চাহিদাও নেই তাই বিক্রিও কম করোনা কালে ভালো নেই নীলফামারীর পাল পাড়ার মৃৎশিল্পীরা

 
নীলফামারী প্রতিনিধি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) বৈশ্বিক দুর্যোগে বাংলাদেশ সহ বিশ্বকে শক্তিহীন করে খেটে খাওয়া বিভিন্ন পেশার মানুষজনকে অকেজো করে দিয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ঐতিহ্য মৃৎশিল্পীদের করেছে কোনঠাসা।
করোনা ভাইরাসের কারণে এবার বাংলাদেশের বড় উৎসব চৈত্র সংক্রান্তির (চরক পূজা) ও বাংলা নববর্ষ পালিত হয়নি। বসেনি কোন মেলা বা প্রর্দশনী। হাটবাজার চলছে স্বাস্থ্য বিধি ও সীমাবন্ধ সময়ের মধ্যে। বর্তমান এমন পরিস্থিতিতে আর্থিক সংকটে পড়েছেন উত্তরের নীলফামারী সহ বিভিন্ন  স্থানে পাল পাড়ার মৃৎশিল্পীরা। ফলে মৃৎ শিল্পীদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। 
সংশ্লিষ্টরা জানান, এ স¤প্রদায়ের লোকজন বেঁচে থাকে বাংলা নববর্ষের মেলা এবং প্রদর্শনীর আয়োজন ঘিরে। করোনার কারণে এ বছর সব কিছু থমকে গেছে। 
করোনা ভাইরাসের এক মাস আগে নববর্ষের বৈশাখী মেলা ঘিরে মৃৎশিল্পদের চলছিল প্রস্তুতি। আগেই  বায়না দিয়ে রাখা ব্যবসায়ীরাও শেষ মুহূর্তে অর্ডার বাতিল করে বসে। ফলে জিনিসপত্র নিয়ে বিপাকে পড়ে পালপাড়ার কুমাররা।
আজ রবিবার(১৪ জুন/২০২০) জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর মুসরত কুখাপাড়া গ্রামের শৈলেন চন্দ্র পাল বলেন, করোনার জন্য সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। অনাহারে অর্ধাহারে চলছে তাদের জীবন। ভালো নেই তারা। তৈরী করা বহু মাটির তৈজ্যসপত্র অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। 
ওই গ্রামের শঙ্কর চন্দ্র পাল বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে হাট বাজার সময়সীমার মধ্যে পরিচালিত হওয়ায় ঠিকমতো ব্যবসা চলছেনা। নববর্ষ বা বৈশাখে যে আয় রোজগার করা হতো সেই আয় দিয়ে বছর চলে যেতো। করোনা ভাইরাস আমাদের পথে বসিয়ে দিয়েছে। চরম সমস্যায় পড়েছি আমরা। তিনি বলেন, এবার মৃৎশিল্পের ব্যবসার চিত্র ভিন্ন। মাটির তৈরি হাজার হাজার তৈজসপত্র রয়েছে মৃৎশিল্পীদের কারখানায়। এই স¤প্রদায়ের মানুষের রুজি রোজগার প্রায় বন্ধের পথে। বিভিন্ন পেশার মানুষজন সরকারের প্রনোদনা পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দিকে কেউ মুখ ফিরে চেয়ে দেখেনা।  
জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া পালপাড়া গ্রাম। এখানে মৃৎশিল্পীর প্রসারতা অনেক বড়। এখানকার করুনা কান্ত পাল জানান, চোখে মুখে অন্ধকার দেখছি। ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারটা আমাদের দিকে ফিরেও তাকায়নি। করোনা কালে সরকার কত কিছু ত্রান দিল। আমাদের ভাগ্যে জুটেনি কিছুই। বার বার ধর্না দিয়েও আমাদের নাম তালিকায় দেয়নি। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে আমাদের তৈরী জিনিষপত্রের কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেলো। আমরাতো মাটি কিনে এসে তৈজস্যপত্র তৈরী করি। এ অব¯'ায়  এখানকার প্রায় দুইশত পরিবার চরম বিপাকে পড়েছে। সরকারি প্রণোদনার দাবি জানান তিনি। 
নীলফামারী সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সভাপতি তাহমিনুল হক বলেন, কামার, কুমার, জেলে ও তাঁতি এরা সমাজের একটি অংশ। অর্থনৈতিক উন্নয়নে তারা ব্যাপক অবদান রাখে। সরকারিভাবে তাদের সহযোগিতার অনেক সুযোগ আছে। সরকার যদি স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে মৃৎশিল্পীদের  তালিকা করে ক্ষুদ্র ঋণ সহ প্রনোদনার আর্থিক সুবিধা দিতে পারেন।কারন  মৃৎশিল্প সম্প্রদায় আমাদের ঐতিহ্য। এই ঐহিত্যকে বিলুপ্তের হাত হতে রক্ষা করতে হবে। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7760914221941581431

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item