নীলফামারীতে বিদ্যুতের ছেড়া তারে জড়িয়ে প্রাণ গেল কৃষকের, নেসকো অফিস ঘেরাও
নির্ণয়,নীলফামারী॥ নর্দান ইলেট্রিক সাপ্লাই কোম্পানী লিঃ (নেসকোর) উদাসীনতায় ধান ক্ষেতে স্প্রে করতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে জীবন চ্যার্টাজী (৩৮) নামে এক কৃষক প্রাণ হারিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার(১৬ সেপ্টেম্বর/২০২১) সকাল ৯ টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী জেলা সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের নৃহসিংহ ব্রাহ্মন পাড়া গ্রামে। নিহত কৃষক ওই গ্রামের নরেন্দ্র নাথ চ্যার্টাজী ছেলে। সে দুই সন্তানের জনক।
এলাকাবাসী জানায় জমিতে ফসল আবাদে সেচের জন্য এলাকার কৃষকরা বিদ্যুৎ সংযোগ নিলে বিদ্যুতের লোকজন বাঁশের খুটির মাধ্যমে সেচযন্ত্রে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়েছিল। সেখানে বিদ্যুতের তার কখন ছিড়ে পড়ে ছিল তা কেউ বলতে পারে। এ অবস্থায় কৃষক জীবন বাড়ীর পাশে নিজ আমন ক্ষেতে ক্ষতিকারন পোকা দমনে কিটনাশক স্প্রে করতে যায়। এ সময় ছেড়া তারে জড়িয়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকার মানুষজন বিক্ষুদ্ধ হয়ে নীলফামারী নেসকো অফিস ঘেরাও করে ইটপাটকেল ছুড়লে অফিসের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এলাকাবাসীর পক্ষে নরেশ বাবু, কালিপদ বাবু, সুবাস বাবু অভিযোগ করে বলেন, তারা নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল নেয় অথচ সংযোগ গুলো শক্ত খুঁটির ব্যবস্থা করে না নেসকো। ফলে কৃষকের সঙ্গে গরুও মারা যাচ্ছে।এলাকাবাসীর অভিযোগ এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। গত এক মাস আগেও হেমন্ত নামে আরেক ব্যক্তি বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও গত ৬ মাস আগে একই এলাকার শাহা পাড়ার আজিজুল ইসলামের এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা দামের একটি গরুসহ ওই এলাকায় আরো দুইটি গরু, একটি ছাগল বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা যায়।
এ ব্যাপারে, নেসকোর সহকারী প্রকৌশলী আশিকুর রহমান খান জানান, সেখানে বিদ্যুতের লাইনের সমস্যার কথা এলাকাবাসী আগে অবগত করেনি। সেখানে অচিরের পোল স্থাপন করা হবে। নীলফামারী সদর থানার ওসি আব্দুর রউপ বলেন, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
উল্লেখ যে একই অবস্থা জেলার ডোমার উপজেলার নিমজখানা নন্দীপাড়া গ্রামে চলতি বছরের ৩০ জুন বিকালে জমিতে কাজ করার সময় বাঁশের খুঁটির ছেড়া তারে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে স্কামী স্ত্রীর যথাক্রমে
ফণী ভুষন(৫৫) ও বীরো বালা (৪৫) নিহত হয়। সে সময় একটি গরুও মারা যায়।
এলাকাবাসী জানান, এই বাঁশের খুঁটি দিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের সেচ যন্ত্রের সংযোগ দেয়ায় গত ১০ বছরে কম পক্ষে ৫৫ জন কৃষক নিহত ও ২১টি গরু মারা যায়। #