নীলফামারীতে পুষ্টিখাতে অর্জন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত


নির্ণয়,নীলফামারী॥
' মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন ২০১৩ ও বিধি ২০১৭ এবং পুষ্টিখাতের অর্জন বিষয়ক' নীলফামারীতে এক কর্মশালায় স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত মহা পরিচালক (প্রশাসক) অধ্যাপক ডাঃ নাছিমা সুলতানা বলেছেন “আইন দিয়ে নয়, আমরা গণসচেতনতা বৃদ্ধির” মাধ্যমে বিশ্বের মধ্যে প্রথম সারিতে থাকতে চাই। তিনি উল্লেখ করে বলেন চলতি বছরের বুকের দুধ পান করানোয় মায়েদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ২৩ আগষ্ট শিশুদের ওয়ার্ল্ড ব্রেস্টফিডিং ট্রেন্ডস ইনিশিয়েটিভ (ডপ্লিউবিটিআই) ১০টি সূচক ও কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের ৯৮টি দেশ নিয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে লাভ করে। বাংলাদেশ এই শীর্ষ অর্জন মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক বিশাল অর্জন। এই অর্জনকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। এ জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ সহ দেশের সকল সেক্টরকে এগিয়ে আশার আহবান জানান তিনি। 

আজ রবিবার(১৯ সেপ্টেম্বর/২০২১) বিকালে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের বাস্তবায়নে ও নীলফামারী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ নাছির উদ্দিন মাহমুদ, রংপুর বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোতাহারুল ইসলাম, দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল কুদ্দুস ও নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ মেজবাহুল হাসান চৌধুরী।

কর্মশালায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক ডাঃ শোয়েব  পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে  'মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন ২০১৩ ও বিধি ২০১৭ এর বিভিন্ন ধারা-উপ ধারা এবং পুষ্টিখাতে বর্তমান সরকারের অর্জন বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য, উপাত্ত তুলে ধরেন।

কর্মশালায় জেলা পর্যায়ের শিক্ষা বিভাগের প্রধানগন , জেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক, জেলা তথ্য অফিসার, জেলার ৬ উপজেলার হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন দপ্তরের সহকারী পরিচালক ,শিশু বিশেষজ্ঞ, শিশু সেবিকাগণ ও গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

কর্মশালায় জানানো হয় শিশুর জম্মের ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে মায়ের দুধের বিকল্প কোনো খাদ্য না খাওয়ানোর ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। শিশুর জীবন রক্ষা এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাসে একান্ত ভাবে বিকল্প খাদ্য অপরিহার্য বিবেচিত হলে "বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে' নিবন্ধিত কোনো মেডিকেল চিকিৎসক উপযুক্ত প্রমাণাদির ভিত্তিতে কেবল মাতৃদুগ্ধ বিকল্প খাদ্যের ব্যবস্থাপত্র ও পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া জম্মের পর ছয় মাস বয়স পর্যন্তশিশুদের জন্য মায়ের দুধের বিকল্প কোনো খাদ্য ক্রয়-বিক্রয় দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

এছাড়া কোনো ব্যক্তি মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশু খাদ্য,বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর (ছয় মাসের পর হতে পাঁচ বছর পর্যন্ত) বাড়তি খাদ্য বা তা ব্যবহারের সরঞ্জামাদির আমদানি, স্থানীয়ভাবে উৎপাদন, বিপণন, বিক্রয় বা বিতরণের উদ্দেশ্যে, কোনো বিজ্ঞাপন মূদ্রণ, প্রদর্শন, প্রচার বা প্রকাশ করা কিংবা অনুরূপ কোনো কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখাও আইনের দৃষ্টিতে দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। যদি কোনো ব্যক্তি আইনের লংঘন করেন, তিনি অনূর্ধ্ব তিন বছরের কারাদন্ড বা অনূর্ধ্ব পাঁচ লাখ টাকার অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।

অপরদিকে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশু খাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য বা তা ব্যবহারের সরঞ্জমাদির কারনে কোনো শিশু অসুস্থ্য হলে বা মৃত্যুবরণ করলে ওই খাদ্য ও সরঞ্জামাদি প্রস্তুতকৃত প্রতিষ্ঠান ১০ বছরের কারাদন্ড বা অনূর্ধ্ব ৫০ লাখ টাকার অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। এবং অর্থদন্ড ক্ষতিপূরণ হিসেবে শিশুর পরিবারকে প্রদান করা হবে। #


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4078472314099311632

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item