সৈয়দপুরে পচানাল খালের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু
https://www.obolokon24.com/2019/12/saidpur_24.html
সোমবার নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় পঁচানালা খালের দুইপাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এ খালের দুইপাশের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সারাদেশে একযোগে নদ-নদী, খাল, জলায়শসহ অন্যান্য সরকারি জলাধার তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা ও দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। ওই উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে নীলফামারীর সৈয়দপুরে পঁচানালা খালের দুই পাশ দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা ও দখল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের প্রথমদিনে গতকাল সোমবার পঁচানালা খালের দুই পাশের ৭৬ টি মধ্যে ১০/১২টি অবৈধ স্থাপনা ও দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার মো. নাহিদ হাসান উচ্ছেদ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। নীলফামারী জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকারের নেতৃত্বে ওই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পাউবোর তালিকায় পচানালা খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে সর্বমোট ৮৪টি। তন্মধ্যে সৈয়দপুর উপজেলার অংশে ৭৬টি এবং রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার অংশে ৮টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এ সব অবৈধ স্থাপনা মালিকদের তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশও প্রদান করা হয়। কিন্তু গতকাল সোমবার পর্যন্ত অবৈধ দখলদাররা তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি। সেই সঙ্গে পচানালা খালের ৮৪ জন অবৈধ দখলদারের একটি তালিকা নীলফামারী ও রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দেওয়া হয়।
সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকারের পচানালা খালের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা ও দখলদার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা শুরু করা হয়েছে।
পাউবো করা অবৈধ তালিকা ধরে গতকাল উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম দিনে শহরের উপকন্ঠে ‘পাতাকুঁড়ি’ নামের বিনোদন পাকের মালিক ঠিকাদার আলহাজ্ব মো. জয়নাল আবেদীন কর্তৃক পচানালা খালের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা পাকা সীমানা প্রাচীর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা ও দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছে।
সেই বিনোদন পার্ক সাথে পাতাকুড়ির অভ্যন্তরে অবৈধভাবে দখলকৃত ৮ শতক খাসজমিও সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয় অভিযানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মির্জা মুরাদ হাসান বেগ সৈয়দপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল চন্দ্র সরকার, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, উপ-সহকারি প্রকৌশলী,শাখা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সৈয়দপুর থানা পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার বলেন, নীলফামারী জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পচানালা খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। ওই তালিকায় থাকা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহতভাবে চলবে।