কিশোরীগঞ্জে ধর্ষনের শিকার ছাত্রীর স্কুল যাওয়া হলো না
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃকরোনাভাইরাসের কারনে বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রবিবার(১২ সেপ্টেম্বর/২০২১) খুলেছে। ক্লাশও শুরু হয়েছে। কিন্তু ধর্ষণের শিকার হয়ে ৫ মাসের অন্তসত্বা দশম শ্রেনীর এক ছাত্রী স্কুলে যেতে পারেনি। মামলা করায় ওই ছাত্রী এখন ধর্ষক পরিবারের হুমকীর মুখে রয়েছে। এই স্কুল ছাত্রীটি আজ রবিবার তার জীবনের ঘটে যাওয়া এই ঘটনার বিষয়টি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে আসামীর দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসী দাবি করেছে।
ঘটনাটি নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণপুষনা গ্রামের। মেয়েটি উপজেলার একটি স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্রী বলে জানায়। মেয়েটির বাবা একজন দিন মজুর। তিনি ভাড়া করা ভ্যান চালিয়ে যা উপার্জন করেন তা দিয়ে সংসার চালায়। ৫ মাস আগে প্রতিবেশী এক যুবক জোড়পূর্বক ধর্ষনের সময় তা ধর্ষক মোবাইলে ভিডিও করে। এরপর তা ইন্টারনেটে ধর্ষনের ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে আরও তিনবার ধর্ষন করে প্রতিবেশি ছকমল হোসেনের ছেলে মাসুম আলী (২৫)। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ আসামী গ্রেফতারও করেনি। মেয়েটি ও তার বাবা প্রথমে থানায় মামলা করতে গেলে আমাদের আদালতে যেতে বলে পুলিশ। বাধ্য হয়ে আদালতে এসে মামলা দায়ের করি।
মেয়েটি জানায় সে নিজেই বাদী হয়ে ১২ আগষ্ট নীলফামারী জেলা ও দায়রা জজের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ওই ধর্ষন মামলা দায়ের করলে বিচারক কিশোরীগঞ্জ থানার ওসিকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় জবাববন্দি গ্রহন,ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা,আলামত জব্দ, ডিএন পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়ে মামলাটি গ্রহন করে আদালতে প্রতিবেদনের নির্দেশ দেয়। পুলিশ আমার সকল কিছু আলামত নিলেও ধর্ষককে গ্রেফতার করেনা। উল্টো ধর্ষক মাসুদ আলী ও তার পরিবার মামলা তুলে নিতে আমাকে ও আমার বাবাকে হত্যার হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার এখন নিরাপক্তাহীনতায় ভুগছি। ওই বখাটে আমার জীবন নস্ট করে দিয়েছে। স্কুল খুলেছে অথচ আজ আমি স্কুলে যেতে পারছিনা। আমার এই কষ্ট আমি আর ধরে রাখতে পারছিনা। আমি ধর্ষকের গ্রেফতার ও ফাঁসি দেখতে চাই।
কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, পলাতক থাকায় আমরা ওই ধর্ষনের আসামী গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। #