গভীর নলকুপের মালিকানা বিরোধের জেরে ফুলবাড়ীতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে দু’শ বিঘা জমির বোরো চাষ ॥
https://www.obolokon24.com/2019/02/dinajpur_51.html
মেহেদী হাসান উজ্জল,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে একটি বিএডিসির গভীর নলকুপের মালিকানা বিরোধের জের ধরে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ওই এলাকার দু’শ বিঘা জমির বোরো চাষ।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের হরগোবিন্দপুর মৌজার ঝকঝকা গ্রামে। সেখানে গভীর নলকুপের পানি সেচ দেয়া ড্রেন প্রতিপক্ষরা কেটে দেয়ায়,বোরো চাষের জন্য পানি সেচ নিতে পারছেনা কৃষক।
ঘরগোবিন্দপুর গ্রামের বোরো চাষিরা বলেন, এই গভীর নলকুপটির মালিকানা জটিলতায় তাদের বোরো চাষ করা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কৃষকরা জানায় বোরো রোপনের সময় অতিক্রম হয়ে যাচ্ছে অথচ গভীর নলকুপ থেকে জমিতে পানি যাওয়ার ড্রেনগুলো কেটে ফেলার কারণে,তারা জমিতে সেচ দিতে পারছেন না । ফলে তাদের বোরো রোপন করা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, হরগোবিন্দপুর মৌজায় ১৯৮৫ সালে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএডিসির সরকারী অনুদানে একটি গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়। নলকুপাটি ঝকঝকা গ্রামের বাসীন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পরিচালনা করে আসছিল। আব্দুল খালেক মৃত্যুবরণ করার পর,তার ছেলে নুরুজ্জামান মালিকানা দাবী করলেও,একই এলাকার বসবাসরত গ্রামবাসীর একাংশ এই গভীর নলকুপটি কৃষক সমিতির দাবী করে। এই ঘটনায় গভীর নলকুপটি নিয়ে কয়েক বছর থেকে মালিকানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। বোরো চাষ চলমান রাখতে গত বোরো মৌসুমে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বেতদিঘী ইউপি চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে গভীর নলকুপটি পরিচালিত হয়। চলতি মৌসুমে আব্দুল খালেকের ছেলে নুরুজ্জামান তার পিতা (আব্দুল খালেকের) কাগজ পত্র দেখিয়ে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে পানি সেচ দিতে গেলে, সেখানে বাধা হয়ে দাড়ায় প্রতিপক্ষ গ্রামবাসীর একাংশ। তারা গভীর নলকুপটির পানি সেচ দেয়া ড্রেন কেটে দিলে, গভীর নলকুপটি থেকে পানি সেচ নিতে পারছেনা কৃষক। এতে করে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ওই গভীর নলকুপের আওতায় থাকা প্রায় দু’শ বিঘা জমির বোরো চাষী।
মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে নুরুজ্জামান বলেন,এই গভীর নলকুপটি তার পিতা আব্দুল খালেক বিএডিসির নিকট থেকে থেকে ক্রয় করেছে, সেই সু্েত্র এখন তিনি এই গভীর নলকুপটির মালিক, আর সেই কাগজপত্র দেখে, পল্লী বিদুৎ তার নামে বিদ্যুৎতের সংযোগ দিয়েছে।
এদিকে ঝকঝকা গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে সবুজ মিয়া বলেন,এই গভীর নলকুপটি কৃষক সমবায় সমিতির, অথচ নলকুপটির সাবেক ম্যানেজার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে নুরুজ্জামান নিজের বলে দাবী করায় এই বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে।
এই বিষয়ে বিএডিসি দিনাজপুর জোন এর সহকারী প্রকৌশলী (নির্মান) শামিম আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন হরগোবিন্দপুর মৌজার জেএল নং ১১৯ এর ২৫৬ নং দাগে সরকারী অনুদানে হরগোবিন্দপুর কৃষক সমবায় সমিতির নামে ২৮-০৫-১৯৮৫ তারিখে এই গভীর নলকুপটি স্থাপন করা হয়। কিন্তু সেই সময় জামানত বাবদ মাত্র ১৩ হাজার টাকা ছাড়া, আর কোন টাকা কৃষক সমিতি জমা দেয়নি। ফলে এই গভীর নলকুপটি আব্দুল খালেককে ভাড়ায় পরিচালিত করার অনুমতি দেয়া হয়। এরপর আব্দুল খালেক এই গভীর নলকুপটি ভাড়ায় পরিচালনা করে আসছে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই এলাকার কৃষক যাতে বোরো চাষ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে উভয় পক্ষকে নিয়ে একটি সমঝোতা প্রচেষ্টা চলছে। অল্প সময়ের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়ে যাবে বলে তিনি আশাঁ প্রকাশ করেন।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে একটি বিএডিসির গভীর নলকুপের মালিকানা বিরোধের জের ধরে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ওই এলাকার দু’শ বিঘা জমির বোরো চাষ।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের হরগোবিন্দপুর মৌজার ঝকঝকা গ্রামে। সেখানে গভীর নলকুপের পানি সেচ দেয়া ড্রেন প্রতিপক্ষরা কেটে দেয়ায়,বোরো চাষের জন্য পানি সেচ নিতে পারছেনা কৃষক।
ঘরগোবিন্দপুর গ্রামের বোরো চাষিরা বলেন, এই গভীর নলকুপটির মালিকানা জটিলতায় তাদের বোরো চাষ করা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কৃষকরা জানায় বোরো রোপনের সময় অতিক্রম হয়ে যাচ্ছে অথচ গভীর নলকুপ থেকে জমিতে পানি যাওয়ার ড্রেনগুলো কেটে ফেলার কারণে,তারা জমিতে সেচ দিতে পারছেন না । ফলে তাদের বোরো রোপন করা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, হরগোবিন্দপুর মৌজায় ১৯৮৫ সালে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএডিসির সরকারী অনুদানে একটি গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়। নলকুপাটি ঝকঝকা গ্রামের বাসীন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পরিচালনা করে আসছিল। আব্দুল খালেক মৃত্যুবরণ করার পর,তার ছেলে নুরুজ্জামান মালিকানা দাবী করলেও,একই এলাকার বসবাসরত গ্রামবাসীর একাংশ এই গভীর নলকুপটি কৃষক সমিতির দাবী করে। এই ঘটনায় গভীর নলকুপটি নিয়ে কয়েক বছর থেকে মালিকানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। বোরো চাষ চলমান রাখতে গত বোরো মৌসুমে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বেতদিঘী ইউপি চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে গভীর নলকুপটি পরিচালিত হয়। চলতি মৌসুমে আব্দুল খালেকের ছেলে নুরুজ্জামান তার পিতা (আব্দুল খালেকের) কাগজ পত্র দেখিয়ে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে পানি সেচ দিতে গেলে, সেখানে বাধা হয়ে দাড়ায় প্রতিপক্ষ গ্রামবাসীর একাংশ। তারা গভীর নলকুপটির পানি সেচ দেয়া ড্রেন কেটে দিলে, গভীর নলকুপটি থেকে পানি সেচ নিতে পারছেনা কৃষক। এতে করে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ওই গভীর নলকুপের আওতায় থাকা প্রায় দু’শ বিঘা জমির বোরো চাষী।
মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে নুরুজ্জামান বলেন,এই গভীর নলকুপটি তার পিতা আব্দুল খালেক বিএডিসির নিকট থেকে থেকে ক্রয় করেছে, সেই সু্েত্র এখন তিনি এই গভীর নলকুপটির মালিক, আর সেই কাগজপত্র দেখে, পল্লী বিদুৎ তার নামে বিদ্যুৎতের সংযোগ দিয়েছে।
এদিকে ঝকঝকা গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে সবুজ মিয়া বলেন,এই গভীর নলকুপটি কৃষক সমবায় সমিতির, অথচ নলকুপটির সাবেক ম্যানেজার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে নুরুজ্জামান নিজের বলে দাবী করায় এই বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে।
এই বিষয়ে বিএডিসি দিনাজপুর জোন এর সহকারী প্রকৌশলী (নির্মান) শামিম আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন হরগোবিন্দপুর মৌজার জেএল নং ১১৯ এর ২৫৬ নং দাগে সরকারী অনুদানে হরগোবিন্দপুর কৃষক সমবায় সমিতির নামে ২৮-০৫-১৯৮৫ তারিখে এই গভীর নলকুপটি স্থাপন করা হয়। কিন্তু সেই সময় জামানত বাবদ মাত্র ১৩ হাজার টাকা ছাড়া, আর কোন টাকা কৃষক সমিতি জমা দেয়নি। ফলে এই গভীর নলকুপটি আব্দুল খালেককে ভাড়ায় পরিচালিত করার অনুমতি দেয়া হয়। এরপর আব্দুল খালেক এই গভীর নলকুপটি ভাড়ায় পরিচালনা করে আসছে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই এলাকার কৃষক যাতে বোরো চাষ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে উভয় পক্ষকে নিয়ে একটি সমঝোতা প্রচেষ্টা চলছে। অল্প সময়ের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়ে যাবে বলে তিনি আশাঁ প্রকাশ করেন।