ডিমলার দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যার প্রধান দুই আসামী ঢাকা ও জয়পুরহাট থেকে গ্রেফতার
https://www.obolokon24.com/2020/03/arest.html
নিজস্ব প্রতিনিধি-নীলফামারীর ডিমলায় পরকীয়া সন্দেহে ছুরিকাঘাতে দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান দ্ইু আসামী স্বামী মোফাজ্জল হোসেন মন্ডল(৫৫) ও তার প্রথম স্ত্রীর সন্তান মুরাদ হোসেন(২০)কে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি ও ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে ডিমলা থানা পুলিশ।
শনিবার(১৪মার্চ)দুপুরে গ্রেফতাকৃতদের আাদালতে সোপর্দ করা হলে নীলফামারী সিনিয়র চিফ জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলার প্রধান আসামীর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আসামীদের কারাগারে পাঠায়।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিমলা থানার ওসি(তদন্ত)সোহেল রানা,এএসআই আঃ রাজ্জাককে সঙ্গে নিয়ে বুধবার(১১মার্চ)বিকেলে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম বালিয়াঘাট গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা মোফাজ্জল হোসেন মন্ডলের প্রথম স্ত্রীর সন্তান ও মামলার ২নং আসামী মুরাদ হোসেন কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতারকৃতকে সাথে নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত সোহেল রানার নেতৃত্বে,এএসআই রাজ্জাক,এএসআই আব্দুল লতিফ সহ সঙ্গীয়ফোর্স মামলার প্রধান আসামী মোফাজ্জল হোসেন মন্ডল(৫৫)কে বৃহস্পতিবার(১২মার্চ)রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করে শুক্রবার(১৩মার্চ)রাতে ডিমলা থানায় নিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য যে, বুধবার(২৬ ফেব্রুয়ারি/২০২০) আনুমানিক ভোর ৪টার দিকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দুই ওয়ার্ডের ঠাকুরগঞ্জ হোসেনের মোড় গ্রামে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী মোহছেনা বেগমকে(৩৫) খুন করে পালিয়েছে পাষন্ড স্বামী মোফাজ্জল হোসেন(৪৫)। নিহত মোহছেনা ওই গ্রামের বানার উদ্দিনের মেয়ে। পাষন্ড স্বামী মোফাজ্জল মন্ডল জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বালুরঘাট গ্রামের সরু মন্ডলের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, ২০ বছর আগে মোফাজ্জল নীলফামারীর ডিমলা সীমান্ত দিয়ে মাদকের চোরাকারবারি করার সময় প্রথম স্ত্রীর বিষয়টি গোপন করে মোহছেনাকে বিয়ে করে। কিন্তু কখনো জয়পুরহাট নিয়ে যায়নি। ফলে মোহছেনা বাবার বাড়িতেই স্বামীকে নিয়ে বসবাস করতো। তাদের ১৪ বছর ও ১১ বছরের দুইটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। ডিমলা সীমান্তে চোরাকারবারি বন্ধ হয়ে গেলে মোহছেনার স্বামী জয়পুরহাটে চলে গিয়ে সেখানেই চোরাকারবারি কাজ করতো। মাসে দুই দিনের জন্য স্ত্রীর এখানে এসে আবার জয়পুরহাট ফিরে যেতো।
এলাকাবাসীর মতে, এবার ৫ মাস পর ১০ দিন আগে মোহছেনার স্বামী জয়পুরহাট থেকে এখানে আসে।
মোহছেনার মা আছিয়া বেগম জানান, আমার মেয়ে পরকিয়া প্রেম করে এমন মিথ্যে অভিযোগ তুলে গত তিন দিন ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোন্দল চলছিল। ঘটনার দিন আজ বুধবার ভোর চারটার দিকে আমার মেয়ের আত্নচিৎকার শুনে আমি ঘর হতে বের হয়ে দেখি জামাই দৌড় দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। ঘরে ঢুকে দেখি মেয়ের শরীর থেকে পানির স্রোতের মতো রক্ত বের হচ্ছে। পরে খবর পেয়ে ডিমলা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠান।সে সময়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল।এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মোফাজ্জল হোসেন মন্ডল ও তার প্রথম স্ত্রীর সন্তান মুরাদ সহ নামীয় দুইজন ও অজ্ঞাত আরো ২/৪ জনের বিরুদ্ধে নিহতের বড় ভাই গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ডিমলা থানায় মামলা নং-১৮,তাং-২৬/২/২০২০ইং দায়ের করেন।
শনিবার(১৪মার্চ)দুপুরে গ্রেফতাকৃতদের আাদালতে সোপর্দ করা হলে নীলফামারী সিনিয়র চিফ জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলার প্রধান আসামীর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আসামীদের কারাগারে পাঠায়।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিমলা থানার ওসি(তদন্ত)সোহেল রানা,এএসআই আঃ রাজ্জাককে সঙ্গে নিয়ে বুধবার(১১মার্চ)বিকেলে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম বালিয়াঘাট গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা মোফাজ্জল হোসেন মন্ডলের প্রথম স্ত্রীর সন্তান ও মামলার ২নং আসামী মুরাদ হোসেন কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতারকৃতকে সাথে নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত সোহেল রানার নেতৃত্বে,এএসআই রাজ্জাক,এএসআই আব্দুল লতিফ সহ সঙ্গীয়ফোর্স মামলার প্রধান আসামী মোফাজ্জল হোসেন মন্ডল(৫৫)কে বৃহস্পতিবার(১২মার্চ)রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করে শুক্রবার(১৩মার্চ)রাতে ডিমলা থানায় নিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য যে, বুধবার(২৬ ফেব্রুয়ারি/২০২০) আনুমানিক ভোর ৪টার দিকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দুই ওয়ার্ডের ঠাকুরগঞ্জ হোসেনের মোড় গ্রামে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী মোহছেনা বেগমকে(৩৫) খুন করে পালিয়েছে পাষন্ড স্বামী মোফাজ্জল হোসেন(৪৫)। নিহত মোহছেনা ওই গ্রামের বানার উদ্দিনের মেয়ে। পাষন্ড স্বামী মোফাজ্জল মন্ডল জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বালুরঘাট গ্রামের সরু মন্ডলের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, ২০ বছর আগে মোফাজ্জল নীলফামারীর ডিমলা সীমান্ত দিয়ে মাদকের চোরাকারবারি করার সময় প্রথম স্ত্রীর বিষয়টি গোপন করে মোহছেনাকে বিয়ে করে। কিন্তু কখনো জয়পুরহাট নিয়ে যায়নি। ফলে মোহছেনা বাবার বাড়িতেই স্বামীকে নিয়ে বসবাস করতো। তাদের ১৪ বছর ও ১১ বছরের দুইটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। ডিমলা সীমান্তে চোরাকারবারি বন্ধ হয়ে গেলে মোহছেনার স্বামী জয়পুরহাটে চলে গিয়ে সেখানেই চোরাকারবারি কাজ করতো। মাসে দুই দিনের জন্য স্ত্রীর এখানে এসে আবার জয়পুরহাট ফিরে যেতো।
এলাকাবাসীর মতে, এবার ৫ মাস পর ১০ দিন আগে মোহছেনার স্বামী জয়পুরহাট থেকে এখানে আসে।
মোহছেনার মা আছিয়া বেগম জানান, আমার মেয়ে পরকিয়া প্রেম করে এমন মিথ্যে অভিযোগ তুলে গত তিন দিন ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোন্দল চলছিল। ঘটনার দিন আজ বুধবার ভোর চারটার দিকে আমার মেয়ের আত্নচিৎকার শুনে আমি ঘর হতে বের হয়ে দেখি জামাই দৌড় দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। ঘরে ঢুকে দেখি মেয়ের শরীর থেকে পানির স্রোতের মতো রক্ত বের হচ্ছে। পরে খবর পেয়ে ডিমলা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠান।সে সময়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল।এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মোফাজ্জল হোসেন মন্ডল ও তার প্রথম স্ত্রীর সন্তান মুরাদ সহ নামীয় দুইজন ও অজ্ঞাত আরো ২/৪ জনের বিরুদ্ধে নিহতের বড় ভাই গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ডিমলা থানায় মামলা নং-১৮,তাং-২৬/২/২০২০ইং দায়ের করেন।