দেবীগঞ্জে এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে
মোঃ মোজাহারুল আলম জিন্নাহ্ (রানা),সিনিয়র রিপোর্টার ঃ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং আগাম বন্যা না হওয়ায় ফলনও ভালো হয়েছে। আবার পাটের মান ভাল হওয়ায় কৃষকরা দামও পাচ্ছেন ভালো। চলমান বৈশ্বিক মহামারির মাঝে পাটের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি যেন অমূল্য রতন।
তবে পানির সঙ্কটে কোথাও কোথাও দূর-দূরান্তে নিয়ে পাট জাগ দিতে হচ্ছে কৃষককে। ফলে পরিবহন খরচ ও শ্রমিক সঙ্কট নিয়ে তারা কিছুটা চিন্তিত।
দেবীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছিল কিন্তু দাম কম হওয়ায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৫৫৫ হেক্টর আবাদ হয়। উন্নতমানের বীজ, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ এবং সেচ সুবিধা নিশ্চিত হওয়ায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের সরকার পাড়া এলাকার কৃষক শেরন আলী বলেন, “৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় প্রায় ৮ থেকে ১০ মণ পাট উৎপাদন হয়েছে। সার, বীজ, নিড়ানি ও পাট কাটা, জাগ দেওয়ার জন্য কামলা, জাগ দেওয়ার পরিবহন খরচ বাবদ প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারে পাট বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। মৌসুমের শেষ পর্যন্ত দাম এভাবে থাকলে কৃষকরা প্রচুর লাভবান হবে এবং পাট চাষে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে।”
উপজেলার সুন্দরদিঘী ইউনিয়নের বগুড়া পাড়া এলাকার কৃষক হুমায়ুন কাদের বলেন, “গত বছর ৫ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করে ভালো দাম পাইনি তবে এবার ৭ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, “এবার এ অঞ্চলে ব্যাপক পাটের আবাদ হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার পাটের মানও ভালো। পাটের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা আগামীতে আরও বেশি পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে।”#