রংপুরে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, আসামির ফাঁসি
রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুরে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা করায় দায়ের করা মামলার আসামি রিয়াদ প্রধানের (২৪) ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ওই মামলায় অপর আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এক নারীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোস্তফা পাভেল রায়হান এ রায় দেন। এসময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকারি কৌঁসুলি অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মাফজিয়া হাসান দিবামণি।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের দিনমজুর শাজাহান আলীর শিশু কন্যা তানজিলা খাতুন চুমকি স্থানীয় দুরামিঠিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ২০১৬ সালের ১৪ জুন বিকেলে বাড়ির সামনের গাছ বাগানে খেলছিল শিশু চুমকি। এসময় প্রতিবেশী মমিন প্রধানের ছেলে রিয়াদ প্রধান আম খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিশুটিকে নিজ বাড়িতে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। এসময় শিশুটি চিৎকার করলে ভয়ে আসামি রিয়াদ তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বাড়ির গৃহকর্মী ধলি বেগমের (৫০) সাহায্যে সিমেন্টের বস্তায় ভরে খাটের নিচে মাটি চাপা দিয়ে রাখেন। শিশুটির খোঁজ খবর না পাওয়ার তিনদিন পর ১৭ জুন সকালে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রিয়াদ প্রধানের বাড়ির খাটের নিচ থেকে চুমকির মরদেহ উদ্ধারসহ আসামিকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার তদন্ত শেষে ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজির হোসেন। চার বছর বিচারাধীন থাকার পর মঙ্গলবার চুমকি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ছাড়াও এক লাখ জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাওছার আলী রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।
অন্যদিকে আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট কাজী মাহফুজুল ইসলাম, রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান।###