প্রাইভেট পড়তে গিয়ে ১২ দিন ধরে স্কুল ছাত্রী নিখোঁজ
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ প্রাইভেট পড়তে গিয়ে গত ১১ দিন ধরে বাড়ি ফিরে আসেনি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ শিশু নিকেতন স্কুল এ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আঁখি আক্তার (১৩)। সে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কেশবা গ্রামের দিনমজুর নিন্দালু মামুদের মেয়ে। এ ঘটনায় গত ৬/৩/২০২১ ইং তারিখে ওই ছাত্রীর বাবা নিন্দালু মামুদ বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন।
কিশোরগঞ্জ থানার সাধারন ডায়েরী ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক করোনা কালিন সময়ে সারাদেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্টান, কোচিং, প্রাইভেট বন্ধ রাখার হয়েছে। কিন্তু কিশোরগঞ্জ শিশু নিকেতন স্কুল এ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মোঃ সুজন মিয়া করোনা কালিন সময়ে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে স্কুলের ভিতর ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট পড়া অব্যাহত রেখেছিল। ওই স্কুলের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আঁখি আক্তার ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষক সুজনের কাছে প্রাইভেট পড়ত।
স্কুল ছাত্রী আঁখি আক্তারের বাবা দিনমজুর নিন্দালু মামুদ অভিযোগ করে বলেন, গত ৪/৩/২০২১ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে আমার মেয়ে শিশু নিকেতন স্কুল এ্যান্ড কলেজে সুজন মাষ্টারের কাছে প্রাইভেট পড়তে আসে কিন্তু প্রাইভেট শেষে আমার মেয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। আমি ওই শিক্ষক এবং স্কুলের পিয়ন আতু মিয়াকে বিষয়টি অবগত করি। কিন্তু তারা কোন খোঁজ দেওয়াতো দুরের কথা আমাকে আমার মেয়ের একটি ছবিও দিতে চায়নি। পরে ৬ মার্চ কিশোরগঞ্জ থানায় আমি একটি জিডি করি।
এ ব্যাপারে শিশু নিকেতন স্কুল এ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক সুজন মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি প্রাইভেট পড়ানোর কথা স্বীকার করে বলেন, আমি একাই প্রাইভেট পড়াই এমনটা নয় আরো অনেক শিক্ষক প্রাইভেট পড়ান। ওই দিন সে আমার কাছে প্রাইভেট পড়তে এসেছিল পরে কোথায় গেছে আমি জানিনা।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শিশু নিকেতন স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক বুলবুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম নুরুল আমিন শাহ বলেন, করোনা কালিন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধের পাশাপাশি কোচিং প্রাইভেট সব বন্ধ আছে। তাঁর পরও যদি কোন শিক্ষক সরকারী আদেশ অমান্য করে তাহলে তদন্ত পুর্বক তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়ালের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, শিশু নিকেতন স্কুল এ্যান্ড কলেজের ছাত্রী আঁিখ আক্তারের নিঁেখাজের বিষয়ে তাঁর বাবা একটি সাধারন ডায়েরী জিডি করেছেন। জিডি নম্বর ২৬৩। তিনি আরো বলেন, নিঁেখাজ ওই ছাত্রীর বিষয়ে খোঁজ খবর অব্যহত রয়েছে।