পার্বতীপুরের ৭১-এর গনকবর ও বধ্যভূমি অরক্ষিত
এম এ আলম বাবলু, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
প্রয়োজনীয় রক্ষনা-বেক্ষনের অভাবে এক কালের অবাঙ্গালী অধ্যুষিত দিনাজপুরের রেলওয়ে জংশন খ্যাত উপজেলা পার্বতীপুরের ৭১-এর গনকবর ও বধ্যভূমিটি বর্তমানে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। বধ্যভূমি এলাকায় গড়ে উঠেছে বস্তি। দখল হয়ে যাচ্ছে বধ্যভূমির জমি। ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে অসংখ্য বাঙ্গালীকে নির্মমভাবে হত্যা করে এখানকার ভূমিতে পুঁতে রাখা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পর পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন এলাকার পার্বতীপুর- সৈয়দপুর ও পার্বতীপুর-দিনাজপুর রেলপথের পাশের এলাকায় এই বধ্যভূমিটি আবিস্কৃত হবার পর এলাকাটি সংরক্ষনের জন্য একটি স্মতিস্তম্ভ নির্মিত হলেও প্রয়োজনীয় রক্ষনা-বেক্ষনার অভাবে বর্তমানে সেটি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। বধ্যভূমি এলাকায় নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্ন এলাকায় পর্যায়ক্রমে গড়ে উঠেছে বস্তি। ফলে বধ্যভূমি এলাকা বস্তিবাসীদের দখলে চলে যাচ্ছে। স্মৃতিস্তম্ভ সংরক্ষনের জন্য চারিদিকে দেওয়াল দেওয়া হলেও মূল ফটকটি উন্মুক্ত থাকায় সহজেই সেখানে গরু-ছাগল বিচরন করছে। প্রয়োজনীয় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে স্তম্ভ এলাকা জরাজীর্ন হয়ে পরেছে। এমনও অভিযোগ রয়েছে যে, বধ্যভূমি এলাকাটি মাদকসেবীদের অবাধ বিচরন ক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে পুস্পমাল্য অর্পন করা হলেও গোটা বছর ধরে বধ্যভূমিটি থাকে অরক্ষিত। এই সুযোগে বধ্যভূমি এলাকায় গড়ে উঠা বস্তিতে অবাধে মাদক ব্যবসাসহ বধ্যভূমি এলাকায় মাদকসেবীদের দৌরাত্ব বৃদ্ধি পায়।
এ ব্যাপারে মতামত ব্যক্ত করতে যেয়ে, পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জননেতা মোঃ আমজাদ হোসেন বলেন, গনকরব ও বধ্যভূমি এলাকা উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। শীগ্রই এটি বাস্তবায়িত হবে।