বাঁশখালীতে গুলিবিদ্ধ ৬ শ্রমিকের মধ্যে একজনের লাশ ফুলবাড়ীতে দাফন
মেহেদী হাসান উজ্জ্বল,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে গুলির ঘটনায় ৬জন শ্রমিক নিহত হয়। গত ১৭ এপ্রিল শনিবার এই ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে রাজিউর রহমান (২২) নামে এক শ্রমিক দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা। নিহত রাজিউল রহমান (২২) উপজেলার বেতদিঘি ইউনিয়নের মাদিলাহাট জামাদানি গ্রামের আব্দুল মান্নান মন্ডলের ছেলে।
জানাগেছে,চট্টোগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত শ্রমিকরা তাদের বেতন ভাতা’র দাবীতে গত ১৭ এপ্রিল শনিবার সকাল ১০টার দিকে আন্দোলন করলে এ সময় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে বন্দুকের গুলি খেয়ে গুরুতর আহত হয় শ্রমিকরা। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ওইদিন ৫জন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন। এঘটনায় গুলিবিদ্ধ রাজিউর রহমানকে তার সহকর্মিরা উদ্ধার করে চট্টগ্রামের বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতালে ভর্তি করালে গত ১৯ এপ্রিল রাত দেড় টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত রাজিউল ইসলামের মরদেহ গত ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘি ইউনিয়নের জামাদানি তার গ্রামের বাড়ীতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের বাবা আব্দুল মান্নান মণ্ডল জানায়,পারিবারিক অর্থ কষ্টের জন্য ছোট ছেলে রাজেউল ইসলাম (২২) গত ছয়মাস আগে চট্টোগ্রামের বাঁশখালি কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদুৎ কেন্দ্রে শ্রমিকের চাকরি নেন। সেখানে কাজ করতে গিয়ে মাঝে মধ্যে নানা দুর্ভোগের কথা রাজিউল তার বাবা মাকে ফোনে বলতেন। বেতন-ভাতা প্রদানসহ নানা অনিয়মে মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের অসন্তোষ ছিল। তাই তারা আন্দোলন করেন। তিনি বলেন, কি দোষ ছিল আমার ছেলের? দাবির কথা বলতে গেল, আর আমার ছেলেকে ওরা মেরে দিল।