ডিমলায় মাদক দিয়ে স্ত্রীকে ফাঁসানোর চেস্টার মামলায় স্বামী গ্রেফতার
https://www.obolokon24.com/2019/07/dimla_61.html
বিশেষ প্রতিনিধি ১৫ জুলাই॥ মাদক দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ফাঁসানোর চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পলাতক সেই স্বামী অবশেষে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। রবিবার(১৪ জুলাই) রাতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতরা মালিপাড়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে জামিনুর রহমান জীবনকে(৩৫) গ্রেফতার করা হয়। সোমবার(১৫ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবি পুলিশের ওসি আফজালুর হক।
অভিযোগে জানা যায়, জামিনুর রহমান জীবন চোরাই গরু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে রুমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। ৫ বছরের সংসারে তাদের দুই সন্তান। এরপর তৃতীয় বিয়ে করার জন্য দ্বিতীয় স্ত্রী নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মেলা পাঙ্গা গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে সাবরিনা আক্তার রুমাকে শারিরিক নির্যাতন করে বাড়ি হতে বের করে দেয়। এরপর ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন খড়িবাড়ী গ্রামের রশিদুল ইসলামের মেয়ে ও অষ্টম শ্রেনীর মাদ্রাসার ছাত্রী রোকসানা পারভীনকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে। এ ঘটনায় দ্বিতীয় স্ত্রী রুমা স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে।
এই মামলায় আদালত রুমার স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে। এ অবস্থায় তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে মামলা আপোষের নামে চলতি বছরের ৫ মে দ্বিতীয় স্ত্রী রুমাকে নীলফামারীতে ডেকে আনে স্বামী জীবন। রুমা তার কোলের সন্তান সহ নীলফামারী আদালত চত্বরে এলে সকাল ১১ টায় তার স্বামী ও স্বামীর বন্ধু মারিফুল ইসলাম আদালত চত্বরের অদুরে রুমাকে নিয়ে একটি হোটেলে বসিয়ে নাস্তা খাওয়ায়। নাস্তা খাওয়ানোর ফাঁকে টাকার প্যাকেট জানিয়ে ওই প্যাকেটটি রুমার ব্যাগে রাখতে বলে। বেলা ১২টার দিকে ওই হোটেলে পুলিশ এসে মাদক ব্যবসার অভিযোগে রুমাকে আটক করে। রুমার ব্যাগ তল্লাশী চালালে স্বামীর দেয়া প্যাকেট হতে বেরিয়ে আসে ইয়াবা ট্যাবলেট। চারিদিকে পড়ে যায় হৈ-চৈ। ঘটনাটি শতশত মানুষের সামনে রুমা প্রকাশ করলে পুলিশ তার স্বামীকে খুঁজতে থাকে। এমনকি রুমার স্বামী তার মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দেয়। ওই অবস্থায় অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে স্বামী জীবন রুমাকে কল দিয়ে বলে এবার মাদকের মামলায় জেলের ভাত খা। আমার বিরুদ্ধে মামলা করার শাস্তি এবার বুঝতে পারবি। পুলিশও বিষয়টি বুঝতে পারে।
এ ঘটনায় ওই দিনেই রুমা বাদী হয়ে নীলফামারী সদর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) টেবিলের ১০(ক)/৪১ ধারায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে দেয়া হয়। এ ঘটনার পর রুমার স্বামী দীর্ঘদিন পলাতক থাকে। গতকাল রবিবার রাতে গোপন সংবাদ পেয়ে নীলফামারী ডিবি পুলিশ ডিমলা উপজেলার নাউতারা এলাকার ক্যানেল বাজারে অভিযান চালালে সেখানে রুমার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়।
নীলফামারীর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন (পিপিএম) বলেন, জীবন তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুমাকে মাদক দিয়ে কৌশলে ফাঁসানো চেষ্টা ঘটনাটি তদন্তে সত্যতা না পাওয়া যায়। এই আসামী দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। তাকে ধরার জন্য পুলিশ ছিল তৎপর। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। #
অভিযোগে জানা যায়, জামিনুর রহমান জীবন চোরাই গরু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে রুমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। ৫ বছরের সংসারে তাদের দুই সন্তান। এরপর তৃতীয় বিয়ে করার জন্য দ্বিতীয় স্ত্রী নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মেলা পাঙ্গা গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে সাবরিনা আক্তার রুমাকে শারিরিক নির্যাতন করে বাড়ি হতে বের করে দেয়। এরপর ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন খড়িবাড়ী গ্রামের রশিদুল ইসলামের মেয়ে ও অষ্টম শ্রেনীর মাদ্রাসার ছাত্রী রোকসানা পারভীনকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে। এ ঘটনায় দ্বিতীয় স্ত্রী রুমা স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে।
এই মামলায় আদালত রুমার স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে। এ অবস্থায় তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে মামলা আপোষের নামে চলতি বছরের ৫ মে দ্বিতীয় স্ত্রী রুমাকে নীলফামারীতে ডেকে আনে স্বামী জীবন। রুমা তার কোলের সন্তান সহ নীলফামারী আদালত চত্বরে এলে সকাল ১১ টায় তার স্বামী ও স্বামীর বন্ধু মারিফুল ইসলাম আদালত চত্বরের অদুরে রুমাকে নিয়ে একটি হোটেলে বসিয়ে নাস্তা খাওয়ায়। নাস্তা খাওয়ানোর ফাঁকে টাকার প্যাকেট জানিয়ে ওই প্যাকেটটি রুমার ব্যাগে রাখতে বলে। বেলা ১২টার দিকে ওই হোটেলে পুলিশ এসে মাদক ব্যবসার অভিযোগে রুমাকে আটক করে। রুমার ব্যাগ তল্লাশী চালালে স্বামীর দেয়া প্যাকেট হতে বেরিয়ে আসে ইয়াবা ট্যাবলেট। চারিদিকে পড়ে যায় হৈ-চৈ। ঘটনাটি শতশত মানুষের সামনে রুমা প্রকাশ করলে পুলিশ তার স্বামীকে খুঁজতে থাকে। এমনকি রুমার স্বামী তার মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দেয়। ওই অবস্থায় অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে স্বামী জীবন রুমাকে কল দিয়ে বলে এবার মাদকের মামলায় জেলের ভাত খা। আমার বিরুদ্ধে মামলা করার শাস্তি এবার বুঝতে পারবি। পুলিশও বিষয়টি বুঝতে পারে।
এ ঘটনায় ওই দিনেই রুমা বাদী হয়ে নীলফামারী সদর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) টেবিলের ১০(ক)/৪১ ধারায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে দেয়া হয়। এ ঘটনার পর রুমার স্বামী দীর্ঘদিন পলাতক থাকে। গতকাল রবিবার রাতে গোপন সংবাদ পেয়ে নীলফামারী ডিবি পুলিশ ডিমলা উপজেলার নাউতারা এলাকার ক্যানেল বাজারে অভিযান চালালে সেখানে রুমার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়।
নীলফামারীর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন (পিপিএম) বলেন, জীবন তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুমাকে মাদক দিয়ে কৌশলে ফাঁসানো চেষ্টা ঘটনাটি তদন্তে সত্যতা না পাওয়া যায়। এই আসামী দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। তাকে ধরার জন্য পুলিশ ছিল তৎপর। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। #