লতিফার চিকিৎসায় এগিয়ে আসুন
https://www.obolokon24.com/2019/07/gaibandha_48.html
নুরুল ইসলাম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাধীন উত্তর শ্রীপুর গ্রামের অবসর প্রাপ্ত ইউনিয়ন সচিব মোজাম্মেল হকের স্ত্রী লতিফা বেগম (৭০),। লতিফা বেগম এক সন্তানের জননী , অভাব অনটনের সংসার। ছেলে লিপন মিয়া (২২) বিবাহের পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র বসবাস করেন। স্বামী মোজাম্মেল হক বয়সের ভারে নুয়ে গেছেন। জমি জমা যা ছিল তাও তিস্তা নদী গর্ভে বিলিনি হয়ে গেছে। বছরের অধিক সময় অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবন কাটাতে হয়। অন্যের করুনায় তারা বেঁচে আছে। ২০০৬ সালে লতিফার চৌখের সমস্যা শুরু হলে স্বামী মোজাম্মেল হক ধার দেনা করে ৯ আগষ্ট /২০১৬ ইং সালে কুড়িগ্রাম জেলার মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করান। এ দফায় লতিফার ডানপাশের চৌখের ছানি ধরা পড়লে তা অপারেশন করে সুস্থ হয়। এ সময় ডাক্তার বলেন, চৌখের বাম পাশেরও ছানিও অপারেশন করতে হবে। টাকা সংকুলান না হওয়ায় এ দফায় বাম পাশের ছানি অপারেশন করা সম্ভব হয়নি। ৩/৪ মাস পর মোজাম্মেল হক বশত বাড়ীর এক অংশ বিক্রি করে বাম চৌখের ছানি অপারেশন করার জন্য আবারও মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যান। বাম চক্ষু অপারেশন সফল হয়। ফলে ২০১৮ সালের শেষ পর্যন্ত চৌখ দুটির অবস্থা ভাল ছিল। পরে আস্তে আস্তে দুই চৌখেই আবারও ছানিতে আক্রান্ত হলে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, দীপ আই কেয়ার, মরিয়ম চক্ষু হাসপাতাল ও সর্ব শেষ ইমিরাত ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে তাহারা সবাই চিকিৎসায় অপারগতা প্রকাশ করে ঢাকা শেখ মুজিব মেডিকেল ও কলেজে চিকিৎসা করার জন্য পরামর্শ দেন। লতিফার স্বামী মোজাম্মেল হক (৭৪) এক সময় ইউনিয়ন পরিষদে চাকুরী করলেও ২০০৫ সাল চাকুরী থেকে অবসরে যান। মোজাম্মেল হক বর্তমানে সবকিছু শেষ করে স্ত্রীকে নিয়ে কঠিন বিপাকে আছেন। বর্তমানে লতিফার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। এমতাবস্থায় সমাজের সুহৃদয়বান, বিত্তশালী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের নিকট সাহায্যের আবেদন জানিছেন অসহায় লতিফা বেগম। সাহার্য্য পাঠানোর ডাচবাংলা (রকেট) নং-০১৭৭৩-১৮৬০১৫১।