নীলফামারীতে এসডিজি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা ও গণশুনানী বিষয়ক ওয়েবিনার
নির্ণয়,নীলফামারী- ‘এসডিজি অর্জনে যুবকদের সঠিক ভাবে কাজে লাগানো হলে প্রতিটি উন্নয়ন কাজ সঠিক ভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তাদের সম্পৃক্ততায় সব সময় ভালো কিছু ঘটার খবর পাই আমরা। এ ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটবে না।’
নীলফামারীতে স্থানীয় পর্যায়ে এসডিজি বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক গণশুনানী ও পরামর্শ সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
আজ শনিবার(২৮ আগষ্ট/২০২১) বেলা ১১টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত ভাচ্যুয়ালী ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। একশন এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় সভার আয়োজন করে মিডিয়া হাউস ও উদয়াঙ্কুর সেবা সংস্থা (ইউএসএস)।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার।
জেলা শহরের জোরদরগায় অবস্থিত ইউএসএস এর কার্যালয় থেকে সভার সঞ্চালনা করেন জেষ্ঠ সাংবাদিক তাহমিন হক ববি। এসময় স্বাগত বক্তব্য দেন ইউএসএস এর নির্বাহী পরিচালক আলাউদ্দিন আলী।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন, গেøাবাল প্লাটফরম বাংলাদেশের প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী আরিফ সিদ্দিকী, সাংবাদিক মীর মাহমুদুল হাসান আস্তাক, ভুবন রায় নিখিল, রায়হান সবুক্তগীন অনিকেত, নূর আলম, বিজয় চক্রবর্তী কাজল, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী উপ-পরিচালক শামসুল ইসলাম ও উদ্যোক্তা শিরিন আকতার আশা প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে যুবদের সক্ষমতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ সম্পন্নে যুবদের সম্পৃক্ততা না থাকলে সেটি আলোর মুখ দেখে না। বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক সচেতনতাসহ সার্বিক কর্মকান্ডে এই যুবকরাই জড়িত। তাদের সম্পৃক্ততায় সব সময় ভালো কিছু ঘটার খবর পাই আমরা। এমডিজি সফল ভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর এসডিজি বাস্তবায়নে যুবকদের সঠিক ভাবে কাজে লাগানো হলে প্রতিটি উন্নয়ন কাজ সঠিক ভাবে সম্পন্ন করে লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতার কারণে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। এর পেছনে সরকারি নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়নে প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারীসহ তৃণমূলের মানুষ এবং যুবকদের ভূমিকা রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে এসডিজিতে উন্নীত করে আরো ভালো মর্যাদায় নিতে চান প্রধানমন্ত্রী। এজন্য যুবকদের কর্মসংস্থান, চাকুরীর পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদেশে পাঠানো ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।’
উক্ত ওয়েববিনারে শিক্ষক, সুশিল সমাজ, শিক্ষার্থী, যুব প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানটি সরাসরি ভিআইপি প্রোডাকশনের ফেসবুকে পেইজে প্রচার করা হয়। #