পার্বতীপুরে বোরো চাষে ব্যস্ত চাষি
https://www.obolokon24.com/2020/02/rice.html
এম এ আলম বাবলু, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
শীত উপেক্ষা করে জমি তৈরি ও বোরো ধানের চারা রোপনে কোমড় বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকেরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি তৈরি ও বোরো জমিতে চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তবে লোকসান ঠেকাতে আগামী বোরো ক্রয় মৌসুমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার দাবি জানান তারা। বর্তমানে প্রকৃতপক্ষে বোরো আবাদের ওপরই নির্ভর করে চাষিরা।
এদিকে সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আমন ধান কেনা শুরু করায় বর্তমানে ধানের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে এবার বোরো আবাদ লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বোরো চাষিরা। পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, এবারে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৩৯০ হেক্টর। তবে আবাদ হবে এর চেয়ে বেশি। চাষিরা এখন পুরোদমে জমি তৈরি ও জমিতে বোরো চারা রোপন করে চলেছেন।
কৃষিবিদ ও বোরো চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই অঞ্চলের চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন জমি তৈরি ও বোরো চারা রোপণে।
আমন মৌসুমের ধান উঠার পর দাম কমে যাওয়ায় চাষিরা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। এসময় সরকার চাষিদের ধানের নায্যমুল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে চাষিদের নিকট থেকে ধান এবং মিলারদের নিকট থেকে চাল কেনার উদ্যোগ নেয়। বর্তমানে ধানের দাম ভালো থাকায় এবার বোরো আবাদ লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল জুড়ে এখন চলছে বোরো ধানের চারা রোপনের মহোৎসব। কৃষকদের কেউ বীজ তলা থেকে চারা তুলছেন, অনেকেই চারা রোপন করছেন। শীতের প্রকোবকে পিছনে ফেলে কৃষকেরা কাদা পানিতে এই চারা রোপন করছেন। আগাম তৈরি বীজতলা থেকে এবারও কৃষকেরা শীতের শুরুতেই আগাম চারা রোপনের কাজ শুরু করেছেন। ক্ষেত প্রস্তুত করার লক্ষে জমিতে সেচ ও হাল চাষের কাজেও ব্যস্ত দেখা গেছে কৃষকদের।
চাষিরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিকমতো থাকলে সুষ্ঠু ভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে পানি সেচ, জমি প্রস্তুত ও চারা রোপনের ব্যস্ততা।
তারা বলেন, প্রকৃত পক্ষে গভীর নলকুপ দিয়ে আমাদের চাষাবাদ করতে হয়। সবাই একসাথে জমি তৈরি করতে গিয়ে নলকুপের ওপর কিছুটা চাপ পড়েছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় এই বছর কোনও প্রকার বিদ্যুতের ভেলকিবাজী নেই। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়মিত থাকলে ও প্রকৃতিক কোনও দুর্যোগ না হলে ভালভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারব।
কৃষকরা জানান, প্রতিবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। ফলে শীত এবং কুয়াশার প্রকোপ অনেক কম থাকায় বোরো ধানের চারা ক্ষতিগ্রস্থ তেমন হয়নি। চারাও সুস্থ সবল এবং সতেজ রয়েছে। যদি কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে তাহলে এ বছরও বোরো ধানের ভাল ফলনের আশা করছেন তারা।
পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুজ্জামান খান জানান, চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কৃষককে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১ বিঘা জমি প্রতি সার, বীজ সহায়তা প্রদান এবং এনএডিবির আওতায় সার, বীজ বিতরণসহ বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও চলতি বোরো মৌসুমে পার্বতীপুর উপজেলায় এবার ২২ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-ধান ২৯, ব্রি-ধান ৮১, ব্রি- ধান ৫৮, ব্রি- ধান , বি আর-১৬ সহ হাইব্রিড মিনিকেট ধান চাষ হচ্ছে।
শীত উপেক্ষা করে জমি তৈরি ও বোরো ধানের চারা রোপনে কোমড় বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকেরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি তৈরি ও বোরো জমিতে চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তবে লোকসান ঠেকাতে আগামী বোরো ক্রয় মৌসুমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার দাবি জানান তারা। বর্তমানে প্রকৃতপক্ষে বোরো আবাদের ওপরই নির্ভর করে চাষিরা।
এদিকে সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আমন ধান কেনা শুরু করায় বর্তমানে ধানের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে এবার বোরো আবাদ লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বোরো চাষিরা। পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, এবারে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৩৯০ হেক্টর। তবে আবাদ হবে এর চেয়ে বেশি। চাষিরা এখন পুরোদমে জমি তৈরি ও জমিতে বোরো চারা রোপন করে চলেছেন।
কৃষিবিদ ও বোরো চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই অঞ্চলের চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন জমি তৈরি ও বোরো চারা রোপণে।
আমন মৌসুমের ধান উঠার পর দাম কমে যাওয়ায় চাষিরা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। এসময় সরকার চাষিদের ধানের নায্যমুল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে চাষিদের নিকট থেকে ধান এবং মিলারদের নিকট থেকে চাল কেনার উদ্যোগ নেয়। বর্তমানে ধানের দাম ভালো থাকায় এবার বোরো আবাদ লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল জুড়ে এখন চলছে বোরো ধানের চারা রোপনের মহোৎসব। কৃষকদের কেউ বীজ তলা থেকে চারা তুলছেন, অনেকেই চারা রোপন করছেন। শীতের প্রকোবকে পিছনে ফেলে কৃষকেরা কাদা পানিতে এই চারা রোপন করছেন। আগাম তৈরি বীজতলা থেকে এবারও কৃষকেরা শীতের শুরুতেই আগাম চারা রোপনের কাজ শুরু করেছেন। ক্ষেত প্রস্তুত করার লক্ষে জমিতে সেচ ও হাল চাষের কাজেও ব্যস্ত দেখা গেছে কৃষকদের।
চাষিরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিকমতো থাকলে সুষ্ঠু ভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে পানি সেচ, জমি প্রস্তুত ও চারা রোপনের ব্যস্ততা।
তারা বলেন, প্রকৃত পক্ষে গভীর নলকুপ দিয়ে আমাদের চাষাবাদ করতে হয়। সবাই একসাথে জমি তৈরি করতে গিয়ে নলকুপের ওপর কিছুটা চাপ পড়েছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় এই বছর কোনও প্রকার বিদ্যুতের ভেলকিবাজী নেই। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়মিত থাকলে ও প্রকৃতিক কোনও দুর্যোগ না হলে ভালভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারব।
কৃষকরা জানান, প্রতিবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। ফলে শীত এবং কুয়াশার প্রকোপ অনেক কম থাকায় বোরো ধানের চারা ক্ষতিগ্রস্থ তেমন হয়নি। চারাও সুস্থ সবল এবং সতেজ রয়েছে। যদি কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে তাহলে এ বছরও বোরো ধানের ভাল ফলনের আশা করছেন তারা।
পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুজ্জামান খান জানান, চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কৃষককে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১ বিঘা জমি প্রতি সার, বীজ সহায়তা প্রদান এবং এনএডিবির আওতায় সার, বীজ বিতরণসহ বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও চলতি বোরো মৌসুমে পার্বতীপুর উপজেলায় এবার ২২ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-ধান ২৯, ব্রি-ধান ৮১, ব্রি- ধান ৫৮, ব্রি- ধান , বি আর-১৬ সহ হাইব্রিড মিনিকেট ধান চাষ হচ্ছে।