পীরগাছায় তিন টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে মুলা
ফজলুর রহমান, পীরগাছা(রংপুর)প্রতিনিধিঃ
রংপুরের পীরগাছায় ১৫ দিনের ব্যবধানে ৫০ টাকা কেজি দরের মুলা এখন তিন টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্রেতারা খুশি হলেও কৃষকেরা হতাশা প্রকাশ করেছে।
বুধবার(০২ ডিসেম্বর)উপজেলার সদর, তাম্বুলপুর, কান্দি, পাওটানা, দেবী চৌধুরাণীসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি মুলা তিন টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, ১৫ দিন আগেও ৫০ টাকা কেজি দরে মুলা বিক্রি হয়েছে। শীতকালীন সবজি হিসেবে মুলার কদর ছিল বেশ। এখন বাজারে সকল সবজির পাশাপাশি মুলার যোগানও অনেকটা বেশি বেড়েছে। ফলে মুলার দাম কমে ৩ টাকা কেজিতে নেমেছে।
কৃষকরা বলছেন, শুরুতে দাম ভালো পেলেও হঠাৎ দাম কমে যাওয়ায় ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। দফায় দফায় বন্যার কারণে এমনিতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাই এবার সবজি উৎপাদনে খরচ আগের তুলনায় অনেক বেশি ।
উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের শিবদেব গ্রামের কৃষক বেল্লাল হোসেন বলেন, এবার ৪০ শতক জমিতে মুলা চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে বাজারে দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছি। এখন উৎপাদন খরচ ওঠা নিয়েই চিন্তায় রয়েছি।
সবজি বিক্রেতা আব্দুল মজিদ বলেন, বাজারে এখন সব সবজি পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য সবজির দাম বেশি হলেও মুলার দাম কমেছে। ক্রেতা আশরাব আলী বলেন, বাজারে সব সবজি পাওয়া গেলেও দাম বেশি। তবে হঠাৎ মুলার দাম কমে যাওয়ায় ভালো হয়েছে। এখন নিম্ন আয়ের মানুষজন সহজে কিনতে পারবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান বলেন, উপজেলায় এক হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে রবি শস্য আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় । এর মধ্যে ৮শ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এককভাবে মুলা চাষ হয়েছে প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে। বাজারে এখন সব ধরনের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। শুরুতে মুলা বাজারে আসায় দাম বেশি ছিল। তবে অন্যান্য সবজি বাজারে চলে আসায় মুলার দাম কমেছে।