কিশোরগঞ্জে ভাঙ্গনের হুমকিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম সেতু
https://www.obolokon24.com/2020/07/blog-post_63.html
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের বেলতলী ঘাটে ১৪০ মিটার দীর্ঘ বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম সেতুর সংযোগ সড়ক এবং সেতুর মোকার নিচে বড় ধরনের ধস দেখা দিয়েছে। ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রীজটি ভাঙ্গনের হুমকীর ঝুঁকিতে রয়েছে।
সোমবার বিকালে ব্রীজটি পরিদর্শন করেছেন নীলফামারী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সুজন কুমার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল হক, নিতাই ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জ¥ান ফারুক।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এলজিইডির অর্থায়নে ৯ কোটি ১৩ লাখ ৫২ হাজার ১৩৪ টাকা ব্যায় করে নিতাই ইউনিয়নের চাঁড়ালকাটা নদীর বেলতলি ঘাটের উপর ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়।
নিতাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক বলেন, সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় চলতি বছর চাঁড়ালকাঁটা নদীটি খনন করা হয়। নদী খননের ঠিকাদার অপরিকল্পিতভাবে বোমা মেশিন বসিয়ে নদী খনন করে। অপরিকল্পিতভাবে নদী খননের ফলে এবং সরাসরি নদীর স্রোত ব্রীজের গিয়ে ধাক্কা খাওয়ায় ব্রীজটি সংযোগ সড়ক এবং মোকা ধসে গেছে।
মুশরুত পানিয়াল পুকুর বেলতলি গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, ব্রীজটির সংযোগ সড়ক এবং ব্রীজের ধসে যাওয়া মোকাটি দ্রুত মেরামত না করলে ব্রীজটির বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে নীলফামারী এলজিইডি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড রশি টানাটানি শরু করেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ব্রীজটি মেরামত করা খুবই জরুরী। খুব দ্রুত ব্রীজটির সংযোগ সড়কসহ ধসে যাওয়া অংশটি মেরামত করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এলজিইডিকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি।
নীলফামারী এলজিউডির নির্বাহী প্রকৌশলী সুজন কুমার বলেন, চাঁড়ালকাঁটা নদীর পুর্ব পশ্চিম পারে বাঁধ না দিলে কোন ভাবেই ব্রীজটি রক্ষা করা সম্ভব নয়। বর্তমানে নদীর স্রোত সরাসরি ব্রীজে এসে ধাক্কা খাওয়ার ফলে এমনটি হয়েছে। আমরা আপাতত ব্রীজটি রক্ষা জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেব।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোফাখারুল ইসলাম বলেন, নদীর কাজই হচ্ছে ভাঙ্গা আর গরা। আমি নিজেই নদীর খনন কাজ পরিদর্শন করে এলজিউডিকে চিঠি দিয়ে ব্রীজের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।