নীলফামারীতে অসহায়দের মাঝে সহায়তা প্রদান করলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ
নির্ণয়,নীলফামারী-জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে ৬ লাখ ২হাজার ৯০০ টাকার উপহার দিয়েছেন নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
বৃহস্পতিবার(১৯ আগষ্ট/২০২১) দুপুরে জেলা শিল্পকলা অডিটোরিয়ামে নীলফামারী সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে তিনি এই উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।
সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুজার রহমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মসফিকুল ইসলাম রিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন। অনুষ্ঠানের শুরু এক মিনিট নিরবতা পালন এবং সভা শেষে দোয়ায় অংশ নেন উপস্থিত নেতা কর্মীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা একটি পরিকল্পিত ঘটনা। এতদিন পরও এখোনো ষড়যন্ত্র থেমে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা একটির পর একটি ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। যার প্রমাণ দেখেছেন আপনারা। সিরিজ বোমা হামলা, ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা তারই অংশ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে আলোচনার একটি বিষয়। আমাদের দেশে দারিদ্রতা রয়েছে এটি শুধু বাংলাদেশেই নয় উন্নত দেশগুলোতেও দারিদ্রতা রয়েছে। কেউ শতভাত উন্নত হতে পারেনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ উপস্থাপন করেন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র রুদ্রজীত সরকার ¯্রােত।
সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান জানান, সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দলীয় এবং অস্বচ্ছল ২১জনের মাঝে সংসদ সদস্যের উপহার হিসেবে ২টি পরিবারকে সেমি পাকা ঘর (প্রতিটির নির্মান ব্যয় ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা), ১টি রিকশা, ১টি বাছুরসহ দুধল গাভি, ৬টি হুইল চেয়ার, ২টি সেলাই মেশিন, ঘর মেরামত ও ব্যবসাসহ অন্যান্য বিষয়ে ৯টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা।
এসময় সেমি পাকা ঘর পান দিনমজুর বাছের আলী (৭০) ও মো. আশরাফুল (৩৫)।
নীলফামারী জেলা সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের কিষামত চড়াইখোলা গ্রামে দিনমজুর বাছের আলীর সাথে কথা বলতে তিনি কান্নার কন্ঠে কলেন, মোর বাপ-দাদা পাকা ঘরত থাকির পারে নাই, ভাঙ্গা ঘরোত মোর জীবনটাও শ্যাশের দিকোত। শেখ হাসিনার সরকার আসিয়া নূর ভাইর দয়াত পাকা ঘর পানু। মুই এলা পাকা ঘরোত শান্তিত নিন পারিম। দোয়া করছো সারা জীবন সরকারোত থাকুক শেখ হাসিনা। নূর ভাই আরও বড় এমপি-মন্ত্রী হোউক।
তার মতোই খুশি জেলা সদরের চাপড়াসরমজামী ইউনিয়নের জাদুরহাট গ্রামের দিনমজুর মো. আশরাফুল জানান, তিন বছর আগে দেনা-কর্জ করে স্থায়ী নিবাসের জন্য কিনেছিলেন চার শতক জমি। কিন্তু অনটনের মধ্যে সেখানে ঘর নির্মান সম্ভব হয়নি আজও। তাই অন্যের ভিটায় বাস করতাম পরিবার সহ। আজ আসাদুজ্জামান নূরের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পেয়েছেন সেমি পাকা ঘর। এসময় ঘর পাওয়ার আনন্দে তিনি বলেন, টিনের চালার নিচোত মোর ঘরবাড়ী। আকাশের পানি ধর-ধর করি ঘরোত পড়ে। বউ-ছাওয়া নিয়া আইতোত নিন পারির পাও নাই। নূর ভাইর দয়াত এলা শান্তিত নিন পারির পারিম।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তরুণ রাজনৈতিক কর্মী দৃষ্টি প্রামানিক।
আওয়ামীলীগ ছাড়াও ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা লীগের নেতা কর্মীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। #