পঞ্চগড়ে মস্তকবিহীন লাশের রহস্য উদঘাটন,পুলিশের প্রেস ব্রিফিং
https://www.obolokon24.com/2019/11/panchagar_21.html
সাইদুজ্জামান রেজা, পঞ্চগড়:
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় উদ্ধার হওয়া মস্তকবিহীন অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় ও হত্যারহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ১৮ অক্টোবর সকালে উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের ব্রহ্মতল এলাকার ঝিকদহ ব্রীজের নিকট মস্তকবিহীন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় ওই এলাকার মরিচ ব্যবসায়ী মানিক ও তার ছেলে আমানকে আসামী করে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলার পর একই দিনে পরিচয় মিলে অজ্ঞাতনামা লাশটির।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পুলিস সুপার সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং-এর মাধ্যমে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ ইউসুফ আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার জানান, মস্তকবিহীন ওই ব্যক্তির নাম আব্দুর রব। সে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষী নারায়নপুর এলাকার মৃত আলী করিমের ছেলে। ভিকটিম আব্দুর রব পেশায় ছিলো কাঁচামাল ব্যবসায়ী। ব্যবসা সূত্রে তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে মরিচ ব্যবসায়ী মানিকের সাথে তার পরিচয়। এই মানিক এবং তার ছেলে আমান দুজন মিলে আব্দুর রবকে হত্যা করে।
তিনি জানান, লাশের গায়ে পেঁচানো বিছানার চাদর ও প্রযুক্তিগত তথ্যের সূত্র ধরে আসামী মানিকের স্ত্রী আফরোজাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। পরে গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) নীলফামরী জেলার ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি এলাকা থেকে পলাতক আসামী মানিক ও আমানকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের নিয়ে অভিযানে গেলে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি এবং ভিকটিমের মোবাইল পুকুর থেকে উদ্ধারসহ লাশ বহনের কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি জব্দ করা হয়। গতকাল বুধবার আসামী মানিক ও আমানকে আদালতে নিলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে তারা।
মানিক জানায়, ব্যবসায়ীক লেনদেন নিয়ে আব্দুর রবের সাথে দ্বন্দ তৈরি হয়। এছাড়া ব্যবসার কাজে আব্দুর রব তেঁতুলিয়ায় আসলে মানিকের বাড়িতে রাত্রি যাপন করতেন এবং তার স্ত্রীর সাথে অশালীন আচরণ করতেন। এজন্য মানিকের স্ত্রী আব্দুর রবকে বাড়িতে আনতে নিষেধ করতো। একারণেই মানিক আব্দুর রবকে হত্যা করার সুযোগ খুজতে থাকে। মানিক আরো জানায়, গত ১৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুর রবকে বাড়িতে নিয়ে আসে সে। গল্প গুজব শেষে আব্দুর রব এবং মানিক একই বিছানায় ঘুমিয়ে যায়। পরে রাত দেড়টার দিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘুমন্ত আব্দুর রব-এর বুকে ছুরি বসিয়ে দিলে সে জেগে উঠার সাথে সাথে ছুরিটি মানিক গলায় বসিয়ে দেয় এবং গলা কেটে মস্তক বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পরে মানিক ও তার ছেলে আমান লাশ ও মস্তক বস্তাবন্দি করে ব্রম্মতল গ্রামের ঝিকদহ ব্রীজের নিকট দেহটি ফেলে দেয় এবং মস্তকটি উপজেলার আজিজ নগর এলাকার রাস্তার পাশের চা বাগানে ফেলে দেয়। এছাড়াও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি পুকুরে এবং আব্দুর রবের মোবাইটি আরেকটি পুকুরে ফেলে দেয়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী আরো বলেন, সমস্ত তথ্য একত্রিত করে আসামীদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত চার্জশীট প্রদান করা হবে।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন রায়, নাইমুল ইসলামসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় উদ্ধার হওয়া মস্তকবিহীন অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় ও হত্যারহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ১৮ অক্টোবর সকালে উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের ব্রহ্মতল এলাকার ঝিকদহ ব্রীজের নিকট মস্তকবিহীন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় ওই এলাকার মরিচ ব্যবসায়ী মানিক ও তার ছেলে আমানকে আসামী করে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলার পর একই দিনে পরিচয় মিলে অজ্ঞাতনামা লাশটির।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পুলিস সুপার সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং-এর মাধ্যমে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ ইউসুফ আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার জানান, মস্তকবিহীন ওই ব্যক্তির নাম আব্দুর রব। সে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষী নারায়নপুর এলাকার মৃত আলী করিমের ছেলে। ভিকটিম আব্দুর রব পেশায় ছিলো কাঁচামাল ব্যবসায়ী। ব্যবসা সূত্রে তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে মরিচ ব্যবসায়ী মানিকের সাথে তার পরিচয়। এই মানিক এবং তার ছেলে আমান দুজন মিলে আব্দুর রবকে হত্যা করে।
তিনি জানান, লাশের গায়ে পেঁচানো বিছানার চাদর ও প্রযুক্তিগত তথ্যের সূত্র ধরে আসামী মানিকের স্ত্রী আফরোজাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। পরে গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) নীলফামরী জেলার ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি এলাকা থেকে পলাতক আসামী মানিক ও আমানকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের নিয়ে অভিযানে গেলে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি এবং ভিকটিমের মোবাইল পুকুর থেকে উদ্ধারসহ লাশ বহনের কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি জব্দ করা হয়। গতকাল বুধবার আসামী মানিক ও আমানকে আদালতে নিলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে তারা।
মানিক জানায়, ব্যবসায়ীক লেনদেন নিয়ে আব্দুর রবের সাথে দ্বন্দ তৈরি হয়। এছাড়া ব্যবসার কাজে আব্দুর রব তেঁতুলিয়ায় আসলে মানিকের বাড়িতে রাত্রি যাপন করতেন এবং তার স্ত্রীর সাথে অশালীন আচরণ করতেন। এজন্য মানিকের স্ত্রী আব্দুর রবকে বাড়িতে আনতে নিষেধ করতো। একারণেই মানিক আব্দুর রবকে হত্যা করার সুযোগ খুজতে থাকে। মানিক আরো জানায়, গত ১৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুর রবকে বাড়িতে নিয়ে আসে সে। গল্প গুজব শেষে আব্দুর রব এবং মানিক একই বিছানায় ঘুমিয়ে যায়। পরে রাত দেড়টার দিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘুমন্ত আব্দুর রব-এর বুকে ছুরি বসিয়ে দিলে সে জেগে উঠার সাথে সাথে ছুরিটি মানিক গলায় বসিয়ে দেয় এবং গলা কেটে মস্তক বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পরে মানিক ও তার ছেলে আমান লাশ ও মস্তক বস্তাবন্দি করে ব্রম্মতল গ্রামের ঝিকদহ ব্রীজের নিকট দেহটি ফেলে দেয় এবং মস্তকটি উপজেলার আজিজ নগর এলাকার রাস্তার পাশের চা বাগানে ফেলে দেয়। এছাড়াও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি পুকুরে এবং আব্দুর রবের মোবাইটি আরেকটি পুকুরে ফেলে দেয়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী আরো বলেন, সমস্ত তথ্য একত্রিত করে আসামীদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত চার্জশীট প্রদান করা হবে।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন রায়, নাইমুল ইসলামসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।