নীলফামারীতে “শিওর ক্যাশে” প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি নগদায়ন করনে এজেন্টরা অতিরিক্ত ২০ টাকা আদায় করছে!

বিশেষ প্রতিনিধি\
নীলফামারীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির সরকার প্রদেয় অর্থ উত্তোলনে “শিওর ক্যাশ” এজেন্টদের কাছে প্রতারিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। অভিযোগ উঠেছে উপবৃত্তির টাকা নগদায়ন করনের সময় নীলফামারী সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শিওর ক্যাশ এজেন্টরা জোরপ‚র্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। আজ সোমবার এমন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন জানান এ ঘটনার প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প( পর্যায়-৩) প্রকল্প পরিচালকের নিকট শিওর ক্যাশ এজেন্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তিনি বলেন এমন ঘটনা যাতে পুনরায় না ঘটে এ জন্য সকল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ,ক্লাষ্টার মাষ্টার শিওর ক্যাশ রংপুর বিভাগকে সজাগ থাকতে অনুরোধ করা হয়।
তিনি আরো জানান, সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য এ উপহারে এজেন্টদের অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কোন সুযোগ নেই। কেননা এজেন্টদের সাথে সরকারের একটা কমিশনের চুক্তি রয়েছে। যেখানে অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পুরো টাকাই দিতে হবে।
অভিযোগে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন স্থানে শিওর ক্যাশ এজেন্টরা বিভিন্ন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কাছে ৩০০ টাকায় অতিরিক্ত ২০ টাকা হারে জোরপ‚র্বক অর্থ গ্রহণ করে আসছে। জেলা সদর উপজেলার খোকশাবাড়ির হালিরবাজার ও শহরের গাছবাড়ি এলাকার শিওর ক্যাশ এজেন্টরা ৩০০ টাকা নগদায়ন করনের সময় অভিভাবকদের নিকট হতে ২০টাকা করে জোড়প‚র্বক আদায় করেন। এ ব্যাপারে ওই সকল এলাকার “শিওর ক্যাশ” এজেন্টরা নিজেদের ভুল স্বীকার করে না করে উল্টো চড়াভাষায় কথা বলেন। তাদের একই কথা ৩০০ টাকায় ২০ টাকা না দিলে তারা নগদায়ন দেবেনা।
সুত্র মতে জেলার ছয় উপজেলায় উপবৃত্তির সুবিধাভোগীর স্কুল সংখ্যা ১ হাজার ১০৬টি। সুবিধাভোগী শিক্ষার্থী এক লাখ ৮২ হাজার ৫২৮ জন। এর মধ্যে জেলা সদর উপজেলায় ৩৬ হাজার ৬১৬,কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ২৭ হাজার ৬৩৫,জলঢাকা উপজেলায় ৪৭ হাজার ১৪৪,ডিমলা উপজেলায় ২৯ হাজার ৩১২, ডোমার উপজেলায় ২৬ হাজার ৩১২ ও সৈয়দপুর উপজেলায় ১৫ হাজার ৫০৯ জন।
 ২০১৯ সালের অক্টোবর টু ডিসেম্বর মাসের উপবৃত্তির টাকা মায়েদের মোবাইলের “শিওর ক্যাশে” প্রতি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রেরন করা হয় ৩০০ টাকা করে।
জানা যায়, করোনা ভাইরাসের কারনে সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ২০১৯ সালের অক্টোবর, নবেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের উপবৃত্তির টাকা বকেয়া পড়ে যায়। এ ছাড়া চলতি বছরের আরো ৬ মাসের উপবৃত্তির সঙ্গে পাশাপাশি এসব শিক্ষার্থীদের জামা, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য বছরের এক হাজার করে টাকাও দেয়া হবে। করোনার এই দুর্দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবার এই অর্থ পাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। সুত্র মতে গত বছরের তিন মাসের বকেয়া উপবৃত্তি প্রদান শেষে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির উপবৃত্তির অর্থ একসঙ্গে দেয়া শুরু হবে। উপবৃত্তির অর্থ সুবিধাভোগীদের মোবাইলে শিওর ক্যাশের মাধ্যমে প্রেরন করা হবে। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2282870156108782524

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item