নীলফামারীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন উপস্থিত হার ৮০ ভাগের উপরে
নির্ণয়,নীলফামারী॥ করোনা ভাইরাসের কারনে ৫৪৩ দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার(১২ সেপ্টেম্বর/২০২১) সারা দেশের ন্যায় নীলফামারী জেলার ৬ উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাশ শুরু হয়। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টরা চিন্তিত ছিল। কিন্তু নীলফামারীতে দেখা যায় প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের উপস্থিত হার শতকরা ৮০ ভাগের উপরে ছিল। জেলা মাধ্যমিক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস অফিস সুত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার জানান, আজ স্কুল খোলার প্রথম দিন রুটিন অনুযায়ী পঞ্চম ও তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেনীর ক্লাশ হয়। জেলার ১ হাজার ৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকালের শিফটে উপস্থিতির শতকরা হার ছিল ৮৩ দশমিক ৪১ শতাংশ ও দুপুরের শিফটে উপস্থিতি ছিল ৭১ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, এবারের বন্যায় জেলার জলঢাকা, ডিমলা, ডোমার, কিশোরীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার ১৪টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরমধ্যে দশটির অবস্থা কিছুটা নাজুক। তবে সরকারের নানা নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি থাকায় রবিবার থেকে পাঠদান করা সম্ভব হয়। তিনি আরও জানান, ডিমলার পূর্ব ছাতুনামা আমিনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি চর এলাকায় অবস্থিত। সেখানে বেড়িবাঁধের ওপর অস্থায়ী শ্রেণী পাঠদান করা হয়। এছাড়া ডিমলার টেপাখড়িবাড়ী সপ্রাবি, কিসামত ছাতনাই (২য় পর্যায়) সপ্রাবি, জলঢাকার পথকলি শিশু নিকেতন, উত্তর বগুলাগাড়ী, পশ্চিম বগুলাগাড়ী, উত্তর চেরেঙ্গা মাঝাপাড়া, আইডিয়াল কলেজপাড়া, শৌলমারী, মৌজা শৌলমারী আলসিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রবিবার থেকে চালু করা সম্ভব হয়।
অপর দিকে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, আজ প্রথম দিন জেলার ৪৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। গড়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিত ছিল শতকরা ৮০ ভাগ। প্রথম দিন বিভিন্ন স্কুলের রুটিন অনুযায়ী ক্লাশ নেয়া হয় বলে জানান তিনি।
সুত্র মতে সরকারের জারী করা নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্কুলগুলো চালু করা হয়েছে।দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঝরে পড়া বিষয়ে তারা জানান, ঝরে পড়া শিক্ষার্থী এখন চিহিৃত করা সম্ভব নয়। নিয়মিত স্কুল চলার পর বোঝা যাবে বিষয়টি। তবে প্রথম দিন উপস্থিতির হার দেখে মনে হয় ঝরে পড়ার হার খুব একটা হবেনা। তবে আমাদের একটা নির্দেশনা আছে, স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেখবো কারা স্কুলে আসছে না। তাদের বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিতে হবে কেন তারা আসছে না এবং তাদের আবার ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বলে তারা উল্লেখ করেন। #