চিলাহাটির সীমান্ত এলাকায় ১৬টি ভারতীয় চোরাই গরু আটক
https://www.obolokon24.com/2019/06/chilahati.html
এআইপলাশ-নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি সীমান্ত দিয়ে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে পাচার করে আনা ১৬টি গরু আটক করেছে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র।
গতকাল বুধবার(১২ জুন) ও তার আগের দিন মঙ্গলবার(১১ জুন) পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে গরুগুলো আটক করা হয়।পুলিশ সূত্রে জানা যায়,ভোগডাবুরী ইউনিয়নের গোসাইগঞ্জ সবুজপাড়া এলাকার গরু চোরাকারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ৫টি বাচ্চি গরু ভারত সীমান্ত পার করে নিয়ে আসে। ঠিক একই কায়দায় গরু চোরাকারবারীরা গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে ভোগডাবুরী ইউনিয়নের বড়দিঘী মিস্তিরিপাড়া এলাকা দিয়ে ১১টি বড় ধরনের গরু সীমান্ত পার করে নিয়ে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ অভিযান চালায়।গরুগুলো বাংলাদেশে আনার পরপরই গরুগুলো আটক করে। তবে এ সময় চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়। গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা।
চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক নুরুল ইসলাম বলেন,“গত ২ দিনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমি এবং আমার অফিসার এ.এস.আই. বিকাশ, এ.এস.আই. তরুন ফোর্স সহ গোসাইগঞ্জের সবুজপাড়া থেকে ৫টি গরু এবং বড়দিঘী মিস্তিরিপাড়া এলাকার খোলা মাঠ থেকে ১১টি গরু উদ্ধার করে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। গরুগুলো কাস্টমসের আটক শাখায় জমা দেওয়া হবে।” এ ব্যাপারে ৫৬ বিজিবি চিলাহাটি কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার রহমত উল্ল্যাহ-এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,“ভোগডাবুরী ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় ২৪ ঘন্টা বিজিবির সদস্যরা পেল্ট্রোল দিয়ে থাকে। হয়ত একদিক থেকে আরেক দিকে যাওয়ার সময় চোরাকারবারীরা সেই মূহুর্তে এই গরুগুলো আনতে পারে। তবে আমরা ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ভারতীয় কোন দ্রব্য এই ভুখন্ডে যেন আর না ঢুকতে পারে।” ভোগডাবুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একরামুল হক বলেন, এই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া সীমান্ত এলাকায় প্রায় দেড় কিলোমিটার কাটা তারের বেড়া নেই। সেই সুযোগে চোরাকারবারীরা স্থানীয় প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে এই কাজগুলো করছে। তবে এতে সরকারী রাজস্বের বড় ক্ষতি হয়।