ফুলবাড়ীতে ৯মাস থেকে উপবৃত্তির টাকা পায়নি প্রাথমিকের সাড়ে ১৭০০ শিক্ষার্থী
মেহেদী হাসান উজ্জ্বল,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরর ফুলবাড়ীত ২০২১ সালের গত জানুয়ারী মাস থেকে উপবৃত্তির অর্থ পায়নি ১০৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭১৯জন শিক্ষার্থী।
কোথায় আটকে আছে এই অর্থ তার কোন হদিস নাই। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের মোবাইলে ব্যাংকিং শিওর ক্যাশ থেকে উপবৃত্তির টাকা দেয়া হয়েছিল, সেখান থেকে মোবাইল ব্যাংকিং নগদ হস্তান্তর করার পর অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা আসেনি।
ফুলবাড়ী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসকে মোহাম্মদ আলী বলেন,এই বিদ্যালেয়ের ১০১জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা পায়নি।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নগদ ব্যাংকিং নাম্বার তালিকা করে কয়েক দফা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরন করা হয়েছে,নগদ কতৃপক্ষকে ওইসব নাম্বারের তালিকা দেয়া হয়েছে, তারাও কোনো সুরাহা করেনি, এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির টাকা পায়নি।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০৯টি বিদ্যালয়ে সাড়ে ১৭ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে, এর মধ্যে ১৭১৯জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা পায়নি। কি কারনে ও কাথায় এই অর্থ জমা আছে তারও কানো সঠিক তথ্য দিতে পারছেনা শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাগণ।
এদিকে ৫ম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত অনেক শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পায়নি তারা,আর কয়েক মাস পরেই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাবেন, এতে করে তাদের উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা।
জানতে চাইলে বাংলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যায়য়ের প্রধান শিক্ষক শরিফা আক্তার লাকী বলেন তার স্কুলে ১৭৭জন শিক্ষার্থী টাকা পায়নি,সেগুলোর তালিকা দেয়া হয়েছে।
ব্যাবসায়ী রাজু গুপ্ত বলেন তার মেয়ে সেজুতি গুপ্ত বাংলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী অন্য ছাত্র-ছাত্রীরা উপবৃত্তির টাকা পেলেও তার মেয়ে এখোনো পায়নি। এ নিয়ে কয়েক বার স্কুল কতৃপক্ষকে জানালেও কোনো লাভ হয়নি। একই কথা বলেন ওই বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীর ছাত্রী সুদিপ্তির আভিভাবক কৈলাশ,৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র সংযোগ প্রসাদের আভিভাবক সম্ভু প্রসাদ এবং ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী আর্ণ গুহ এর অভিভবাবক অনুপ গুহ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিনা ভূইঁয়া সত্যতা স্বীকার করে বলেন,জানুয়ারী থেকে জুন মাসের উপবৃত্তির টাকা অনান্য শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের নগদ একাউটে আসলেও,উপজেলার ১৭১৯জন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা তাদের অভিভাবকের মোবাইলে আসেনি,এই কারনে বাদপড়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নগদ ব্যাংকিং মোবাইল নম্বার গুলো শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরন করা হয়েছে,এখন পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এবিষয়ে তিনি অবগত নন, উপবৃত্তির বিষয়টি নিয়ে তিনি শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলবেন।