কিশোরগঞ্জে ধান সংগ্রহে অনিয়মের অভিযোগ, বঞ্চিত কৃষক
https://www.obolokon24.com/2019/07/kisargang_24.html
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)-নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সরকারী ধান সংগ্রহ অভিযানে ধীরগতি ও কৃষকদের নিরুৎসাহিত করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান ক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। ফলে ধান উৎপাদনকারী প্রকৃত কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি সরকারের কৃষকদের জন্য দেয়া প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অপর দিকে ইউপি সদস্য, ধান ব্যবসায়ী, স্থানীয় ও দলীয় নেতাকর্মীরা কৃষকদের মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে তাদের কৃষি কাডর্, ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি নিয়ে ব্যংকে জাল স্বাক্ষর দিয়ে একাউন্ট খুলে খাদ্য গুদামে কৃষকের নামে ধান দিয়ে বিল উত্তোলন করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১৮ হাজার ৭৩০ জন কৃষক ১১ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করে। এবারে আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারনে এবং ফলন ভাল হওয়ায় ১১ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে ৫০ হাজার ৭০৯ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়। কিন্তু ফলন অনুযায়ী ধানের বাজার কম থাকার কারনে সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৭২৯ জন কৃষকের(প্রত্যেক কৃষক ৪৮০ কেজি করে) কাছে ৩৫০ মেট্রিকটন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২১৬ জন কৃষকের কাছ থেকে ৫৮৪ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করার জন্য বরাদ্দ দেয়। বরাদ্দ অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসন কৃষি অফিসের মাধ্যমে কৃষকদের তালিকা করে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করে ধান সংগ্রহ শুরু করে। এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে গত ৯ জুলাই উপজেলা পরিষদ হলরুমে লটারীর মাধ্যমে ১২১৬ জন কৃষক নির্বাচন করে।
উপজেলা খাদ্য গুদাম সুত্রে জানা গেছে, গত ২১ মে থেকে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও ২৩ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১২ টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত সর্বমোট ৫৯৭ জন কৃষকের কাছ থেকে ২৮৬.৭২০ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করেছে খাদ্য অধিদপ্তর।
সরেজমিন ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ৬ জুলাই মাগুড়া ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়া গ্রামের একরামুল হকের ছেলে জাহেদুল হক সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট নম্বর ৭৯৪৩ কৃষক পরিচিতি নম্বর ১৩২০ একই ওয়ার্ডের মনজের আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ৭৯৪২ কৃষক পরিচিতি নম্বর ০৮৬২ তাদের নামে ৪৮০ কেজি করে ধান ক্রয় দেখিয়ে সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখা থেকে বিল উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু মজার বিষয় কৃষক জানেনা তাদের নামে ধান ক্রয় দেখিয়ে বিল উত্তোলনের কথা। এ বিষয়ে কৃষক জাহেদুল হক ও আওলাদ হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, আমাদের নামে খাদ্য গুদামে ধান ঢুকানো হয়েছে এই প্রথম আপনার কাছ থেকে জানলাম। তারা অভিযোগ করে বলেন, গত একমাস আগে আশেদুল ইসলাম নামে আমার এক প্রতিবেশি সরকারী অনুদান দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড ও কৃষক পরিচিত কার্ড নিয়ে যান।
২৩ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১১ টার সময় খাদ্য গুদামে গিয়ে জানা যায়, লটারীর মাধ্যমে পুটিমারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারপাড়া গ্রামের নির্বাচিত কৃষক মজিবর রহমান কৃষি ব্যাংকের একাউন্ট নম্বর ৮৩ কৃষক পরিচিতি নম্বর ০০৩০, সহিদুল হক ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ৮৪ কৃষক পরিচিতি নম্বর ০০১৪, জবানুল্লা ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ৮১ কৃষক পরিচিতি নম্বর ০০২১ সহ মোট ৮ জন কৃষকের নামে ৪৮০ কেজি করে ধান ক্রয় দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা অভিযোগ করে বলেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রশিদ মিয়া আমাদেরকে সরকারী অনুদান দেওয়ার কথা বলে আমাদের আইডি কার্ড, কৃষি কার্ড ও ছবি নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে তিনি কাউকে কোন কিছু বলতে নিষেধ করেছেন। কৃষি ব্যাংকে তাদের নামে একাউন্ট এবং খাদ্য গুদামে ধান ঢুকানোর বিষয়ে তারা কিছু জানেনা।
পুটিমারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রশিদ মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি সব কিছু স্বীকার করে বলেন, ওই কৃষকরা আগেই তাদের ধান বিক্রি করে দিয়েছে যাদের ধান ছিল তাদেরটা আমি গুলজার রহমান নামে এক ব্যাক্তির মাধ্যমে ক্রয় করার ব্যাবস্থা করে দিয়েছি।
উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, গোলজার রহমান নামে এক ব্যাক্তি ওই ৮ জন কৃষকের ভোটার আইডি কার্ড কৃষক পরিচিতি কার্ড সহ ধান নিয়ে খাদ্য গুদামে আসেন, কিন্তু কৃষক না আসায় ওই ধান গুদামে ঢুকাতে চাইনি। বৃষ্টির কারনে ধান ভিজে যাবার আশংকায় ওই ধান গুদামের গলিতে রাখা হয়েছে। এখনো বিল ছাড় দেওয়া হয় নাই।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা শাখা কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার আফজালুল হক চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে কৃষক ছাড়া বিল দিতে না চাওয়ায় এক রাজনৈতিক নেতার হাতে লাঞ্চিত হয়েছি। তিনি ওই রাজনৈতিক নেতার নাম বলেননি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সোহেল আহম্মেদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের জন্য লটারীর মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে। এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকারীভাবে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ে জবাবদিহিতা ও সচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসের কাছ থেকে কৃষকদের তালিকা নিয়ে লটারীর মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে। যদি কোন কৃষকের নাম দিয়ে অন্য কেউ ধান দিয়ে থাকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
অপর দিকে ইউপি সদস্য, ধান ব্যবসায়ী, স্থানীয় ও দলীয় নেতাকর্মীরা কৃষকদের মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে তাদের কৃষি কাডর্, ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি নিয়ে ব্যংকে জাল স্বাক্ষর দিয়ে একাউন্ট খুলে খাদ্য গুদামে কৃষকের নামে ধান দিয়ে বিল উত্তোলন করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১৮ হাজার ৭৩০ জন কৃষক ১১ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করে। এবারে আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারনে এবং ফলন ভাল হওয়ায় ১১ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে ৫০ হাজার ৭০৯ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়। কিন্তু ফলন অনুযায়ী ধানের বাজার কম থাকার কারনে সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৭২৯ জন কৃষকের(প্রত্যেক কৃষক ৪৮০ কেজি করে) কাছে ৩৫০ মেট্রিকটন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২১৬ জন কৃষকের কাছ থেকে ৫৮৪ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করার জন্য বরাদ্দ দেয়। বরাদ্দ অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসন কৃষি অফিসের মাধ্যমে কৃষকদের তালিকা করে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করে ধান সংগ্রহ শুরু করে। এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে গত ৯ জুলাই উপজেলা পরিষদ হলরুমে লটারীর মাধ্যমে ১২১৬ জন কৃষক নির্বাচন করে।
উপজেলা খাদ্য গুদাম সুত্রে জানা গেছে, গত ২১ মে থেকে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও ২৩ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১২ টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত সর্বমোট ৫৯৭ জন কৃষকের কাছ থেকে ২৮৬.৭২০ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করেছে খাদ্য অধিদপ্তর।
সরেজমিন ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ৬ জুলাই মাগুড়া ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়া গ্রামের একরামুল হকের ছেলে জাহেদুল হক সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট নম্বর ৭৯৪৩ কৃষক পরিচিতি নম্বর ১৩২০ একই ওয়ার্ডের মনজের আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ৭৯৪২ কৃষক পরিচিতি নম্বর ০৮৬২ তাদের নামে ৪৮০ কেজি করে ধান ক্রয় দেখিয়ে সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখা থেকে বিল উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু মজার বিষয় কৃষক জানেনা তাদের নামে ধান ক্রয় দেখিয়ে বিল উত্তোলনের কথা। এ বিষয়ে কৃষক জাহেদুল হক ও আওলাদ হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, আমাদের নামে খাদ্য গুদামে ধান ঢুকানো হয়েছে এই প্রথম আপনার কাছ থেকে জানলাম। তারা অভিযোগ করে বলেন, গত একমাস আগে আশেদুল ইসলাম নামে আমার এক প্রতিবেশি সরকারী অনুদান দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড ও কৃষক পরিচিত কার্ড নিয়ে যান।
২৩ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১১ টার সময় খাদ্য গুদামে গিয়ে জানা যায়, লটারীর মাধ্যমে পুটিমারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারপাড়া গ্রামের নির্বাচিত কৃষক মজিবর রহমান কৃষি ব্যাংকের একাউন্ট নম্বর ৮৩ কৃষক পরিচিতি নম্বর ০০৩০, সহিদুল হক ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ৮৪ কৃষক পরিচিতি নম্বর ০০১৪, জবানুল্লা ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ৮১ কৃষক পরিচিতি নম্বর ০০২১ সহ মোট ৮ জন কৃষকের নামে ৪৮০ কেজি করে ধান ক্রয় দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা অভিযোগ করে বলেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রশিদ মিয়া আমাদেরকে সরকারী অনুদান দেওয়ার কথা বলে আমাদের আইডি কার্ড, কৃষি কার্ড ও ছবি নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে তিনি কাউকে কোন কিছু বলতে নিষেধ করেছেন। কৃষি ব্যাংকে তাদের নামে একাউন্ট এবং খাদ্য গুদামে ধান ঢুকানোর বিষয়ে তারা কিছু জানেনা।
পুটিমারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রশিদ মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি সব কিছু স্বীকার করে বলেন, ওই কৃষকরা আগেই তাদের ধান বিক্রি করে দিয়েছে যাদের ধান ছিল তাদেরটা আমি গুলজার রহমান নামে এক ব্যাক্তির মাধ্যমে ক্রয় করার ব্যাবস্থা করে দিয়েছি।
উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, গোলজার রহমান নামে এক ব্যাক্তি ওই ৮ জন কৃষকের ভোটার আইডি কার্ড কৃষক পরিচিতি কার্ড সহ ধান নিয়ে খাদ্য গুদামে আসেন, কিন্তু কৃষক না আসায় ওই ধান গুদামে ঢুকাতে চাইনি। বৃষ্টির কারনে ধান ভিজে যাবার আশংকায় ওই ধান গুদামের গলিতে রাখা হয়েছে। এখনো বিল ছাড় দেওয়া হয় নাই।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা শাখা কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার আফজালুল হক চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে কৃষক ছাড়া বিল দিতে না চাওয়ায় এক রাজনৈতিক নেতার হাতে লাঞ্চিত হয়েছি। তিনি ওই রাজনৈতিক নেতার নাম বলেননি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সোহেল আহম্মেদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের জন্য লটারীর মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে। এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকারীভাবে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ে জবাবদিহিতা ও সচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসের কাছ থেকে কৃষকদের তালিকা নিয়ে লটারীর মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে। যদি কোন কৃষকের নাম দিয়ে অন্য কেউ ধান দিয়ে থাকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।