কিশোরগঞ্জে সড়ক নির্মান কাজে দুই নম্বর ইটের ব্যবহার
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি ইউপি হতে বাবুর বাজার পর্যন্ত এক হাজার মিটার সড়ক নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যাবহার করার অভিযোগ উঠেছে। সড়কটির সাববেজ কাজে নিম্নমানের মাটি মিশ্রিত ইটের খোয়া ব্যাবহারের পর তদারকি কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় এজিংয়ে দুই নম্বর ইট ব্যাবহার করছেন ঠিকাদার ফলে সড়কটির স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপুর্ন পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প( আইআরআইডিপি-৩) প্রকল্পের অর্থায়নে ৭৭ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যায়ে রণচন্ডি ইউপি হতে বাবুর বাজার পর্যন্ত সড়ক পাকাকরন প্রকল্পের চেইনেজ ২২০০ হতে ৩২০০ পর্যন্ত মোট এক হাজার মিটার সড়ক নির্মানের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় মোঃ জামিয়ার রহমান নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। কিন্তু মুল ঠিকাদারের কাছে কাজটি চুক্তিতে নিয়ে বাস্তবায়ন করছেন নীলফামারীর ঠিকাদার মোকছেদুল ইসলাম।
গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির বক্য্রকাটিং করার পর সড়কের সাববেজে মাটি মিশ্রিত নিম্নমানের ইটের খোয়া বিছানো হয়েছে। সড়কটির এজিংয়ের কাজে দুই নম্বর ইট ব্যাবহার করা হচ্ছে। এসময় সংশিষ্ট কাজের তদারকি কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেননা।
ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা কবির হোসেন, নুর মোহাম্মদ, শফিকুল ইসলাম, আজিমুদ্দিন মিয়া সহ অনেকেই বলেন, ঠিকাদার সড়কটির বক্য্রকাটিং করার পর সাববেজে নিম্মমানের মাটি মিশ্রিত খোয়া বিছিয়ে সড়কটির রোলিং না করে সড়ককের দুইপাশ্বে দুই নম্বর ইট দিয়ে এজিংয়ের কাজ করছেন। এর আগেও পরিত্যাক্ত খোয়া নিয়ে আসায় এলঅকাবাসীর বাঁধায় সেগুলো ফেরৎ নিতে বাধ্য হয় ঠিকাদার।
সংশ্লিষ্ট কাজের তদারকি কর্মকর্তা জগবন্ধু রায়ের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কাজ শুরুর সময় ঠিকাদার বাহির থেকে খোয়া মিক্য্রড করে এনেছিল। এলাকাবাসীর বাঁধায় সেগুলো ফেরৎ দেয়া হয়েছে।
ঠিকাদার মোকছেদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সরকারী সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে। সড়ক নির্মান কাজে দুই নম্বর ইট ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই। ।
উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।