বাজারে উঠেছে গ্রীস্মকালিন মৌসুমি ফল তরমুজ
মেহেদী হাসান উজ্জ¦ল,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী বাজারে উঠতে শুরু করেছে গ্রীস্মকালিন মৌসুমি ফল তরমুজ। পৌর শহরে ফলের দোকান গুলোতে গ্রীস্মকালিন এই মৌসুমি ফল তরমুজ, প্রচুর পরিমানে আসলেও অনেক চড়া মুল্যে বিক্রি হচ্ছে। মুল্য বেশি হওয়ায়,ইচ্ছে থাকলেও স্বল্প আয়ের বেশিভাগর মানুষের এই মৌসুমি ফল ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। হঠাৎ আবোহাওয়া ঠান্ডা, গরম সবমিলিয়ে বিক্রি হচ্ছে কম।
ফুলবাড়ী পৌর শহরের মহাসড়কের দুই পাশে নিমতলা মোড়ে এই মৌসুমি ফল তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। ফলের দোকান গুলোতে আপেল, কমলা,পেয়ারা,বরইসহ বিভিন্ন ফলের পাশাপাশি মৌসুমি ফল তরমুজও উঠতে শুরু করেছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে।
দাম বেশি হলেও অনেকে পুজোঁর প্রসাদ হিসেবে ব্যবহার করছেন তরমুজ। এদিকে চড়া মুল্যের কারনে আনেইে আবার খরচের তালিকায় রাখতে পারছেনা এই ফল। কথা হয় কানাহার গ্রামের ফুটপাতে কাপড় বিক্রেতা আনোয়ারের সাথে তিনি বলেন,বাজারে নতুন ফল উঠলে সবার মন চায় তা খেতে,কিন্তু ইচ্ছে থাকলে আর কি হবে! আমাদের আয় বুঝে ব্যায় করতে হয়,তাই হিসেব করে চলতে হয়, সে কারনেই এতো দাম দিয়ে ফল কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। রিস্কা চালক শফিক বলেন চোখের সামনে নতুন ফল দেখে ছেলে মেয়েদের জন্য কিণতে ইচ্ছা হলেও দাম বেশী তাই কিনতে পারছি না। ক’দিন গেলে যখন দাম কমবে তখন কিনবো।
স্থানীয় আজমির ফল ভান্ডারের সত্বাধীকারী ফল ব্যবসায়ী লিযাকত আলীসহ অন্যান্য ব্যাবসায়ীরা জানায়, বর্তমানে বাজারে পতেঙ্গা,কুয়াকাটা বরিশালসহ বিভিন্ন জেলার মোকাম থেকে কালো ও বাংলা লিংক জাতের এই তরমুজ কিনে আনছেন তারা। মোকামে তরমুজের আমদানী থাকলেও বেশী দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বেচতে হচ্ছে। আবহাওয়া ঠান্ডা,গরম ও চড়া দামের কারণে বিক্রি হচ্ছে কম। তারা আরোও জানায়,বর্তমানে বাজারে তরমুজের বেচা-কেনা না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।