পঞ্চগড়ে মাদ্রাসা সুপারের অবৈধ নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ
https://www.obolokon24.com/2020/03/panchagar_95.html
সাইদুজ্জামান রেজা, পঞ্চগড়:
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ দিয়ে ঘুষ আদায়, চাকরির আশ্বাস দিয়ে প্রতারনা এবং নিয়ম বহির্ভুত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অর্থ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে অবৈধ নিয়োগ অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
মোহাম্মদ আবুল হাশেম নামের ওই মাদ্রাসা সুপার উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের হাড়িভাসা দারুচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসায় দায়িত্বরত।
গত ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মোঃ এমদাদুল হক নামের এক ভুক্তভোগি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানান, ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বরে দৈনিক মানব জমিন পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে তিনি মাদ্রাসায় 'প্রদর্শক' পদে চাকরির আবেদন করেন। ওই পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য মাদ্রাসা সুপারের চাহিদানুযায়ী পাঁচ লক্ষ টাকা সুপারকে ঘুষও দেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী ২০১৫ সালের ৩১ আগষ্ট নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণও হন এবং একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পত্রও দেয়া হয় তাকে।
এমদাদুল জানান, শর্ত অনুযায়ী এক সপ্তাহের মধ্যে মাদ্রাসায় যোগদান করে ওই পদে সকল দায়িত্ব পালন করলেও এখন পর্যন্ত বেতন ভাতার হদিস মিলেনি। অফিস হাজিরা খাতায় কখনো উপস্থিতি স্বাক্ষরও করতে দেয়া হয়নি তাকে। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ আবুল হাশেম তাকে গোপনে অবৈধ নিয়োগ দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
এমদাদুল আরো জানান, মাদ্রাসায় ভোকেশনাল শাখার জন্য অবৈধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগপত্র দিয়ে তার মত আরো তিন জনের সাথে প্রতারণা করেছেন সুপার।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গত ৩০ ডিসেম্বর মাদ্রাসা সুপার মোহাম্মদ আবুল হাশেমকে ৫ দিনের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামত সম্বলিত জবাবপত্র দাখিলের নির্দেশ দিলেও এখন পর্যন্ত কোন জবাবপত্র দাখিল করেনি মোহাম্মদ আবুল হাশেম।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আকতার বলেন, তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ অস্বচ্ছ ও অবৈধ ছিল এবং সুপারের বক্তব্যেও গড়মিল পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনও পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে।
এদিকে গত ৫ মার্চ মনসুর রহমান নামের আরেক ভুক্তভোগি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মনসুর রহমানের স্ত্রীকে মাদ্রাসার আয়া পদে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে গত ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ আবুল হাশেম তার কাছে দুই লক্ষ টাকা ঘুষ নেয়। দীর্ঘ দিনেও কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে একই পদে নিয়োগ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে সুপার একাধিক প্রার্থীর কাছে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা।
হাড়িভাসা দাঃ দাঃ মাদ্রাসার সুপার আবুল
হাশেম জানান আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে আমি কিছুই জানি না।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে পঞ্চগড় পৌর ঘাটিয়াপাড়া এলাকার ছিদ্দীক আলীর কাছে আড়াই লক্ষ টাকা, হাড়িভাসা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া এলাকার আয়েশা ছিদ্দীকার কাছে দেড় লক্ষ টাকা এবং পাইকানীপাড়া এলাকার ফারুকের কাছে দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্প্রতি মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ আবুল হাশেম 'আয়া ও নিরাপত্তা প্রহরী' পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। যদিও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি জেলা প্রশাসক, তবে এর কিছুই জানেন না তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের শিক্ষা দপ্তর।
জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, তদন্ত প্রতিবেদন এখনো হাতে পাইনি। যদি নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ প্রমাণিত হয় তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ দিয়ে ঘুষ আদায়, চাকরির আশ্বাস দিয়ে প্রতারনা এবং নিয়ম বহির্ভুত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অর্থ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে অবৈধ নিয়োগ অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
মোহাম্মদ আবুল হাশেম নামের ওই মাদ্রাসা সুপার উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের হাড়িভাসা দারুচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসায় দায়িত্বরত।
গত ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মোঃ এমদাদুল হক নামের এক ভুক্তভোগি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানান, ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বরে দৈনিক মানব জমিন পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে তিনি মাদ্রাসায় 'প্রদর্শক' পদে চাকরির আবেদন করেন। ওই পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য মাদ্রাসা সুপারের চাহিদানুযায়ী পাঁচ লক্ষ টাকা সুপারকে ঘুষও দেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী ২০১৫ সালের ৩১ আগষ্ট নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণও হন এবং একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পত্রও দেয়া হয় তাকে।
এমদাদুল জানান, শর্ত অনুযায়ী এক সপ্তাহের মধ্যে মাদ্রাসায় যোগদান করে ওই পদে সকল দায়িত্ব পালন করলেও এখন পর্যন্ত বেতন ভাতার হদিস মিলেনি। অফিস হাজিরা খাতায় কখনো উপস্থিতি স্বাক্ষরও করতে দেয়া হয়নি তাকে। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ আবুল হাশেম তাকে গোপনে অবৈধ নিয়োগ দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
এমদাদুল আরো জানান, মাদ্রাসায় ভোকেশনাল শাখার জন্য অবৈধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগপত্র দিয়ে তার মত আরো তিন জনের সাথে প্রতারণা করেছেন সুপার।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গত ৩০ ডিসেম্বর মাদ্রাসা সুপার মোহাম্মদ আবুল হাশেমকে ৫ দিনের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামত সম্বলিত জবাবপত্র দাখিলের নির্দেশ দিলেও এখন পর্যন্ত কোন জবাবপত্র দাখিল করেনি মোহাম্মদ আবুল হাশেম।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আকতার বলেন, তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ অস্বচ্ছ ও অবৈধ ছিল এবং সুপারের বক্তব্যেও গড়মিল পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনও পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে।
এদিকে গত ৫ মার্চ মনসুর রহমান নামের আরেক ভুক্তভোগি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মনসুর রহমানের স্ত্রীকে মাদ্রাসার আয়া পদে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে গত ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ আবুল হাশেম তার কাছে দুই লক্ষ টাকা ঘুষ নেয়। দীর্ঘ দিনেও কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে একই পদে নিয়োগ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে সুপার একাধিক প্রার্থীর কাছে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা।
হাড়িভাসা দাঃ দাঃ মাদ্রাসার সুপার আবুল
হাশেম জানান আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে আমি কিছুই জানি না।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে পঞ্চগড় পৌর ঘাটিয়াপাড়া এলাকার ছিদ্দীক আলীর কাছে আড়াই লক্ষ টাকা, হাড়িভাসা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া এলাকার আয়েশা ছিদ্দীকার কাছে দেড় লক্ষ টাকা এবং পাইকানীপাড়া এলাকার ফারুকের কাছে দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্প্রতি মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ আবুল হাশেম 'আয়া ও নিরাপত্তা প্রহরী' পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। যদিও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি জেলা প্রশাসক, তবে এর কিছুই জানেন না তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের শিক্ষা দপ্তর।
জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, তদন্ত প্রতিবেদন এখনো হাতে পাইনি। যদি নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ প্রমাণিত হয় তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।