নীলফামারীর ৪ উপজেলায় ১০ মাসে ৮৬১টি পারিবারিক সহিংসতা ঘটনা ঘটেছে
নির্ণয়,নীলফামারী॥ নীলফামারীতে দিনব্যাপী ‘নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(২২মার্চ/২০২১) সকাল ১১ থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত জেলা পরিষদ মিলনায়তনে নীলফামারী পল্লী শ্রী’র আয়োজনে ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জানানো হয়, নীলফামারী জেলার সদর, সৈয়দপুর, ডোমার ও ডিমলা উপজেলায় ২০২০সালের মার্চ মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৬১টি পারিবারিক সহিংসতা, এক কিশোরী গণধর্ষণ এবং চারজন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন একজন কিশোরী, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নে দুইজন, চড়াইখোলা ইউনিয়নে একজন, এবং সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নে একজন প্রতিবন্ধী কিশোরী।
প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি জানান, আইন প্রয়োগের পাশাপাশি পুলিশ সচেতনতা মুলক নানা কার্যক্রমও পরিচালনা করছে। যাতে মানুষ অপরাধে জড়িয়ে না পড়েন। নারী ও শিশু নির্যাতন, বাল্য বিবাহসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন হতে হবে তাহলে সমাজে পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে পরিবার থেকে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
সংস্থার প্রজেক্ট ডিরেক্টর শামীমা বেগম পপির সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুসরাত ফাতেমা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দিলগীর আলম, জেলা প্রাণী স¤পদ কর্মকর্তা ডা. মোনাক্কা আলী, সদর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান সান্তনা চক্রবর্তি, জেলা পরিষদের সদস্য ইসরাত জাহান পল্লবী, এ্যাডভোকেট রোখসানা আনজুম লিজা, এ্যাডভোকেট লায়লা আঞ্জুমান আরা ইতি এবং ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের নারী উন্নয়ন কর্মী ফুলবানু আক্তার।
উক্ত কর্মশালায় ‘নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা এবং বাল্য বিবাহ বিষয়ক’ তথ্য উপস্থাপন করেন সংস্থার প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর তাইবাতুন নেহার প্রীতি।
নারীদের প্রতি সহিংসতার ধরণ পরিবর্তন হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, শুধু আইন দিয়ে নয়, সবার আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন, সচেতনতা সৃষ্টি এবং পারিবারিক মুল্যবোধ তৈরি করতে হবে। অন্যথায় এর থেকে বের হওয়া কষ্টকর।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগীতা অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সরকারী বিভিন্ন দফতর প্রধান, ইমাম, নিকাহ রেজিস্ট্রার, এনজিও প্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী এবং জনপ্রতিনিধিগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।