নীলফামারীতে চাঞ্চল্যকর মিনা হত্যা মামলার অন্যতম আসামী শ্বশুড় গ্রেফতার
https://www.obolokon24.com/2020/06/Arast.html
নীলফামারী প্রতিনিধি চাঞ্চল্যকর মিনা ওরফে সাথী ঋষী হত্যাকান্ডের পলাতক অন্যতম আসামী শ্বশুড় গণেশ ঋষী অবশেষে গ্রেফতার হয়েছে। আজ শনিবার বিকালে তাকে নীলফামারী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে আদালতের বিচারক জাহিদ হাসানের কাছে পুত্র বধু মিনাকে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিও দেয় গনেশ। পরে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জেলা সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের হালিবাজার মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গণেশ ঋষী ওই গ্রামের রমেশ ঋষীর ছেলে ।
এলাকায় প্রচার আছে পুত্রবধুর উপর ক্যু-নজর ছিল শ্বশুড়ের। পুত্রবধু বিষয়টি তার স্বামীকে বলার পর মিনার উপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়ক। পুত্রবধুর অভিযোগ সঠিক নয় এমন কথা বিশ্বাস করে মিনার স্বামীও তার বাবা,মার সঙ্গে মিনার উপর নির্যাতন চালাতে থাকে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই রাতে মিনাকে বিবস্ত্র অবস্থায় নির্যাতন করা হচ্ছিল। প্রাণ বাঁচাতে বিবস্ত্র অবস্থায় মিনা স্বামীর বাড়ি হতে বেড়িয়ে দৌড়াতে থাকে। ওই অবস্থায় তার পেছনে ধাওয়া করে শ্বশুড়,স্বামী শাশুড়ি।
এরপর মিনাকে ধরে তারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হালিরবাজার এলাকার মনির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে ফেলে রেখে নিজবাড়ি ফিরে যায়। পরের দিন ২৮ মে সকালে মানুষজন লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় মিনার শ্বশুড়বাড়ির লোকজন প্রচার চালাতে থাকে মিনার ভুতের আঁচড় ছিল। রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি মিনা। মিনার লাশ উদ্ধারের সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী তিমোয়িথ, শাশুড়ি শিউলি ঋষী ও কাকি শ্বাশুড়ি মিনতি রানীকে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় মিনার শ্বশুড় আত্মগোপনে চলে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা গ্রেফতার মিনার স্বামী সহ অন্যান্যরা পুলিশের কাছে মিনাকে হত্যার কথা স্বীকার করলে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে হত্যার স্বীকারোক্তি গ্রহন করায়। আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে।
নীলফামারী থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মাহমুদ-উন-নবী জানান, গত ২৮মে সকালে হালিরবাজার এলাকার মনির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছন থেকে মিনার লাশ উদ্ধার করা হয়। হত্যায় জড়িত স্বামী তিমোয়িথ শ্বাশুড়ি শিউলি ঋষী ও কাকি শ্বাশুড়ি মিনতি রানীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, গোপনে জানতে পারি মিনার শ্বশুড় এলাকায় এসেছে। এরপর অভিযান চালিয়ে মধ্যরাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।#