পাগলাপীরে বন্যার পানিতে তলিয়ে মানবেতর জীবনযাপন
https://www.obolokon24.com/2019/07/rangpur_15.html
হাবিবুর রহমান সেলিম, পাগলাপীর প্রতিনিধিঃ রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর হরিদেবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গোকুলপুর নামাপাড়া গ্রামে অব্যাহত বৃষ্টিপাতে বন্যায় ১৫টি পরিবারের কাচা ঘরবাড়ি আঙ্গিনা খুলিতে হাটু পানি জমে উঠে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পড়ায় পনিবন্ধি মানুষজন তাদের পরিবার পরিজন এবং গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি নিয়ে চরম আত্মমানবতার মধ্যে জীবনযাপন করছেন। বিশেষ করে বন্যায় ঘরবাড়িতে হাটু পানির জলাবদ্ধাতা সৃষ্টি হওয়ায় নি¤œ আয়ের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। এইসব পানিবন্ধি মানুষজন না পারছেন ঘর থেকে বেড়িয়ে কর্মের সন্ধানে, আবার না পারছেন পরিবারের লোকজনের মুখে আহার জোটাতে। ফলে এই সব পরিবারে খাদ্য সংকট মারাত্মকভাবে দেখা দিয়েছে। এছাড়া অব্যাহত বৃষ্টি বন্যায় পানিতে তলিয়ে গেছে জমিতে রোপনকৃত আদা, বেগুন, পটল, সিম, তরাই, দুদকুসি সহ মৌসুমী নানা শাক-সবজি। পানিবন্ধি ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন নজরুল, আবদার হোসেন, বিষাদু, বুদা, লেবু, মজিবুল, সাগর, জাকির, ওয়াজিদ, খলিল, ফজলু, আজিজার ও আজাদ সহ ১৫ ব্যক্তি। স্বরজমিনে গতকাল ১৪ই জুলাই নামাপাড়া গ্রাম ঘুরে পানিবন্ধি ক্ষতিগ্রস্থ রং মিস্ত্রি সাগর মিয়া, ভ্যান চালক নজরুলের স্ত্রী জুলেখা, দিনমজুর বিষাদু সাংবাদিককে বলেন সপ্তাহ ধরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই বৃষ্টিপাতে পানি নিস্কাশনের জন্য কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি আটকিয়ে মানুষজনের ঘরবাড়িতে উঠে হাটু পানি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা গত ১২ জুলাই থেকে বিরাজ করছে। পানিবন্ধি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজন দাবি করেন নামাপাড়া গ্রামের ইট দিয়ে পাকা সড়কের ধার দিয়ে পানি নিস্কাশনের জন্য একটি ড্রেন স্থাপন করলে বন্যায় মানুষজনের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাবে না বলে তারা জানান। এ ব্যাপারে পাগলাপীরের গোকুলপুর নামাপাড়া গ্রামের পানিবন্ধি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো তাদের পুর্ণবাসনের জন্য সরকারি সাহায্যের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে দাবি জানিয়েছেন। ছবি আছে