সৈয়দপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
করোনা পরবর্তী চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোচনা ও উত্তরণের লক্ষে নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ (জিআরপি) ক্লাবে ওই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়।
উক্ত বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জননেতা মো. মোখছেদুল মোমিন।
সভায় অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. সিকান্দার আলী, আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন, উপজেলা মহিলা লীগের নেত্রী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. সানজিদা বেগম লাকী, আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর প্যানেল মেয়র-১ শাহিন হোসেন, প্যানেল মেয়র-২ আবুল কাশেম দুলু সরকার, পৌর কাউন্সিলর কাজী মনোয়ার হোসেন হায়দার, পৌর কাউন্সিলর জোবায়দুর রহমান শাহীন, আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মো. শাহাজাদা সরকার, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, শ্যামল কুমার মজুমদার, গোলাম রাকিব সোহন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক দিলনেওয়াজ খাঁন, আসাদুল ইসলাম আসাদ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম রয়েল, পৌর কৃষক লীগ নেতা আবু হেনা মো. মহসিন পুলক, সাবেক ছাত্র লীগ নেতা নজির হোসেন ও সিফাত সরকার প্রমূখ।
সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের সৈয়দপুর উপজেলা, পৌর ও পাঁচ ইউনিয়নের দুই হাজারের বেশি নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলার ৪ নম্বর বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাষক মো. আব্দুল হাফিজ হাপ্পু গোটা বর্ধিত সভাটি সঞ্চালনা করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বর্তমানে দেশের একটি বৃহত্তম ও প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন। আওয়ামী লীগ নেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। তাই দলীয় সভানেত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করতে আমাদের সবাইকে দলীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করতে হবে। দলকে সুগংগঠিত করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। অথচ আজ সৈয়দপুর উপজেলা যুব লীগের আহ্বায়ক দিলনেওয়াজ খানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দলের মধ্যে চরম অন্তঃ কোন্দল শুরু হয়েছে। এ নিয়ে নিজের দলের মধ্যে শুরু হয়েছে কাঁদা ছোঁড়াছুুঁড়ি । দুইটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী যুবলীগ নেতা দিলনেওয়াজ খানকে একজন ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, তিনি ছাত্র লীগ থেকে যুবলীগের হাল ধরেছেন। তিনি সব সময় দলের জন্য কাজ করে চলেছেন। অথচ স্বাধীনতার ৫০ বছর পর তাকে রাজাকারের সন্তান, দখলবাজ ও চাঁদাাবাজ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। আর তার বিরুদ্ধে এ সব ভিত্তিহীন অযৌক্তিক অভিযোগ তুলে তাকে অসাংগঠনিক ও অগণতান্ত্রিকভাবে দল থেকে বহিস্কারের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ যুব লীগ নেতা দিলনেওয়াজ খানের বিরুদ্ধে এ সরের কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। মূলতঃ ব্যক্তিগত হিংসা বিদ্বেষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
আর দেশের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অত্যাসন্ন। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দলীয় সৃষ্ট কোন্দল দূর করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। বর্ধিত সভা থেকে নেতবৃন্দ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে শক্তিশালী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।