এরশাদের জানাযাকে কেন্দ্র করে রংপুরে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা: নিরাপত্তা জোরদার
https://www.obolokon24.com/2019/07/ershad_84.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল রংপুর ব্যুরো॥
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জানাজাকে কেন্দ্র করে রংপুর ও আশপাশের জেলাগুলোতে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে কয়েক স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রংপুরে ব্যাপক লোক সমাগম ও বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। এছাড়া রংপুরের ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে গতকাল সোমবার রংপুরে অনুষ্ঠিত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার নেতাকমীরা রংপুরে এক জরুরি সভা করে ‘শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতেও জাপা চেয়ারম্যান এরশাদের দাফন রংপুর ছাড়া অন্য কোথাও করতে দেয়া হবে না’ মর্মে ঘোষণা দিয়েছেন। প্রয়োজনে হেলিকপ্টারের সামনে-পেছনে মানবঢাল তৈরি করে হলেও তারা লাশ রংপুর থেকে নিয়ে যেতে দেবেন না। আর এ জন্য এরইমধ্যে দর্শনায় এরশাদের বাসভবন পল্লী নিবাসে তার কবর খোঁড়ার কাজও শুরু করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তার প্রতি শোক জানাতে নগরীর সড়কদ্বীপগুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ শীর্ষ নেতারা বলছেন ঢাকায় হবে এরশাদের দাফন। কারন তিনি মৃত্যুর পুর্বে সেই ইচ্ছার কথা বলে গেছেন।
এরশাদের দাফন নিয়ে মতবিরোধের এ অবস্থায় রংপুরের জাতী পার্টির নেতাকর্মীদের বাধার মুখে শেষ পর্যন্ত কী হতে পারে তা নিয়ে নানা প্রশ্নের পাশাপাশি নগরজুড়ে উৎকণ্ঠারও সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কবর যদি টুঙ্গিপাড়ায় হতে পারে তবে এ অঞ্চলের প্রিয় নেতার লাশ রংপুরে দাফন করতে বাধা কোথায়? সেজন্য দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতার দাফন যেন তার বাসভবন পল্লী নিবাসের লিচুতলায় হয় এর সব সব রকম প্রস্তুুতিই প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। তারা বলেন, এখানে তার দাফন হলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন এসে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। কিন্তু বনানীতে হলে সেই সুযোগ থাকবে না। আর এ কারণেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত ।তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, পরিবারের কিছু সদস্য এবং দলের অভ্যন্তরে কিছু নেতার কারণে এরশাদকে রংপুরে দাফন করতে বাধা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে রংপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে রংপুর ক্যান্টমেন্টে এরশাদের লাশ আসবে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে তার বাসভবন পল্লী নিবাসে। এরপর পার্টি অফিসে। সেখানে সর্বস্থরের মানুষ তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপরই জানাযার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হবে রংপুরের কেন্দ্রীয় ঈদগা ময়দানে। সেখানে জানাযা শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়ার কথা রয়েছে।
রংপুরের জেলা প্রশাসক হাসিব আহসান জানান, সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে জানাযা শেষে আমাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে লাশ হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই মোতাবেক আমরা ব্যবস্থা নেব।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলিম মাহমুদ জানান, রংপুরে এরশাদের জানাজা উপলক্ষে ব্যাপক লোক সমাগম হবে এটিই স্বাভাবিক। বিশৃঙ্খলা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে যা করা দরকার তাই করা হবে। তবে জানাজা যাতে সুশৃঙ্খলভাবে শেষ হয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে সবাই চলে যেতে পারে সে জন্য পুলিশ মোতায়েন থাকবে।####
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জানাজাকে কেন্দ্র করে রংপুর ও আশপাশের জেলাগুলোতে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে কয়েক স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রংপুরে ব্যাপক লোক সমাগম ও বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। এছাড়া রংপুরের ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে গতকাল সোমবার রংপুরে অনুষ্ঠিত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার নেতাকমীরা রংপুরে এক জরুরি সভা করে ‘শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতেও জাপা চেয়ারম্যান এরশাদের দাফন রংপুর ছাড়া অন্য কোথাও করতে দেয়া হবে না’ মর্মে ঘোষণা দিয়েছেন। প্রয়োজনে হেলিকপ্টারের সামনে-পেছনে মানবঢাল তৈরি করে হলেও তারা লাশ রংপুর থেকে নিয়ে যেতে দেবেন না। আর এ জন্য এরইমধ্যে দর্শনায় এরশাদের বাসভবন পল্লী নিবাসে তার কবর খোঁড়ার কাজও শুরু করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তার প্রতি শোক জানাতে নগরীর সড়কদ্বীপগুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ শীর্ষ নেতারা বলছেন ঢাকায় হবে এরশাদের দাফন। কারন তিনি মৃত্যুর পুর্বে সেই ইচ্ছার কথা বলে গেছেন।
এরশাদের দাফন নিয়ে মতবিরোধের এ অবস্থায় রংপুরের জাতী পার্টির নেতাকর্মীদের বাধার মুখে শেষ পর্যন্ত কী হতে পারে তা নিয়ে নানা প্রশ্নের পাশাপাশি নগরজুড়ে উৎকণ্ঠারও সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কবর যদি টুঙ্গিপাড়ায় হতে পারে তবে এ অঞ্চলের প্রিয় নেতার লাশ রংপুরে দাফন করতে বাধা কোথায়? সেজন্য দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতার দাফন যেন তার বাসভবন পল্লী নিবাসের লিচুতলায় হয় এর সব সব রকম প্রস্তুুতিই প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। তারা বলেন, এখানে তার দাফন হলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন এসে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। কিন্তু বনানীতে হলে সেই সুযোগ থাকবে না। আর এ কারণেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত ।তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, পরিবারের কিছু সদস্য এবং দলের অভ্যন্তরে কিছু নেতার কারণে এরশাদকে রংপুরে দাফন করতে বাধা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে রংপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে রংপুর ক্যান্টমেন্টে এরশাদের লাশ আসবে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে তার বাসভবন পল্লী নিবাসে। এরপর পার্টি অফিসে। সেখানে সর্বস্থরের মানুষ তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপরই জানাযার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হবে রংপুরের কেন্দ্রীয় ঈদগা ময়দানে। সেখানে জানাযা শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়ার কথা রয়েছে।
রংপুরের জেলা প্রশাসক হাসিব আহসান জানান, সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে জানাযা শেষে আমাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে লাশ হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই মোতাবেক আমরা ব্যবস্থা নেব।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলিম মাহমুদ জানান, রংপুরে এরশাদের জানাজা উপলক্ষে ব্যাপক লোক সমাগম হবে এটিই স্বাভাবিক। বিশৃঙ্খলা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে যা করা দরকার তাই করা হবে। তবে জানাজা যাতে সুশৃঙ্খলভাবে শেষ হয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে সবাই চলে যেতে পারে সে জন্য পুলিশ মোতায়েন থাকবে।####