৩ কোটি ১২ লাখ টাকার ব্রীজ নির্মানে ব্যয় ৩ কোটি ৮৮ লাখ, তবুও কাজে আসছেনা ব্রীজ
https://www.obolokon24.com/2020/02/kisargang.html
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ বহুল প্রতিক্ষিত নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের যমুনেশ্বরী নদীর উপর ৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যায়ে ব্রীজ নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কসহ মুল সড়ক না থাকায় ব্রীজটি এলাকাবাসীর কোন কাজে আসছেনা।
তবে উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলামের দাবি আপাতত এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য ব্রীজটির দুপাশ্বে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
এরপর বাহাগিলি ইউনিয়নের নান্নুর বাজার পাকার মাথা থেকে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ইসমাইল যাওয়ার পাকা রাস্তা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক পাকা করনের জন্য সরকারীভাবে বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সুত্রে জানা, বর্তমান সরকারের আমলে বাহাগিলি ইউনিয়নের যমুনেশ্বরী নদীর উপর ৬৯ মিটার আর সিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩ কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার ৫৪ টাকা ব্যায় ধরে টেন্ডারের আহবান করে সরকার। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় গোপালগঞ্জ জেলার খন্দকার বির্ল্ডাস নামে একটি ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ওই ঠিকাদার ব্রীজটি নির্মাণের নীতিমালা অনুসরন না করে ব্রীজ নির্মাণ কাজ শুরু করলে তদারকি কর্মকতা এবং সাব এসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সাজেদুর রহমান ব্রীজের কাজ বন্ধ করে দেন। পরে খন্দকার এন্টার প্রাইজের চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। এবং পুনরায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৩ কোটি ৮৮ লাখ ২৮ হাজার ৪৮০ টাকা ৩৬০ পয়সা ব্যায় ধরে ব্রীজের জন্য ট্রেন্ডার আহবান করা হলে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় নীলফামারীর ঠিকাদারী প্রতিষ্টান এস এম শফিকুল আলম। এতে করে ব্রীজ নির্মাণে সরকারের অতিরিক্ত ব্যায় হয় প্রায় ৭৭ লাখ টাকা।
গত রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে কিন্তু ব্রীজটির দুপাশ্বে সড়কটি ভাঙ্গাচোড়া । স্থানীয় বাসিন্দা জামিনুর রহমান, আবেদ আলী মশিয়ার রহমান জানান, ঠিকাদার যমুনেশ্বরী নদী থেকে বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ব্রীজের দুপাশ্বে বালু ভরাট করে সেই বালু দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ করাচ্ছেন। বালু দিয়ে ব্রীজের দুপাশ্বে সংযোগ সড়ক করার কারনে এলাকাবাসী এর সুফল পাবেনা। কোন রকমে পাঁয়ে হেটে চলাচল করতে পারবে। কিন্তু ভারী যানবাহন ও মালামাল পরিবহন করতে পারবেনা। তাই কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত ব্রীজটি কোন কাজে আসবেনা এলাকাবাসীর।
ব্রীজ নির্মানের তদারকি কর্মকতা সাজেদুর রহমান বলেন, ব্রীজ নির্মাণের নীতিমালা অনুযায়ী ড্রেসিং প্লান মেশিন দিয়ে ব্রীজের ঢালাই সম্পন্ন করার কথা থাকলে পুর্বের ঠিকাদার মেশিন আনতে ব্যর্থ হওয়ার কারনে ওই ঠিকাদারের চুক্তি বাতিল করে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগের ফলে সরকারের অতিরিক্ত ৭৭ লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেট কম ছিল কিন্তু ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রেট বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত ব্যায় হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার এস এম শফিকুল আলমের সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি মোবাইলে এসএম এস দিলেও তিনি কোন রিপ্লে দেননি।
উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ব্রীজের সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে । ব্রীজটি দিয়ে এলাকাবাসীর চলাচল নিবিঘœ করার জন্য নান্নুর বাজার পাকার মাথা থেকে ইসমাইল পাকার মাথা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক পাকা করনের জন্য বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
তবে উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলামের দাবি আপাতত এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য ব্রীজটির দুপাশ্বে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
এরপর বাহাগিলি ইউনিয়নের নান্নুর বাজার পাকার মাথা থেকে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ইসমাইল যাওয়ার পাকা রাস্তা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক পাকা করনের জন্য সরকারীভাবে বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সুত্রে জানা, বর্তমান সরকারের আমলে বাহাগিলি ইউনিয়নের যমুনেশ্বরী নদীর উপর ৬৯ মিটার আর সিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩ কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার ৫৪ টাকা ব্যায় ধরে টেন্ডারের আহবান করে সরকার। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় গোপালগঞ্জ জেলার খন্দকার বির্ল্ডাস নামে একটি ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ওই ঠিকাদার ব্রীজটি নির্মাণের নীতিমালা অনুসরন না করে ব্রীজ নির্মাণ কাজ শুরু করলে তদারকি কর্মকতা এবং সাব এসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সাজেদুর রহমান ব্রীজের কাজ বন্ধ করে দেন। পরে খন্দকার এন্টার প্রাইজের চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। এবং পুনরায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৩ কোটি ৮৮ লাখ ২৮ হাজার ৪৮০ টাকা ৩৬০ পয়সা ব্যায় ধরে ব্রীজের জন্য ট্রেন্ডার আহবান করা হলে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় নীলফামারীর ঠিকাদারী প্রতিষ্টান এস এম শফিকুল আলম। এতে করে ব্রীজ নির্মাণে সরকারের অতিরিক্ত ব্যায় হয় প্রায় ৭৭ লাখ টাকা।
গত রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে কিন্তু ব্রীজটির দুপাশ্বে সড়কটি ভাঙ্গাচোড়া । স্থানীয় বাসিন্দা জামিনুর রহমান, আবেদ আলী মশিয়ার রহমান জানান, ঠিকাদার যমুনেশ্বরী নদী থেকে বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ব্রীজের দুপাশ্বে বালু ভরাট করে সেই বালু দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ করাচ্ছেন। বালু দিয়ে ব্রীজের দুপাশ্বে সংযোগ সড়ক করার কারনে এলাকাবাসী এর সুফল পাবেনা। কোন রকমে পাঁয়ে হেটে চলাচল করতে পারবে। কিন্তু ভারী যানবাহন ও মালামাল পরিবহন করতে পারবেনা। তাই কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত ব্রীজটি কোন কাজে আসবেনা এলাকাবাসীর।
ব্রীজ নির্মানের তদারকি কর্মকতা সাজেদুর রহমান বলেন, ব্রীজ নির্মাণের নীতিমালা অনুযায়ী ড্রেসিং প্লান মেশিন দিয়ে ব্রীজের ঢালাই সম্পন্ন করার কথা থাকলে পুর্বের ঠিকাদার মেশিন আনতে ব্যর্থ হওয়ার কারনে ওই ঠিকাদারের চুক্তি বাতিল করে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগের ফলে সরকারের অতিরিক্ত ৭৭ লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেট কম ছিল কিন্তু ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রেট বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত ব্যায় হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার এস এম শফিকুল আলমের সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি মোবাইলে এসএম এস দিলেও তিনি কোন রিপ্লে দেননি।
উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ব্রীজের সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে । ব্রীজটি দিয়ে এলাকাবাসীর চলাচল নিবিঘœ করার জন্য নান্নুর বাজার পাকার মাথা থেকে ইসমাইল পাকার মাথা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক পাকা করনের জন্য বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।