অনিয়মে শিক্ষক বদলী নীলফামারী প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের
https://www.obolokon24.com/2019/12/domar_21.html
আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টার-
নির্দেশনা রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার জন বা এর কম সংখ্যক শিক্ষক থাকলে সেখান থেকে শিক্ষক বদলী করা যাবে না। এরপরও তিন জন শিক্ষকের বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষককে বদলী করেছে নীলফামারী প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর। এমন অনিয়মের শিক্ষক বদলীর ঘটনাটি জেলার ডোমার উপজেলার নতুন বারবিশা বামুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ২০৩ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে দুই জন শিক্ষক দিয়ে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, চলতি বছরের ৯ অক্টোবর ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) ফিরোজা খাতুনকে তার পছন্দের উপজেলা সদরের চিকনমাটি দোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়। এরপর থেকে দুই জন শিক্ষক দিয়ে পাঠ দান চলায় ভেঙ্গে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘দুইজন শিক্ষক দিয়ে কিভাবে একটি বিদ্যালয়ের সব ক্লাসের ২০৩ জন শিক্ষার্থীর পাঠ দান সম্ভব ? শিক্ষক সংকটে শিশুদের শিক্ষা জীবন নিয়ে আমরা অভিভাবকরা শঙ্কিত।’
ওই বিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত আছেন সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও আহসান হাবিব। তারা জানান, বিদ্যালয়টি বেসরকারী থাকাকালে প্রধান শিক্ষক ছিলেন আবু কালাম মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম প্রামানিক। জাতীয়করণ হওয়ার সময় সহকারী শিক্ষকের তালিকায় তার নাম আসে। প্রধান শিক্ষকের পদটি খালি থাকায় ২০১৮ সালে ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানশিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) হিসাবে যোগদান করেনে ফিরোজা খাতুন । এ সময়ে সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম প্রামানিক প্রধান শিক্ষক পদের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালতের আদেশে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর তাকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিদ্যালয়ে যোগদানের নির্দেশ দেন। ওই নিদের্শে তিনি চলতি বছরের ২৯ আগস্ট প্রধান শিক্ষকের পদে যোগদান করে ১৭ সেপ্টেম্বর অবসরে যান। এসময়ে প্রধান শিক্ষক ফিরোজা খাতুন ছুটিতে থাকেন। পদটি খালি হলে ফিরোজা খাতুন ১০ অক্টোবর ওই বিদ্যালয়ে স্বপদে যোগদান করে চলে যান। এরপর তিনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের ৯ অক্টোবরের বদলী আদেশে চিকনমাটি দোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই উপজেলায় কর্মরত শিক্ষকরা জানান, চলতি বছরের ৪ মার্চ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নির্দেশিকায় (সংশোধিত) বদলির শর্তাবলীর অংশে (৩.৫) উল্লেখ রয়েছে ‘যেসকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার জন বা তার কম সংখ্যক শিক্ষক কর্মরত আছেন কিংবা একজন জন শিক্ষকের অনুপাতে ৪০ জন শিক্ষার্থীর বেশী রয়েছে সে সকল বিদ্যালয় থেকে শিক্ষক প্রতিস্থাপন না করা পর্যন্ত সাধারণভাবে শিক্ষক বদলী করা যাবে না।’
তারা বলেন,‘অনিয়মের মাধ্যমে নতুন বারবিশা বামুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজা খাতুনকে চিকনমাটি দোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়েছে। বিষয়টি অনেক সমালোচিত হয়েছে শিক্ষক সমাজে।’
এ বিষয়ে প্রধানশিক্ষক ফিরোজা খাতুন বদলীর বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘ আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বদলী করলে আমার করার কিছু নেই ।তবে তার স্বামী মোশারফ হোসেন বলেন, বদলীটি করতে উপর মহলে অনেক দৌড়ঝাপ করতে হয়েছে ।একটু তো অনিয়ম হয়েছেই ।
বিষয়টির ব্যাপারে ডোমার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমীর হোসেন বলেন,‘এমন বদলীর বিষয়টি সঠিক হয়নি।’
গত ৯ অক্টোবর জেপ্রাশিঅ/নীল/প্রঃশি/পদায়ন/৩০৩৯/১(২) স্মারকে ফিরোজা খাতুনকে বদলীর ওই আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওসমান গণি। বদলীজনিত কারণে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তাকে পাওয়া যায়নি। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের মনিটরিং কর্মকর্তা তারেক হাসান সাংবাদিকদের বলেন,‘ওপর মহলের সুপারিশে ওই বদলীটি করা হয়েছে।’
নির্দেশনা রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার জন বা এর কম সংখ্যক শিক্ষক থাকলে সেখান থেকে শিক্ষক বদলী করা যাবে না। এরপরও তিন জন শিক্ষকের বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষককে বদলী করেছে নীলফামারী প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর। এমন অনিয়মের শিক্ষক বদলীর ঘটনাটি জেলার ডোমার উপজেলার নতুন বারবিশা বামুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ২০৩ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে দুই জন শিক্ষক দিয়ে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, চলতি বছরের ৯ অক্টোবর ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) ফিরোজা খাতুনকে তার পছন্দের উপজেলা সদরের চিকনমাটি দোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়। এরপর থেকে দুই জন শিক্ষক দিয়ে পাঠ দান চলায় ভেঙ্গে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘দুইজন শিক্ষক দিয়ে কিভাবে একটি বিদ্যালয়ের সব ক্লাসের ২০৩ জন শিক্ষার্থীর পাঠ দান সম্ভব ? শিক্ষক সংকটে শিশুদের শিক্ষা জীবন নিয়ে আমরা অভিভাবকরা শঙ্কিত।’
ওই বিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত আছেন সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও আহসান হাবিব। তারা জানান, বিদ্যালয়টি বেসরকারী থাকাকালে প্রধান শিক্ষক ছিলেন আবু কালাম মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম প্রামানিক। জাতীয়করণ হওয়ার সময় সহকারী শিক্ষকের তালিকায় তার নাম আসে। প্রধান শিক্ষকের পদটি খালি থাকায় ২০১৮ সালে ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানশিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) হিসাবে যোগদান করেনে ফিরোজা খাতুন । এ সময়ে সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম প্রামানিক প্রধান শিক্ষক পদের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালতের আদেশে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর তাকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিদ্যালয়ে যোগদানের নির্দেশ দেন। ওই নিদের্শে তিনি চলতি বছরের ২৯ আগস্ট প্রধান শিক্ষকের পদে যোগদান করে ১৭ সেপ্টেম্বর অবসরে যান। এসময়ে প্রধান শিক্ষক ফিরোজা খাতুন ছুটিতে থাকেন। পদটি খালি হলে ফিরোজা খাতুন ১০ অক্টোবর ওই বিদ্যালয়ে স্বপদে যোগদান করে চলে যান। এরপর তিনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের ৯ অক্টোবরের বদলী আদেশে চিকনমাটি দোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই উপজেলায় কর্মরত শিক্ষকরা জানান, চলতি বছরের ৪ মার্চ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নির্দেশিকায় (সংশোধিত) বদলির শর্তাবলীর অংশে (৩.৫) উল্লেখ রয়েছে ‘যেসকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার জন বা তার কম সংখ্যক শিক্ষক কর্মরত আছেন কিংবা একজন জন শিক্ষকের অনুপাতে ৪০ জন শিক্ষার্থীর বেশী রয়েছে সে সকল বিদ্যালয় থেকে শিক্ষক প্রতিস্থাপন না করা পর্যন্ত সাধারণভাবে শিক্ষক বদলী করা যাবে না।’
তারা বলেন,‘অনিয়মের মাধ্যমে নতুন বারবিশা বামুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজা খাতুনকে চিকনমাটি দোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়েছে। বিষয়টি অনেক সমালোচিত হয়েছে শিক্ষক সমাজে।’
এ বিষয়ে প্রধানশিক্ষক ফিরোজা খাতুন বদলীর বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘ আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বদলী করলে আমার করার কিছু নেই ।তবে তার স্বামী মোশারফ হোসেন বলেন, বদলীটি করতে উপর মহলে অনেক দৌড়ঝাপ করতে হয়েছে ।একটু তো অনিয়ম হয়েছেই ।
বিষয়টির ব্যাপারে ডোমার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমীর হোসেন বলেন,‘এমন বদলীর বিষয়টি সঠিক হয়নি।’
গত ৯ অক্টোবর জেপ্রাশিঅ/নীল/প্রঃশি/পদায়ন/৩০৩৯/১(২) স্মারকে ফিরোজা খাতুনকে বদলীর ওই আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওসমান গণি। বদলীজনিত কারণে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তাকে পাওয়া যায়নি। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের মনিটরিং কর্মকর্তা তারেক হাসান সাংবাদিকদের বলেন,‘ওপর মহলের সুপারিশে ওই বদলীটি করা হয়েছে।’