবে তা আইন অনুযায়ী করার জন্য যে ধরনের জ্ঞান এবং দক্ষতার প্রয়োজন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে তা পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই।
অন্যদিকে কর্তৃপক্ষের অনেকেই এখনো তথ্য প্রদানে বা তথ্যের সহজলভ্যতা আনয়নে ইতিবাচক ভূমিকা বা দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শনে সক্ষম হচ্ছেন না। কেউ কেউ আইনটি সম্পর্কে এখনো ওয়াকিফহাল নন, কারো কারো ক্ষেত্রে আইনটি প্রয়োগে সংবেদনশীলতার পরিবর্তন অনীহার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে।অনেক ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদনকারীর তথ্যটি তাঁর কাছে মজুদ থাকা সত্ত্ব্বেও এবং তথ্যটি দেওয়ার বাধ্যবাধকতা অনুধাবন করে সরবরাহ করতে প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের অনীহা বা অসহযোগিতার অভিযোগগুলি পাওয়া যাচ্ছে।আমাদের দেশে দীর্ঘদিনের গোপনীয়তার সংস্কৃতি চর্চার কারণে তথ্য অধিকার চর্চার ক্ষেত্রে বেশ অনীহা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তথ্য অধিকার আইন অনুসারে নির্ধারিত ফরমে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন দাখিল করা হলে আবেদনকারীকে যথাসময়ে তথ্য সরবরাহ করা এবং সম্ভব না হলে অপারগতার নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেয়া তথ্য অধিকার চর্চার অংশ। কিন্তু অনেক দফতরে তথ্য অধিকারের আবেদনপত্র গ্রহণ করতেই আপত্তি দেখা যায়। তথ্য প্রদানে ব্যর্থতার জন্য অপারগতার নোটিশ প্রদানের কোন নজির সচরাচর দেখা যায় না। পাশাপাশি তথ্যের মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রেও তথ্যপ্রত্যাশী অনেকেই অনীহা প্রদর্শন করেন।
এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করে জনস্বার্থে আইনের ব্যাপক চর্চা/প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। একদিকে তথ্যের চাহিদাকারী সর্বসাধারণকে উৎসাহিত ও উজ্জীবিত করতে হবে, অন্যদিকে তথ্যের জোগানদাতাকে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে। দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এ মহৎ দায়িত্ব পালনে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। এতেই সমাজে নিশ্চিত হবে একটি উত্তম আইনের প্রকৃত সুফল প্রাপ্তি।
তথ্যপ্রাপ্তির জন্য আমাদের দেশে ‘তথ্য কমিশন’ আছে। যেটা একেবারে সবোর্চ্চ পযার্য়। এর আগে উপজেলা থেকে তথ্য পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কিছু নিদির্ষ্ট তথ্য অবশ্যই প্রকাশ করতে হয়। জন্ম, মৃত্যু, গ্রেপ্তার, মুক্তি এগুলোর বিষয়ে কেউ কোনো তথ্য চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমর্কতার্ তাকে তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে বাধ্য থাকবে। আবার কোনো ফৌজদারি মামলা চলাকালে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়া যাবে না। পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা, এনএসআই, এসএসএফ, এনবিআর এই সংস্থাগুলোর বিষয়ে কোনো তথ্য চাওয়া যাবে না। জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়, ব্যক্তির উদ্ভাবন এগুলো সম্পকের্ও তথ্য চাওয়া যাবে না। কিন্তু প্রকাশিত কোনো রিপোটর্, প্রকাশনা, নিজস্ব কাজ বা বিভিন্ন নিয়মনীতি সম্পকের্ তথ্য চাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে আমরা প্রথমে উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমর্কতার্র কাছে তথ্য চাইবো লিখিত আকারে। আবেদনের ২০ কাযির্দবসের মধ্যে তিনি তথ্য প্রদান করতে বাধ্য থাকবে। যদি প্রদান না করে তবে আপিল করতে হবে, আপিলেও সুবিধা না পেলে তথ্য কমিশন বরাবর অভিযোগ দায়ের করতে হবে। প্রতিটা ধাপ অবশ্যই লিখিত হতে হবে। এখন এভাবে আমরা যদি সঠিকভাবে আইন সম্পকের্ জেনে এর সঠিক প্রক্রিয়া মেনে কাজ করি তবে অবশ্যই আমরা এর সুফল ভোগ করব। আর সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমর্কতার্ যারা আছে তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ তাদের এই আইন সম্পকের্ বিস্তারিত না জানা, ‘তথ্য দিবো না’ এমন সংস্কৃতি, লম্বা প্রক্রিয়া এবং দুনীির্তর কারণে যারা এই আইনটি ব্যবহার করতে চায় তারা বিড়ম্বনার স্বীকার হয়। তাই আমাদের প্রত্যেককেই যার যার জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। এই আইনটি সম্পকের্ সবাইকে অবহিত করার জন্য টেলিভিশনে প্রচার, প্রত্যেকটি জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায়ে সেমিনার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার ও পাঠ্যপুস্তকে এটি অন্তভুর্ক্ত করতে হবে। এর মাধ্যমে জনগণ সচেতন হবে আর এই আইনের উপযুক্ত ব্যবহার করে আইনটিকে পরিপূণর্ কাযর্কর করবে এবং নিজেরা এর সুফল ভোগ করবে।
আশার কথা বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই আইনটি সম্পকের্ সবাইকে অবহিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সোমবার (২৮-সেপ্টেম্বর) অ্যাক্টিভিস্টা নীলফামারী এর আয়োজনে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটিতে তেমনি কিছু ব্যাতিক্রম ধর্মী কর্মর্সচী পালিত হয়। তারমধ্যে অন্যতম কর্মসূচীটি ছিল “তথ্য অধিকার আবেদন শিখন কেন্দ্র”। এই শিখন কেন্দ্রে সঠিকভাবে আইন সম্পকের্ জেনে এর সঠিক প্রক্রিয়া মেনে কিভাবে তথ্যের জন্য আবেদন করতে হয় তা হাতে কলমে শেখানো হয়।
এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ ও ইউএসএস নীলফামারী এর সহযোগীতায় অ্যাক্টিভিস্টা নীলফামারী এর বিভিন্ন যুব সংগঠনের যুবরা এই শিখন কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এক্রামুল হক এই শিখন কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন। এ ছাড়াও যুবরা তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত লিফলেট বিতরন,দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙ্গিয়ে সাধারন জনতাকে আইনটি সম্পর্কে অবহিত করার কর্মসূচী পালন করে।