প্রকল্প এলাকায় এলজিইডির একজন তত্তাবধায়ক প্রকৌশলীর বাড়ি তাই কাজে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সড়ক সম্প্রসারন ও উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।তদারকি কর্মকর্তার অনুপুস্থিতিতে নিম্নমানের ইটের খোয়া ও বালু দিয়ে সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে।নীতিমালা অনুযায়ী প্রকল্প এলাকায় কাজের তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড লাগানোর কথা থাকলেও তা লাগানো হয়নি। ফলে সড়কটির স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সুত্রে এবং সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে,নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের গাড়াগ্রাম ডিসির মোড় থেকে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া ব্রীজ পর্যন্ত ১২০৯ মিটার দীর্ঘ এবং ১৬ ফিট প্রশস্ত সড়ক সম্প্রসারন কাজের জন্য ৯৬ লাখ টাকা ব্যায় ধরে টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় নীলফামারীর ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মেসার্স গোলাম রব্বানী এন্টার প্রাইজ। দরপত্র অনুযায়ী সড়কটির দুইপাশ্বে তিনফুট করে ৬ ফিট বর্ধিত করে ১৬ ফিটে উন্নিত করা হয়। সড়ক নির্মান কাজের নীতিমালা অনুযায়ী বর্ধিত ৬ ফিট সড়কে বক্য্রকাটিং করার পর বালু ফেলে সঠিকভাবে কমপেকশন করে ১০ ইঞ্চি করতে হবে। তাঁর পর বালু এবং এক নম্বর পিকেট ইটের খোয়ার মিশ্রণ হবে ৬ ইঞ্চি। বালু এবং খোয়ার মিশ্রনের উপর সঠিকভাবে মজবুতিকরন করার পর পুণরায় পিকেট ইটের খোয়া দিয়ে ডাব্লিউভিএম কাজ সম্পন্ন করতে হবে। রবিবার বিকাল ৪ টার দিকে ওই সড়কে গিয়ে দেখা যায় তদারকি কর্মকর্তার অনুপুস্থিতিতে নিম্নমানের সালুট ইটের খোয়া দিয়ে সড়ক নির্মান কাজ চলছে।
প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা নুরলহক, জামেদুল ইসলাম, আরিফুর রহমান সহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, সড়কটি বর্ধিত অংশের দুই পাশ্বে খননের পর বালু এবং খোয়া ফেলে সঠিকভাবে রলিং না করেই ডাব্লিউভিএম কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার। ফলে সড়কটির দুই পাশ্বে দেবে গিয়ে সড়ক ফেটে যেতে পারে। এছাড়াও সড়কটির ডাব্লিউভিএম কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। তদারকি কর্মকর্তা না থাকায় ঠিকাদার নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করছে।
সড়ক নির্মান কাজের দায়িত্বে থাকা কালাম মিয়া বলেন, ভাই সড়কটির দুই পাশ্বে বর্ধিত অংশে ডাব্লিউভিএমের কাজ ছিল কিন্তু পুর্বের মুল ১০ ফিট প্রস্থের সড়কে ডাব্লিউভিএম নাই। তাই পুর্বের সড়কটি ভেঙ্গে বর্ধিত অংশসহ মিল রাখার জন্য এই খোয়া ব্যবহার করে রলিং করা হচ্ছে।
সড়ক নির্মান কাজের তদারকি কর্মকর্তা জগোবন্ধু রায় সড়ক নির্মান কাজে উপস্থিত না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রকল্প এলাকায় এলজিইডি দপ্তরের একজন তত্তাবধায়ক প্রকৌশলীর বাড়ি। কাজে ঠিকাদার কোনভাবে সড়ক নির্মান কাজে কোন অনিয়ম করতে পারবেনা। সড়ক নির্মান কাজে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার এবং সঠিকভাবে মজবুতিকরন না করার বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, বিল প্রদানের আগে ভালভাবে কাজ বুঝে নেয়া হবে।
সড়ক নির্মান কাজের ঠিকাদার গোলাম রব্বানীর সাথে কথা বললে তিনি সড়কে নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করার কথা স্বীকার করে বলেন, পুর্বের ১০ ফিট সড়কে ডাব্লিউভিএম ধরা ছিলনা। তাই গোটা সড়কটি ফিনিশিং করার জন্য ওই খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রউফের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি জলঢাকা উপজেলার পাশাপাশি কিশোরগঞ্জে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। তাই এ বিষয়ে তেমন কিছু জানিনা। আপনি অফিসে আসেন বিস্তারিত কথা বলব।