সরকারী ত্রানের প্যাকেট পেয়ে মহাখুশী তিস্তাপাড়ের বানভাসীরা
https://www.obolokon24.com/2020/07/Tista_14.html
নীলফামারী প্রতিনিধি॥ তিস্তা নদীর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো সরকারী ভাবে প্যাকেজ ত্রান পেয়ে মহাখুশী। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে বানভাসীরা জানান এর আগে এমন ত্রান কোন সরকারের আমলে তারা পায়নি। তিস্তার বন্যা ও ভাঙ্গনে যে সকল পরিবার ঘরবাড়ীবসত ভিটা হারিয়ে বিভিন্ন স্কুল ও উঁচুস্থানে আশ্রয় নিয়েছে এমন ১৪৭ পরিবারকে সরকারী ত্রানের প্যাকেজ প্যাকেট সহ নগদ দুই হাজার করে প্রদান করা হয়।
আজ মঙ্গলবার(১৪ জুলাই/২০২০) নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্নস্থানে আশ্রয় নেয়া এই সকল পরিবারকে সরকারী এই ত্রান নিজে গিয়ে হাতে তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, মোঃ মেজবাহুর রহমান, উপজেলার ত্রাণ শাখা উপ-সহকারী প্রকৌশলীর মোঃ ফেরদৌস আলম সহ সংশ্লিষ্ঠ ইউপির চেয়ারম্যানগন।
সরকারী ওই ত্রানের প্যাকেট প্যাকেজে ছিল মিনিকেট চাল ১০ কেজি, মসুরডাল ১ কেজি, আয়োডিনযুক্ত লবন এক কেজি, চিনি এক কেজি, চিড়া দুই কেজি, সয়াবিন তেল এক লিটার, নুডলস্ ৫০০ গ্রাম। চাল, চিড়া ও চিনি বাদে প্রতিটি খাদ্য সামগ্রীর প্রস্তুতের তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ সরকারী ত্রানের প্যাকেজ প্যাকেটে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ত্রানের প্যাকেটগুলো ত্রান ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয় হতে প্রেরন করা হয়।
ঝুনাগাছ ইউনিয়নের ছাতুনামা ও ভেন্ডবাড়ি এলাকায় স্কুলে আশ্রয় নেয়া বেশ কিছু পরিবার জানায়, ইউএনও স্যার নিজে এসে আমাদের হাতে সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো ত্রানের প্যাকেট দিয়েছেন। এমন ত্রান এর আগে কোনদিন চোখে দেখিনি। অনেক কিছু দিয়েছেন একটি বস্তায় ভরে।
জানা যায়, সরকারি হিসাব মতে ডিমলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে দুইদিনের তিস্তার বন্যায় ছয় হাজার ২৭০টি পরিবার বন্যা কবলিত হয়। পাশাপাশি নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে ১৪৭টি পরিবারের বসতভিটা। বসতভিটা হারানো পরিবারগুলোর মধ্যে রয়েছে ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ছাতুনামা ও ভেন্ডবাড়ি গ্রামে ৮৭ পরিবার, টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি, পূর্বখড়িবড়ি এলাকায় ২৪ পরিবার, খালিশাচাঁপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর ও ছোটখাতা গ্রামে ১৩ পরিবার ও খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের কিছামত চরে ২৩ পরিবার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারগুলোর জন্য নতুন করে সরকারী ভাবে ১১০ মেট্রিকটন চাল, নগদ এক লাখ টাকা ও এক হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বন্যাকবলিত পরিবারগুলোতে ১০ কেজি করে ত্রানের চাল বিতরনের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে বরাদ্দ দেয়া হয়। দ্রুততার সঙ্গে ওই পরিবারগুলোর মাঝে ত্রান বিতরনের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে। এ ছাড়া যে ১৪৭টি পরিবারের বসতঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে তাদের নগদ দুই হাজার করে টাকা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের প্রেরিত প্যাকেট প্যাকেজের ত্রাণ প্রদান করা হয়।