সৈয়দপুর বিমানবন্দর মার্কেটের ৭ দোকানে চুরি
https://www.obolokon24.com/2020/07/blog-post_33.html
নীলফামারী প্রতিনিধি॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর সংলগ্ন মার্কেটের ৭টি দোকানে পর পর চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই মার্কেটের ব্যবসায়ী চরম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। বার বার চুরির ঘটনা ঘটলেও বিমানবন্দর কর্র্তৃৃপক্ষ আইনগত কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় চুরির ঘটনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে। সর্র্বশেষ আজ সোমবার(৬ জুলাই/২০২০) ভোর রাতে আবারও দোকানের তালা ভেঙ্গে চুরি সংঘটিত হয়েছে। এতে মার্র্কেটের ক-৭ নং দোকান ইমরান স্টোরের নগদ টাকা মোবাইল ও অন্যান্য মালামালসহ প্রায় ৫৫ হাজার টাকার জিনিস চুরি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইমরান স্টোরের মালিক মোঃ ইমরান জানান, গতকাল রবিবার(৫ জুলাই/২০২০) রাত ১২ টার দিকে তিনি দোকান বন্ধ করে বাসায় যান। আজ সোমবার সকালে এসে দেখতে পান তার দোকানের তালা ভেঙ্গে চুরি করেছে চোর। মার্কেটে নিজস্ব সিকিউরিটি গার্ড সিথিয়া নামে একজন থাকা সত্বেও এভাবে চুরির ঘটনা ঘটলেও তিনি কিছুই জানেন না। আবার এ ব্যাপারে পুলিশকে জানাতে চাইলে চুুরির ঘটনা সাংবাদিকরা জানলে খবর প্রকাশ হতে পারে এমন আশঙ্কায় বিমানবন্দর ম্যানেজার সুশান্ত দত্ত তা জানাতে নিষেধ করেছেন। এমনকি জিডি করতে চাইলেও মানা করেছেন।
ইমরান আরো বলেন, ইতিপূর্বেও এই মার্কেটে প্রায় ৭টি দোকানে চুরি হয়েছে। গত ১ সপ্তাহ আগেও এরশাদ ওয়েল্ডিং এন্ড ট্রাংক হাউজে চুরি হয়েছে। এর আাগে আকিব ট্র্রেডার্সের দোকান থেকে ফটোকপি মেশিন, কলাপাতা চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট থেকে ৬টি সেলিং ফ্যান, অপ্পো মোবাইল শো-রুম থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকার মোবাইল, বিকাশের দোকান থেকে ডকুমেন্ট ফাইলসহ কেবিনেট চুরি হয়। তাছাড়া সৈয়দপুর সেনানিবাসের ইএমএস গেট সংলগ্ন জুয়েল স্টোরের বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়েছে। তার প্রশ্ন বিমানবন্দরের প্রবেশমুখের সিকিউরিটি বক্স (নিরাপত্তা চৌকি) থেকে মাত্র ৫০ গজ উত্তরে আর ক্যান্টনমেন্টের প্রবেশমুখের আরএমপি চেকপোষ্ট থেকে মাত্র ৭০ গজ দক্ষিণে রাস্তার সাথেই গড়ে ওঠা বিমানবন্দর মার্কেটে যদি এত নিরাপত্তা বেষ্টিত জায়গায় এভাবে প্রতিনিয়ত চুরি সংঘটিত হয় তাহলে কিভাবে আমরা ব্যবসা করবো? তার উপর চুরি বিষয়ে আইনগত সহযোগিতা পেতে প্রশাসনকে জানানোতেও বাধা দেয়া হচ্ছে। এতে আমরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। বিমানবন্দর কর্তৃৃপক্ষ না দিচ্ছে নিজেরা নিরাপত্তা না দিচ্ছে পুুলিশের সহযোগিতা নিতে।
তিনি বলেন, নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা দোকানদাররা যে সিকিউরিটি গার্ড রেখেছি তাকে গতরাতে মার্কেটে আসতে দেখিনি। চুুরির পর তার কোন হদিস না পেয়ে বাড়ি থেকে ডেকে আনা হলে সে চুুরির বিষয়ে কিছুই জানেনা বলে। কিন্তু সে ভোরে বাড়ি যাওয়ার সময় আমার দোকানের সাটার খোলা দেখেছিল বলছে এবং তা আমাদের বা কাউক্ইে জানায়নি।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুশান্ত দত্ত বেলা ৩ টার দিকে এই রিপোর্ট লেখার সময় মুঠোফোনে জানান, এই মাত্র আমি ঘটনাটি জেনেছি এবং সৈয়দপুর থানায় জানিয়েছি। তারা সন্ধায় এসে তদন্ত করে দেখবে।