ডোমারে খেঁজুর রস সংগ্রহে ব্যাস্ত সময় পার করছেন গাছি
https://www.obolokon24.com/2019/12/domar_24.html
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
পিঠা,পায়েস সহ নানা স্বাদের সুস্বাদু খাবার তৈরীর অন্যতম উপসর্গ খেজুরের রস। প্রাচীন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হিসাবে পরিচিত খেজুর গাছ ও গাছি। যাহা কালের আবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে। উত্তরের জনপদ নীলফামারীর জেলার ডোমার উপজেলায় এই ঐতিহ্যকে মনে প্রানে ধারণ করে শীতে খেঁজুর গাছের রস সংগ্রহে ব্যাস্ত সময় পার করছে গাছি। গতকাল নীলফামারীর নীলসাগর ভ্রমন শেষে ডোমার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম চিকনমাটি দোলাপাড়া পথবেয়ে আসার সময় চোখে পড়ে এই দৃশ্যটি।
ধমকে দাঁড়িয়ে ছবিটি ক্যামেরা বন্দিকরলাম, কথা হয় গাছ পরিচর্চাকারী আব্দুল মজিদ (৭০) এর সাথে। তিনি জানান, সে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার মৃত আব্বাছ আলীর ৪র্থ পুত্র। দির্ঘ ৩৫ বছর ধরে ডোমারে এসে রাজকুমার বাবুর লাগানো ৪০টি খেঁজুরগাছ সিজিন অনুযায়ী গাছ প্রতি ৩শত টাকা হারে চুক্তি নিয়ে গাছের পরির্চচা মাধ্যমে রস সংগ্রহ করে ডোমার এলাকার বিভিন্ন হাটে বাজারে বিক্রি করে। ৪০টি গাছ হতে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ কেজি পর্যন্ত রস বের হয়, যা বাজারে বিক্রি করলে ৫/৬ শত টাকা পাওয়া যায়। তিনি আরো জানান, গাছ মালিককে টাকা দেওয়ার পড়েও এই সিজিনে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ী যেতে পাড়ে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিকে ধরে রাখতে প্রত্যেকের বাড়িতে খেজুর গাছ লাগানো প্রয়োজন বলে মনে করেন গাছের মালিক। উপজেলায় জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের হক মাষ্টারের জোড়া দিঘির পাড়ে, হলহলিয়া উপেন ঠাকুরের পুকুর পাড়ে, ড. জসিউর রহমান সহ কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের ফরিদুল ইসলামের পুকুর পাড়ে বেশ কয়েকটি খেঁজুর গাছ চোখে পড়ে। এ ছাড়াও গোটা উপজেলায় খেঁজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। অনেকের ২/৪টি থাকলেও তা অযত্নে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা কুষি কর্মকর্তা আবু জাফর বলেন, ডোমার উপজেলায় বিভিন্ন জায়গায় পুর্বের লাগানো কিছু খেঁজুর গাছ আছে। রস বের করার সময় বাদুর সেখানে মলমুত্র ত্যাগ করে। সেই কারনে মানুষ নিপা ভাইরাস রোগে আকান্ত হতে পারে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সচেতনতা মূলক প্রচারনা চালানোর কারনে সেই গাছ থেকে অনেকে খেজুর রস বের করছে না। তাই গাছ থাকলেও রস বের করার বিষয়টা বিলুপ্তির পথে।
পিঠা,পায়েস সহ নানা স্বাদের সুস্বাদু খাবার তৈরীর অন্যতম উপসর্গ খেজুরের রস। প্রাচীন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হিসাবে পরিচিত খেজুর গাছ ও গাছি। যাহা কালের আবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে। উত্তরের জনপদ নীলফামারীর জেলার ডোমার উপজেলায় এই ঐতিহ্যকে মনে প্রানে ধারণ করে শীতে খেঁজুর গাছের রস সংগ্রহে ব্যাস্ত সময় পার করছে গাছি। গতকাল নীলফামারীর নীলসাগর ভ্রমন শেষে ডোমার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম চিকনমাটি দোলাপাড়া পথবেয়ে আসার সময় চোখে পড়ে এই দৃশ্যটি।
ধমকে দাঁড়িয়ে ছবিটি ক্যামেরা বন্দিকরলাম, কথা হয় গাছ পরিচর্চাকারী আব্দুল মজিদ (৭০) এর সাথে। তিনি জানান, সে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার মৃত আব্বাছ আলীর ৪র্থ পুত্র। দির্ঘ ৩৫ বছর ধরে ডোমারে এসে রাজকুমার বাবুর লাগানো ৪০টি খেঁজুরগাছ সিজিন অনুযায়ী গাছ প্রতি ৩শত টাকা হারে চুক্তি নিয়ে গাছের পরির্চচা মাধ্যমে রস সংগ্রহ করে ডোমার এলাকার বিভিন্ন হাটে বাজারে বিক্রি করে। ৪০টি গাছ হতে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ কেজি পর্যন্ত রস বের হয়, যা বাজারে বিক্রি করলে ৫/৬ শত টাকা পাওয়া যায়। তিনি আরো জানান, গাছ মালিককে টাকা দেওয়ার পড়েও এই সিজিনে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ী যেতে পাড়ে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিকে ধরে রাখতে প্রত্যেকের বাড়িতে খেজুর গাছ লাগানো প্রয়োজন বলে মনে করেন গাছের মালিক। উপজেলায় জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের হক মাষ্টারের জোড়া দিঘির পাড়ে, হলহলিয়া উপেন ঠাকুরের পুকুর পাড়ে, ড. জসিউর রহমান সহ কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের ফরিদুল ইসলামের পুকুর পাড়ে বেশ কয়েকটি খেঁজুর গাছ চোখে পড়ে। এ ছাড়াও গোটা উপজেলায় খেঁজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। অনেকের ২/৪টি থাকলেও তা অযত্নে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা কুষি কর্মকর্তা আবু জাফর বলেন, ডোমার উপজেলায় বিভিন্ন জায়গায় পুর্বের লাগানো কিছু খেঁজুর গাছ আছে। রস বের করার সময় বাদুর সেখানে মলমুত্র ত্যাগ করে। সেই কারনে মানুষ নিপা ভাইরাস রোগে আকান্ত হতে পারে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সচেতনতা মূলক প্রচারনা চালানোর কারনে সেই গাছ থেকে অনেকে খেজুর রস বের করছে না। তাই গাছ থাকলেও রস বের করার বিষয়টা বিলুপ্তির পথে।