ফলোআপ- নীলফামারীতে ব্র্যাক কর্মীকে হত্যা ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের
https://www.obolokon24.com/2019/11/case.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ॥ নীলফামারীর কাজীর হাট শাখার ব্র্যাকের কর্মসূচী সংগঠক মহিদুল ইসলামকে (৪৫) খুনের ঘটনায় পুলিশ পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত এমন কাউকে আটক করতে পারেনি।পাশাপাশি ওই খুনের ঘটনার সঙ্গে ৫ লাখ টাকা চুরির রহস্যও উদঘাটন হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার(২৬ নভেম্বর) রাতে এই ঘটনায় নীলফামারী থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার(২৭ নভেম্বর) দুপুরে জেলার মর্গে ব্র্যাককর্মী মহিদুল ইসলামের লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এরপর পরিবারের লোকজন তার মরদেহ দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার বিষ্ণুপুর নিয়ে যায়। মহিদুল ওই গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে।
ব্র্যাক কর্মী খুনের ঘটনায় মামলাটি দায়ের করেন তার ভগ্নিপতি আফজাল হোসেন আজাদ (৪৮)। টাকা চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সোহাগ ট্রেডর্সের মালিক ইসাহাক আলী সোহাগ (৩৫)। দুই মামলায় নামীয় কোন আসামী নেই। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সোহাগ ৮ লাখ টাকা চুরির কথা বললেও মামলায় ৫ লাখ টাকা চুরির কথা উল্লেখ করেন।
ব্র্যাক সুত্র মতে মহিদুল ইসলাম দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে সু-নামের সঙ্গে কাজ করছে। গত আড়াই বছর ধরে তিনি নীলফামারীর কাজিরহাটে ব্র্যাক শাখার কর্মসূচী সংগঠক হিসাবে কর্মরত ছিল।
এলাকাবাসী জানায়, নীলফামারী-সৈয়দপুর প্রধান সড়কের ধারে কাজিরহাটের ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেছনে লাগোয়া একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ব্র্যাক কর্মী মহিদুল ইসলাম। বিএডিসি ডিলার এবং ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক সোহাগ সার উত্তোলনের জন্য ৫ লাখ টাকা যোগার করে প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ বাক্সে রেখে দুপুরে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যান। সংগলশী ইউনিয়নের মুশরত কুখাপাড়া গ্রামের বাড়িতে দুপুরের খাওয়া শেষে বিশ্রাম নিয়ে তিনি বিকালে এসে দোকান খুলে দেখেন ক্যাশ বাক্সটি ভাংগা। টেবিলের উপরে থাকা সিসি ক্যামেরার মনিটর এবং কম্পিউটার কিছুই নেই। এরপর তিনি থানায় খবর দিতে যান।
ওই দোকান থেকে টাকা চুরির খবরে এলাকার লোকজন এসে দেখতে পান পেছনের ওই বাড়ির তালাবন্ধ একটি কক্ষ থেকে বারান্দায় রক্ত ভেসে আসছে। পরে জানালার ফাঁক দিয়ে মহিদুল ইসলামের মৃতদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। নীলফামারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ঘটনার দিন সুরতহাল শেষে রাত ১০ পুলিশ লাশ উদ্ধারসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক সোহাগ জানান, ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেছনে লাগোয়া একটি বাড়ি আছে তাদের। সেটি ভাড়া নিয়ে থাকতে ব্র্যাকের কর্মী মহিদুল ইসলাম। ওই বাড়িতে মহিদুল একাই থাকতেন। তার স্ত্রী লতা পারভীন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী এলাকায় বড়াতি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করায় দুই মেয়ে সন্তানকে নিয়ে সেখানে থাকেন তিনি। ওই বাসার ভেতর দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের একটি দরজা আছে।তিনি ধারণা করে বলেন,‘হয়তো দুর্বৃত্তরা বাসার ভেতরের দরজা দিয়ে দোকানে প্রবেশ করে টাকা চুরি করে। বিষয়টি দেখে ফেলায় মহিদুলকে হত্যা করে পালিয়েছে।’
স্বামীর খুনের খবর পেয়ে দুই সন্তান নিয়ে ছুটে আসেন মহিদুলের স্ত্রী লতা পারভীন। তিনি স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
হত্যা মামলার বাদি মহিদুলের ভগ্নিপতি আফজাল হোসেন আজাদের বাড়ি রাজশাহীর বাঘমারা উপজেলার গোড়শার শেখপাড়া গ্রামে। তিনি বলেন,‘খবর পেয়ে আমি নীলফামারী থানায় এসে মামলা দায়ের করি।’
নীলফামারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) রুহুল আমিন বলেন,‘হত্যা এবং টাকা চুরির ঘটনার যোগসূত্র থাকতে পারে। চুরির সময় দেখে ফেলায় মহিদুলকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাদুটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। #
গতকাল মঙ্গলবার(২৬ নভেম্বর) রাতে এই ঘটনায় নীলফামারী থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার(২৭ নভেম্বর) দুপুরে জেলার মর্গে ব্র্যাককর্মী মহিদুল ইসলামের লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এরপর পরিবারের লোকজন তার মরদেহ দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার বিষ্ণুপুর নিয়ে যায়। মহিদুল ওই গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে।
ব্র্যাক কর্মী খুনের ঘটনায় মামলাটি দায়ের করেন তার ভগ্নিপতি আফজাল হোসেন আজাদ (৪৮)। টাকা চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সোহাগ ট্রেডর্সের মালিক ইসাহাক আলী সোহাগ (৩৫)। দুই মামলায় নামীয় কোন আসামী নেই। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সোহাগ ৮ লাখ টাকা চুরির কথা বললেও মামলায় ৫ লাখ টাকা চুরির কথা উল্লেখ করেন।
ব্র্যাক সুত্র মতে মহিদুল ইসলাম দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে সু-নামের সঙ্গে কাজ করছে। গত আড়াই বছর ধরে তিনি নীলফামারীর কাজিরহাটে ব্র্যাক শাখার কর্মসূচী সংগঠক হিসাবে কর্মরত ছিল।
এলাকাবাসী জানায়, নীলফামারী-সৈয়দপুর প্রধান সড়কের ধারে কাজিরহাটের ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেছনে লাগোয়া একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ব্র্যাক কর্মী মহিদুল ইসলাম। বিএডিসি ডিলার এবং ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক সোহাগ সার উত্তোলনের জন্য ৫ লাখ টাকা যোগার করে প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ বাক্সে রেখে দুপুরে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যান। সংগলশী ইউনিয়নের মুশরত কুখাপাড়া গ্রামের বাড়িতে দুপুরের খাওয়া শেষে বিশ্রাম নিয়ে তিনি বিকালে এসে দোকান খুলে দেখেন ক্যাশ বাক্সটি ভাংগা। টেবিলের উপরে থাকা সিসি ক্যামেরার মনিটর এবং কম্পিউটার কিছুই নেই। এরপর তিনি থানায় খবর দিতে যান।
ওই দোকান থেকে টাকা চুরির খবরে এলাকার লোকজন এসে দেখতে পান পেছনের ওই বাড়ির তালাবন্ধ একটি কক্ষ থেকে বারান্দায় রক্ত ভেসে আসছে। পরে জানালার ফাঁক দিয়ে মহিদুল ইসলামের মৃতদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। নীলফামারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ঘটনার দিন সুরতহাল শেষে রাত ১০ পুলিশ লাশ উদ্ধারসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক সোহাগ জানান, ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেছনে লাগোয়া একটি বাড়ি আছে তাদের। সেটি ভাড়া নিয়ে থাকতে ব্র্যাকের কর্মী মহিদুল ইসলাম। ওই বাড়িতে মহিদুল একাই থাকতেন। তার স্ত্রী লতা পারভীন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী এলাকায় বড়াতি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করায় দুই মেয়ে সন্তানকে নিয়ে সেখানে থাকেন তিনি। ওই বাসার ভেতর দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের একটি দরজা আছে।তিনি ধারণা করে বলেন,‘হয়তো দুর্বৃত্তরা বাসার ভেতরের দরজা দিয়ে দোকানে প্রবেশ করে টাকা চুরি করে। বিষয়টি দেখে ফেলায় মহিদুলকে হত্যা করে পালিয়েছে।’
স্বামীর খুনের খবর পেয়ে দুই সন্তান নিয়ে ছুটে আসেন মহিদুলের স্ত্রী লতা পারভীন। তিনি স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
হত্যা মামলার বাদি মহিদুলের ভগ্নিপতি আফজাল হোসেন আজাদের বাড়ি রাজশাহীর বাঘমারা উপজেলার গোড়শার শেখপাড়া গ্রামে। তিনি বলেন,‘খবর পেয়ে আমি নীলফামারী থানায় এসে মামলা দায়ের করি।’
নীলফামারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) রুহুল আমিন বলেন,‘হত্যা এবং টাকা চুরির ঘটনার যোগসূত্র থাকতে পারে। চুরির সময় দেখে ফেলায় মহিদুলকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাদুটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। #