দিনমজুর রাজু চিকিৎসক হয়ে আলো ছড়াতে চায়
https://www.obolokon24.com/2020/06/student.html
নীলফামারী প্রতিনিধি\ বাবা দিনমজুর। বাবার সঙ্গে কৃষি জমিতে দিনমজুরী করতো রাজু। বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় রাতে কুপি জ্বালিয়ে চলতো লিখাপড়া। নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কৃষি শ্রমিক রাজু এবার এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ গোল্ডেন অর্জন করেছে।
আজ বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় রাজু ইসলামের বাড়ি নীলফামারী জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের দেবীর ডাঙ্গা মুন্সীপাড়া গ্রামে। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে মেজো সে। বড় বোন আসমা আক্তার এবার মানবিক বিভাগে পাস করেছে এসএসসি। ছোট বোন খুশি আক্তার পড়ছে সপ্তম শ্রেণিতে। রাজুর মা আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, বাড়ির ভিটার চার শতক জমি ছাড়া আর কিছু নেই আমাদের। তার বাবার কৃষি শ্রমিকের আয়ে ছেলের লেখাপড়ার সাধ প‚রণ করব কিভাবে?
তার বাবা আলম মিয়া কৃষি শ্রমিক। অন্যের কৃষিজমিতে শ্রম খাটানোর আয়ে জোটে না পরিবারের পাঁচ সদস্যের দুই বেলার খাবার। এর ওপর ছেলে রাজুসহ মেয়ে আসমা আক্তার ও খুশি আক্তারের লেখাড়ার খরচ বহন করা কিভাবে সম্ভব! রাজু লেখাপড়া শিখে চিকিৎসক হতে চায়। কিন্তু অন্তরায় পরিবারের দরিদ্রতা।
রাজু জানায়, স্কুল যখন বন্ধ থাকে তখন বাবার সঙ্গে কৃষি শ্রমিকের কাজ। এসএসসি পরীক্ষা শেষ হবার পর থেকে বাবার সঙ্গে দিন মজুরী কাজ করে আসছে।পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন রাজু গ্রামে দিনমজুরীতে এক কৃষকের পাটক্ষেত নিড়ানীর কাজ করছিল।
পঞ্চম শ্রেণিতে জিপিএ-৫ পেয়ে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছিল রাজু। ওই ফলাফলে লেখাপড়ার দিকে আরো বেশি করে ঝোঁকে সে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পায় বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দ‚রের নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। জেএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ অর্জন করে সাধারণ বৃত্তি পায়। তার এমন মেধায় শিক্ষকদের প্রিয় হয়ে ওঠে রাজু।
রাজু জানায় বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় রাত জেগে কুপির আলোতেই পড়তে হয়েছে। ভালো রেজাল্টের জন্য বন্ধুরা বিভিন্ন বিষয়ের নতুন বই কিনলেও আমি সংগ্রহ করেছি পুরনো বইয়ের দোকান থেকে। বিদ্যালয়ে যাতায়াত করেছি পুরনো বাইসাইকেলে। স্যারেরা স্কুলে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন বিনা বেতনে। পারিশ্রমিক ছাড়াই পড়িয়েছেন প্রাইভেট।
নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিপ্লব কুমার দাস বলেন, রাজু অত্যন্ত মেধাবী। একই শার্ট-প্যান্ট পরে তাকে প্রতিদিন স্কুলে আসতে দেখেছি। মাঝেমধ্যে তার পরনে ভেজা কাপড়ও দেখা গেছে, তার পরও দমেনি সে। সহযোগিতা পেলে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে অবশ্যই পৌঁছতে পারবে সে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা সহযোগিতা করে তাকে পার করেছি বিদ্যালয়ের গন্ডি। আগামীতে আরো সহযোগিতা পেলে সে পৌঁছতে পারবে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে।
এবার নীলফামারী সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৩০জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করে জিপিএ পাঁচ অর্জণ করে ১৫৫জন। গতবারও শতভাগ পাস করে জিপিএ পাঁচ অর্জন করেছিলো ৬৯জন।#
আজ বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় রাজু ইসলামের বাড়ি নীলফামারী জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের দেবীর ডাঙ্গা মুন্সীপাড়া গ্রামে। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে মেজো সে। বড় বোন আসমা আক্তার এবার মানবিক বিভাগে পাস করেছে এসএসসি। ছোট বোন খুশি আক্তার পড়ছে সপ্তম শ্রেণিতে। রাজুর মা আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, বাড়ির ভিটার চার শতক জমি ছাড়া আর কিছু নেই আমাদের। তার বাবার কৃষি শ্রমিকের আয়ে ছেলের লেখাপড়ার সাধ প‚রণ করব কিভাবে?
তার বাবা আলম মিয়া কৃষি শ্রমিক। অন্যের কৃষিজমিতে শ্রম খাটানোর আয়ে জোটে না পরিবারের পাঁচ সদস্যের দুই বেলার খাবার। এর ওপর ছেলে রাজুসহ মেয়ে আসমা আক্তার ও খুশি আক্তারের লেখাড়ার খরচ বহন করা কিভাবে সম্ভব! রাজু লেখাপড়া শিখে চিকিৎসক হতে চায়। কিন্তু অন্তরায় পরিবারের দরিদ্রতা।
রাজু জানায়, স্কুল যখন বন্ধ থাকে তখন বাবার সঙ্গে কৃষি শ্রমিকের কাজ। এসএসসি পরীক্ষা শেষ হবার পর থেকে বাবার সঙ্গে দিন মজুরী কাজ করে আসছে।পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন রাজু গ্রামে দিনমজুরীতে এক কৃষকের পাটক্ষেত নিড়ানীর কাজ করছিল।
পঞ্চম শ্রেণিতে জিপিএ-৫ পেয়ে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছিল রাজু। ওই ফলাফলে লেখাপড়ার দিকে আরো বেশি করে ঝোঁকে সে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পায় বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দ‚রের নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। জেএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ অর্জন করে সাধারণ বৃত্তি পায়। তার এমন মেধায় শিক্ষকদের প্রিয় হয়ে ওঠে রাজু।
রাজু জানায় বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় রাত জেগে কুপির আলোতেই পড়তে হয়েছে। ভালো রেজাল্টের জন্য বন্ধুরা বিভিন্ন বিষয়ের নতুন বই কিনলেও আমি সংগ্রহ করেছি পুরনো বইয়ের দোকান থেকে। বিদ্যালয়ে যাতায়াত করেছি পুরনো বাইসাইকেলে। স্যারেরা স্কুলে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন বিনা বেতনে। পারিশ্রমিক ছাড়াই পড়িয়েছেন প্রাইভেট।
নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিপ্লব কুমার দাস বলেন, রাজু অত্যন্ত মেধাবী। একই শার্ট-প্যান্ট পরে তাকে প্রতিদিন স্কুলে আসতে দেখেছি। মাঝেমধ্যে তার পরনে ভেজা কাপড়ও দেখা গেছে, তার পরও দমেনি সে। সহযোগিতা পেলে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে অবশ্যই পৌঁছতে পারবে সে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা সহযোগিতা করে তাকে পার করেছি বিদ্যালয়ের গন্ডি। আগামীতে আরো সহযোগিতা পেলে সে পৌঁছতে পারবে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে।
এবার নীলফামারী সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৩০জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করে জিপিএ পাঁচ অর্জণ করে ১৫৫জন। গতবারও শতভাগ পাস করে জিপিএ পাঁচ অর্জন করেছিলো ৬৯জন।#