পীরগাছা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতি
https://www.obolokon24.com/2020/01/rangpur_36.html
ফজলুর রহমান, পীরগাছা(রংপুর)প্রতিনিধিঃ
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রংপুরের পীরগাছা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিক-উজ-জামানকে সম্প্রতি একই জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগসাজসে কোন কাজ না করেই ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা হরিলুটের অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিক-উজ-জামান রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ এম শাহজাহান সিদ্দিকের যোগসাজসে প্রধান শিক্ষক ও কতিপয় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে ম্যানেজ করে বরাদ্দের টাকা হরিলুট করেছেন। তাকে সহযোগীতা করেছেন কতিপয় প্রধান শিক্ষককে নিয়ে গঠিত একটি সিন্ডিকেট।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ বিদ্যালয়ে কাজ না করেই বরাদ্দের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। কিছু বিদ্যালয়ে শুধু সড়কের পাশের দেয়ালে লাল-সবুজ রঙ করে লোক দেখানো জাতীয় পতাকা আঁকা হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস সজ্জিতকরণের বরাদ্দ থাকলেও তা করা হয়নি। বরাদ্দের টাকা দিয়ে দৃশ্যত কোন কাজই করা হয়নি বিদ্যালয়গুলোতে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, গত অর্থবছরে ১৭৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয় পাঁচ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে সংস্কার কাজের জন্য তিন কোটি ৪৬ লাখ টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেয় চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪)। গত অর্থবছরের ১৮ জুন অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও ৩০ জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার কথা বলা হয়। কিন্তু মাত্র ১২ দিনের মধ্যে স্টিমেট তৈরী ও কাজ সম্পন্ন করা যেহেতু সম্ভব না, তাই টাকা ফেরত যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এদিকে এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে ম্যানেজের মাধ্যমে রাতা-রাতি প্রতিটি বিদ্যালয়ের বিপরীতে স্টিমেট তৈরি করে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ওই বরাদ্দের অর্থ উত্তোলন করা হয়। পরে ওই টাকা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার একাউন্টে জমা রাখা হয়। এছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে স্লিপ ফান্ডে এক কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার, প্রাক প্রাথমিকে ১৭ লাখ ৮০ হাজার, রুটিন মেরামতের জন্য ৪১ লাখ ৬০ হাজার ও ওয়াশ ব্লকের জন্য তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরকার মাসুদুর রহমান ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বিদ্যালয়টির উন্নয়নে সংস্কার কাজের জন্য দুই লাখ টাকা, ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ৪০ হাজার টাকা, স্লিপ ফান্ডের ৭০ হাজার টাকা, প্রাক-প্রাথমিকের ১০ হাজার টাকা, ওয়াশ ব্লকের জন্য ২০ হাজার টাকা কাজ না করেই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজসে আত্মসাৎ করেছেন। অপরদিকে উপজেলার অন্নদানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিন্নাত রেহানা নামমাত্র কাজ করে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বরাদ্দের টাকা উত্তেলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই দুই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
গত তিন মাসে বরাদ্দ করা অর্থ কাজ না করে আত্মসাতের বিষয়ে একাধিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। আর এসব অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারাই। ফলে কাজ না করে টাকা আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া গেলেও নেওয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা।
কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক যোগসাজসে বরাদ্দের অর্থ তুলে নিয়েছেন। অথচ বিদ্যালয়ের কোন কাজই করা হয়নি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিজেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না’
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে সদ্য বিদায়ী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিক-উজ-জামান বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করা সম্ভব না হওয়ায় টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষকগণ কাজ করার বিল-ভাউচার জমা দিয়ে টাকা নিয়েছেন।’
এ বিষয়ে রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ এম শাহজাহান সিদ্দিকের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালক আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ‘ওই শিক্ষা কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’#
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রংপুরের পীরগাছা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিক-উজ-জামানকে সম্প্রতি একই জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগসাজসে কোন কাজ না করেই ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা হরিলুটের অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিক-উজ-জামান রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ এম শাহজাহান সিদ্দিকের যোগসাজসে প্রধান শিক্ষক ও কতিপয় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে ম্যানেজ করে বরাদ্দের টাকা হরিলুট করেছেন। তাকে সহযোগীতা করেছেন কতিপয় প্রধান শিক্ষককে নিয়ে গঠিত একটি সিন্ডিকেট।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ বিদ্যালয়ে কাজ না করেই বরাদ্দের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। কিছু বিদ্যালয়ে শুধু সড়কের পাশের দেয়ালে লাল-সবুজ রঙ করে লোক দেখানো জাতীয় পতাকা আঁকা হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস সজ্জিতকরণের বরাদ্দ থাকলেও তা করা হয়নি। বরাদ্দের টাকা দিয়ে দৃশ্যত কোন কাজই করা হয়নি বিদ্যালয়গুলোতে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, গত অর্থবছরে ১৭৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয় পাঁচ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে সংস্কার কাজের জন্য তিন কোটি ৪৬ লাখ টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেয় চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪)। গত অর্থবছরের ১৮ জুন অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও ৩০ জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার কথা বলা হয়। কিন্তু মাত্র ১২ দিনের মধ্যে স্টিমেট তৈরী ও কাজ সম্পন্ন করা যেহেতু সম্ভব না, তাই টাকা ফেরত যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এদিকে এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে ম্যানেজের মাধ্যমে রাতা-রাতি প্রতিটি বিদ্যালয়ের বিপরীতে স্টিমেট তৈরি করে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ওই বরাদ্দের অর্থ উত্তোলন করা হয়। পরে ওই টাকা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার একাউন্টে জমা রাখা হয়। এছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে স্লিপ ফান্ডে এক কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার, প্রাক প্রাথমিকে ১৭ লাখ ৮০ হাজার, রুটিন মেরামতের জন্য ৪১ লাখ ৬০ হাজার ও ওয়াশ ব্লকের জন্য তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরকার মাসুদুর রহমান ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বিদ্যালয়টির উন্নয়নে সংস্কার কাজের জন্য দুই লাখ টাকা, ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ৪০ হাজার টাকা, স্লিপ ফান্ডের ৭০ হাজার টাকা, প্রাক-প্রাথমিকের ১০ হাজার টাকা, ওয়াশ ব্লকের জন্য ২০ হাজার টাকা কাজ না করেই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজসে আত্মসাৎ করেছেন। অপরদিকে উপজেলার অন্নদানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিন্নাত রেহানা নামমাত্র কাজ করে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বরাদ্দের টাকা উত্তেলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই দুই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
গত তিন মাসে বরাদ্দ করা অর্থ কাজ না করে আত্মসাতের বিষয়ে একাধিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। আর এসব অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারাই। ফলে কাজ না করে টাকা আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া গেলেও নেওয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা।
কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক যোগসাজসে বরাদ্দের অর্থ তুলে নিয়েছেন। অথচ বিদ্যালয়ের কোন কাজই করা হয়নি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিজেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না’
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে সদ্য বিদায়ী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিক-উজ-জামান বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করা সম্ভব না হওয়ায় টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষকগণ কাজ করার বিল-ভাউচার জমা দিয়ে টাকা নিয়েছেন।’
এ বিষয়ে রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ এম শাহজাহান সিদ্দিকের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালক আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ‘ওই শিক্ষা কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’#