ধর্ষক প্রভাতকে দ্রুত গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন
https://www.obolokon24.com/2020/03/thakurgaon_18.html
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ধর্ষক প্রভাতকে দ্রুত গ্রেফতারের প্রতিবাদে আবারও মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী ।
স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ৭২ ঘন্টা অতিবাহিত হলে এখনো গ্রেফতার হয়নি ধর্ষক প্রভাত রায়।
ধর্ষক প্রভাত রায়কে দ্রুত গ্রেফতার করতে না পারায় মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারী অতিথি, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ধর্ষক প্রভাত রায়কে দ্রুত গ্রেফতার করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। ধর্ষক প্রভাত রায় দ্রুত গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঘোষনা দেন।
বিকেল সাড়ে ৩টায় এডিশনাল এসপি কামাল,এএসপি ও হরিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আমিরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শনের এসে উত্তেজিত এলাকাবাসী, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকগণকে আশ্বস্ত করে বলেন ধর্ষক প্রভাত রায়সহ এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত আছে তাদের সবাইকে অতি শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাধিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের গ্রেফতারের জন্য। মামলা পরিচালনার ব্যাঘাত যেন না ঘটে তাই বেশি কিছু বলতে চাই না তবে আশা রাখি খুব শীঘ্র আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
ধর্ষক প্রভাত রায় হরিপুর উপজেলার ৩নং বকুয়া ইউনিয়নের সকল ভিটা গ্রামের ভেটকু রায়ের ছেলে। স্কুল ছাত্রী (ধর্ষিতা) উপজেলার ধীরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সদ্য শেষ হওয়া এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত রবিবার সকালে ধর্ষক প্রভাত রায় স্কুল ছাত্রীকে প্রাইভেট মোবাইলে ফোনে প্রাইভেট সেন্টারে আসতে বলে। স্কুল ছাত্রী প্রাইভেট সেন্টারে আসলে ধর্ষক প্রভাত চন্দ্র বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শণ করে ও চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে স্কুল ছাত্রী প্রচুর রক্তপাত ঘটে। এসময় সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। স্কুল ছাত্রী বর্তমানে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।